যে মানুষ নিজের ঢাক পেটাতে সদা তৎপর,জানবে সে মানুষটি আসলে অন্তঃসারশূন্য। অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঢাক পেটানো ছাড়া তার অন্য কোন উপায় নেই যে। কি আর করবে বেচারা ??
-
অনেক সময় মনোমালিন্য,
কখনও বা মতের অমিল।
তবু জানি পাশেই পাবো,
যতই আসুক বাধা -মুশকিল।
তরকারিতে ফোড়ন দিতে,
এখনও যে ডাক পারি।
তুমি জানো,মেয়ে নয় তোমার,
সবটা জানা সেই নারী।
মা হয়ে আজ বুঝতে পারি,
মা হওয়া নয় সহজ কাজ।
সঙ্গে থেকো,ভরসা রেখো,
এ প্রার্থনাই রইলো আজ।-
রবি ঠাকুর রবি ঠাকুর,
অবাক হয়ে ভাবি।
এতো এতো লেখার রসদ,
কোথায় পেলে কবি।
যেটাই ভাবি,যেটাই করি,
সব খানেতেই তুমি।
তোমার মতো আশ্রয়খান,
কোথায় পাবো আমি?
উঠতে রবি, বসতে রবি,
মধ্যগগন তলে।
তোমা বিনা এক মুহুর্ত,
কি করেই বা চলে!
জন্মদিনের প্রাতঃকালে,
এই কথাটাই স্মরি।
তোমায় দিয়ে বাঁচার শুরু,
তোমার পায়েই মরি।
-
শুধু দুজনেই জানে।
আশেপাশের মানুষগুলো,
বোঝে না তার মানে।
কষ্ট-রাগের মিশ্রানুভূতি,
উল্টো বেসুর তানে,
দিনরাত্রি মন্ত্র বলে,
তোমার আমার কানে।
-
বাড়িয়ে দুখানি হাত।
হিসেব না মেলা মনে,
হতে পারো ধারাপাত।
হতাশ দুটি চোখে,
আশা হতে তুমি পারো।
ঈশ্বর না-ই হলে,
ধ্রুবতারা হও কারো।-
মনের কোণে
জমাই সারা দিন।
সেসব নিয়েই দিন কাটে বেশ,
হয় না তো মলিন।
তিক্ত স্মৃতি মুছেই ফেলি
মনের খাতা থেকে।
কি দরকার মনকে নিছক
বিষাদ ঘন রেখে?-
তখন আমি বছর ষোলো,
তুমি সপ্তদশ।
পথের চলার সেই তো শুরু,
একে অপরের বশ।
সময় সাথে পার করেছে,
গঙ্গা অনেক জল।
কখনও সফল, কখনও ব্যর্থ,
খুঁজতে মনের তল।
মন্দ-ভালো,ঘাত প্রতিঘাত,
মানছি না তো হার।
গুটি গুটি পায়ে মোদের,
উনিশ বছর পার।-
অক্ষয় হোক সম্পর্কের
সকল অবয়ব।
অক্ষয় হোক বাঁধনহারা
বন্ধুত্বের ভিত।
অক্ষয় হোক অটল মনের
ধনুক ভাঙা জিত।
অক্ষয় হোক দূরে থাকা
কাছের মানুষজন।
অক্ষয় হোক মুখের হাসি,
সুখের গৃহকোণ।-
তোমার বিকিকিনির সুরে,
অন্ধকারের দানবগুলো
সব সরে যাক দূরে।
আলোর ফেরিওয়ালা,
তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে আলো।
কঠোর হাতে দমন করো
নিবিড় নিকষ কালো।
-
আজও তুমি থাকবে চুপ!
চলবে গা বাঁচিয়ে?
নিজের ঘরটা অটুট বলে,
থাকবে মুখ ঘুরিয়ে?
আজ যে গেছে,কাল সে তোমার
হতেই পারে আপন।
দুচোখে তে ঠুলি এঁটে,
কেমন এ দিন যাপন?
যার যেটুকু শক্তি আছে,
উগড়ে দাও আজ রাগ।
ধর্ম ভেদে মানবতার
দিও না হতে ভাগ।
-