একটু অপেক্ষা করো সবটা বদলে যাবে,
রাতের ঘুমে তুমিও শান্তি পাবে।
হার না মানা শক্ত বুকে,
সুখের কোমল পদ্ম ফুটবে।
তাও যদি যাচ্ছো হেরে,
হারতে কী লাজ ? এ জীবনে
নতুন করে করবে শুরু,
প্রিয় মানুষটির মনের জোরে।
চিন্তা ছেড়ে, শান্ত হয়ে,
চলতে থাকো জোর কদমে।
হোঁচট খেলে নেবো তুলে,
দিলাম কথা ভালোবেসে।।

-

পুরুষ তুমি বড্ড কঠিন,
ঝরাও না চোখের পানি।
বোঝাও তুমি বিশাল দেমাগী,
আসলে তুমিওতো একটি প্রানী।
ভারী ব্যাগটা কাঁধে নিলে, তোমারও ব্যাথা হয়।
বলতে চাওনা কোনো মতে, আসলে পুরুষ নাকি সব ব্যাথা সয়।
প্রিয় মানুষটি ছেড়ে গেলে, আঘাত বুকে তোমার ও লাগে।
লুকিয়ে রাখো সমস্ত আঘাত, সমাজ যাতে ন্যাকা না বলে।
সঙ্গে আছে ক্যারিয়ার টেনশন, বাবার ও যে বয়স বাড়ে।
মায়ের শরীর ও বেজায় খারাপ প্রয়োজন একটি মানুষের ঘরে।
সমস্ত দায়িত্ব দূরে ঠেলে ক্ষনিকের জন্য হাসো।
চাইলে তুমি চিৎকার করে আজকের দিনটি কাঁদো।
কত যন্ত্রনা বাঁধবে বুকে ,এবার একটু হালকা হও।
সারাবছর না হয় যন্ত্রনা বেঁধো শুধু আজকের দিনে খোলা বই হও।

-

আমার তুমি

আমার তুমি টাকে একটু যত্নে রেখো,
দিনের শেষে অল্প শান্তি দিও।
চাইনা তো সে মস্ত কিছু,
খুঁজছে শুধুই শান্তিটুকু।
যন্ত্রতো নয় মানুষ বটেই,
তবুও চলছে যন্ত্রের তালে।
ছুটছে সে যে, দিনরাত্রির,
নিজের স্বপ্নের কবর খুঁড়ে।
চাইনা তো সে মস্ত কিছু,
প্রিয়জনদের সুখের বাইরে।
পারলে তারে, আরো কঠিন করো,
প্রানখুলে সহ্যশক্তি দিও।
শিরদাঁড়াটা সোজা রেখে ,
আকাশ ছোঁয়া সম্মান দিও।
কিছুই না দিলেও, দিনের শেষে,
মনের কোনে অল্প একটু শান্তি দিও।।

-

অবশেষে তুমি থেকে যেও,
দেহে না হোক হৃদয়ে থেকো।
ভীষন মনখারাপের গভীর রাত্রে থেকো,
হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গা ভোরের স্বপ্নে থেকো।
নির্জনতায় কাটানো মেয়েটির,
ভিড়ের থেকে এগিয়ে আসার সঙ্গী হয়ে থেকো ।
চেতনে না হোক অবচেতনে আমার থেকো,
পরন্ত বিকেলে রাস্তার গল্পে থেকো,
আড্ডার আরালে চোখের ভাষায় তুমি থাকো,
অবশেষে তুমি থেকো‌।
বৃদ্ধকালের আবছা স্মৃতির সাক্ষী হয়ে,
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগেও তুমি থাকো।
চাহিদাহীন চিরন্তন ভালোবাসায় তুমি থেকো,
ভূমিকায় না থাকতেই পারো,
উপসংহারের তুমিই লেখক রয়ো।।

-

আমি সবকিছুই বিসর্জন দেব তোমার তরে,
রইবে প্রচুর আক্ষেপ এ জীবনে।
প্রতিমুহূর্তই যেন আমায়, তোমার করে,
তুমি অন্য কারোর হয়েও যেন আমারই রবে।
ব্যস্ততার অবকাশে, একলা যখন খোলা আকাশে,
মধুর স্মৃতিতে গা ভাসিয়ে, তোমায় কেমন নিলাম জড়িয়ে।
অভিমান, অহংকার একান্তই যা আমার,
লেখা সবই তোমার নামে, গোপন ডায়রির পাতায়।
একলা আমি গভীর রাতে, একলা আমি পড়ন্ত বেলাতে,
ব্যস্ততম শহরতলি ও, আমার মনে তোমারই নাম জপে।
তোমারে আমার ভুলিবার সাধ্য নাই,
ভুলিলে তোমারে, বৃথা মম জীবনটাই।।

-

প্রথম দেখায় ভীষণ অচেনা,
আজ সে অন্তরালের, সুপ্ত বেদনা......
সময় যেন স্টেশন এর দ্রুততম রেলগাড়িটি,
ক্ষনিকের ব্যবধানে আবারো হারালাম, খুব প্রিয় গন্তব্যটি।
নিয়তি যেন খেলায় মত্ত,
আছে যা আপন, কেড়ে নেবে রইছে এমন শর্ত।
তবুওতো সে বিজয়ী হতে পারেনি,
আমার অতিমধুর যন্ত্রনাকে ,গ্ৰাস যে করেনি।
আমি আজ হেরেও যায়নি হেরে,
অন্তরালের ওই সুপ্ত বেদনা,যায়নিকো আমায় ছেড়ে................।।

-

পোড়োবাড়িটার ইঁটের মতো,
পড়ছে খসে দুঃখ যত।
মূল্যহীন ওই ইঁটের স্তূপ ও,
কষ্ট পাচ্ছে নিজের মতো।

গড়ছে নুতন অট্টালিকা ,
ইঁটের ওপর ইট সাজিয়ে।
পুরাতন আজ মূল্যহীনা,
অতি সহজেই যায় ভুলিয়ে ।

ভাঙা গড়ার এই মরিচিকায়,
লক্ষ্য মানুষ দিশেহারা,
একটু শান্তি, সুখের নেশায়,
সকলেই যেন আত্মহারা।।

-

প্রিয় মানুষগুলো যখন মুখ ফিরায়,
মানুষ তখন বড্ড অসহায়।
ক্ষনিকের জন্য ও যে দূরত্ব না বাড়াতো,
আজ সে ক্ষনিকের, খোঁজও না নেয়।
মানুষ পাল্টাচ্ছে ক্ষনে ক্ষনে,
বন্ধু হারাচ্ছে জনে জনে।।

-

নিজের ভীষন চেনা মানুষগুলো আজ অপরিচিত,
সময়টাকে বড্ড বেশি বেইমান মনে হয়,
চোর-পুলিশ খেলার মতো একটা একটা মানুষকে চুরি করে একলা করে দিচ্ছে।
কতদিন আর চোখের কাজল গুছিয়ে নিয়ে ঠোঁটের রঙে লোক ভুলাবো?
দিনশেষে শান্তির খোঁজে আর কটাদিন ঘুম তাড়াবো ?

-

জমছে ধুলো স্তরে স্তরে,
স্মৃতির তুফান নিরব রবে।
অভিমানটা বেজায় পাগল,
হারিয়ে যাওয়া মানুষকেই খোঁজে।
বিরাট আকার দুনিয়ায় পরেও,
একটি মানুষের খামতি রবে l
নিযুত কোটি ভিড়ের সাগরও,
মানুষটারে ভোলাইতে না পারে।।

-