বাড়ির আদুরে বড়োমেয়ে, একরাশ স্বপ্ন তাকে ঘিরেই শুরু। একটা সুরক্ষিত জীবন, ভালোরাখার মতো পরিবার, ভরা সংসার আর মনের মত জীবনসঙ্গী.. স্বাভাবিকভাবে এই ভাবনা নিয়েই স্থির হলো তার বিয়ে। বাড়ি ভর্তি লোকের মাঝেও কনের মনে বিষণ্ণতা। সে যে ফেলে আসতে চলেছে তার শৈশব স্বপ্নের আঁতুড়ঘর।
অবশেষে সেই বহু আখাঙ্খিত দিন.. বিদায়ীবাড়ি আজ আত্মীয়স্বজনে ভরপুর। বাবা,মা ও বড়োদের আশির্বাদ, বন্ধুবান্ধবের শুভেচ্ছা ও ভাইবোনদের খুনসুটি, রাগ অভিমান, ভালোবাসাকে পুঁজি করে বরের গায়ে ছোঁয়ানো হলুদ ছুঁলো লজ্জায় রাঙা গাল। বিয়ের নানাবিধ আচার অনুষ্ঠান পেরিয়ে সন্ধ্যার কোলে সময় এসে থামলো।
মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত.. শুভদৃষ্টি শেষে বরমাল্য আদানপ্রদানের পালা সাঙ্গ। কাজলতার সিঁদুর সিঁথি রাঙালো। বাবা মায়ের চোখে আনন্দের অশ্রু। সম্প্রদান শেষে হাত খালি বাবার।২৫বছরে আগলে রাখা চোখের মণি আজ অন্যের বাড়ির শোভা।
সবশেষে বিদায়ী, মায়ের ঋণ চেপে রাখা কান্না ও দুমুঠো চালের ভারে শোধ করার পালা। এখানেই যে শেষ তার মেয়েবেলা।
এভাবেই পরম্পরাকে সঙ্গী করে বাবা মায়ের আদরে বেড়ে ওঠা রাজকন্যেরা হাতে তুলে নেয় ঘরকন্যার চাবিকাঠি।।
-