স্বপ্নেরা বেপরোয়া, জন্মের সুখ চায়৷
জীবনের কানাগলি, চোরকাঁটা বুনে যায়৷
নানা মুখ নানা ছবি রেখে যায় মন-ঘরে৷
না বলা গল্পগুলো ক্ষত হয় ধীরে ধীরে৷-
যত্নে রাখা স্বপ্নে
আকাশ পারাপার হয়নি বহুদিন,
আলো ছুঁয়ে ঘামে শিকড়ের পরিপাট্য
আদিবসতে শুধুই
বনসাঁই৷
-
প্রেমটা যখন হারিয়েছে সুখ
ঠোঁটের ভীষণ জ্বর৷
বুকের ভিতর ইচ্ছেনদী,
ভাঙছে শুধুই পাড়৷
উথাল পাতাল ঢেউয়ের দোলায়
প্যান্ডোরাবক্স খুলে
সর্বনাশের আগুন নেশায়
ভেসেই গেলাম নীলে৷
ইচ্ছেনদীর ফ্যাকাসে রঙ
বাড়ন্ত সাজগোজ,
ঘরদোর জুড়ে শুধুই আমি
রাখেনি তোমার খোঁজ৷
-
মিশে যায় যতো প্রেম গোধূলির লালে
দুটি মন বাঁধভাঙা স্বপ্নেরা ছুঁলে
সোহাগের ছোট তরী উজানের স্রোতে
ভেসে যায় অবিরাম তোমাতে আমাতে
সময় থামে যদি আজ অকারণে
ভালোবাসি বলে যেও শুধু কানে কানে৷-
এখন আর কোন অভিযোগ নেই
স্থির মানচিত্রে অচেনা শহর, অচেনা গ্রাম অবসরে খুঁজে নেওয়া,
টিভিতে রোজকার নিউজ একাকীত্বে ভুগছে..
নিরাসক্ত পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া মন৷
সবটাই অভ্যেস!
তবু কম্পাসে হয়ে যাচ্ছে দিকভুল,
স্যাটেলাইটে বড় শুকনো খটখটে সমীকরণ!
বৃষ্টির পূর্বাভাসে নেই কোন!
বিলাপের সেতুটা পরিত্যক্ত জাহাজের বড় কাছাকাছি,
আবেগের সুতো কেটে অসহায়!
পথ ভুলে হাওয়া ছুঁয়ে যায় অতীতের স্মৃতি৷
সূক্ষ্ম অভিমানী রেখাটা আতস কাঁচে প্রকট হয়
ফিরতে চাইলেও আর ফেরা হয় না ,
ভূমিকাটা অসজ্ঞাত থেকে যায় চিরকাল..
-
বদল হয়েছে রোজনামচার হিসেব নিকেষ
ভিড় হয়েছে ক্রমশ পাতলা
পোস্টমর্টেম শুরু হবে নাম জানা কাহিনীর
না কোন জমায়েত নয়
শ্বাস গিলে কড়ি বরগায় ঝুলছে দড়ির ফাঁস
দুর্গার মুখ মিলিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ
জন্ম নিচ্ছে এক একটা চেনা অচেনা মুখ
ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে সন্ধিপুজোর মহড়া......-
বিজুলির ঝলকানি, পয়োধর গর্জায়
ভৈরব কান পাতে ধরণীর শয্যায়
বক্ষে শ্যামের বাঁশী লয়েছে শপথ
অভিসারে চলে রাই ভুলিয়া জগৎ...-
দুহাত বাড়িয়ে যেদিন আকাশকে আলিঙ্গন করেছিলাম
চাঁদ সূর্য একসাথে হাতের মুঠোয় পুরে জ্যোৎস্নামাখা রোদের ঘ্রাণ নিয়েছিলাম প্রাণভরে৷
তুমি কটাক্ষ করে বলেছিলে "পাগল"
গীতবিতানে ঠোঁট ভিজিয়ে আমার সেদিন জন্মান্তর ...
রাগ ভৈরবে দৃশ্যবদল হতে হতে তোমাকে আর খুঁজে পাই নি...
মানচিত্র জুড়ে আমি একাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছি
ডুব দিয়ে অতল সাগরে
কি খুঁজছি? মুক্তো?
নাকি হারিয়ে যাবার আগে কোনো বিধ্বংসী প্রলয়?
লাল গোলাপে পুড়তে পুড়তে এঁকে দিলাম আরো একটা পরাগ মিলনের ছবি
শতাব্দীর আদিম ফসল......
-