মেঘ এসেছিল-
বৃষ্টি না দিয়েই চলে গেলো নিজের দেশে।
প্রেম এসেছিল-
না ভালোবেসেই স্মৃতি দিয়ে গেলো ছদ্মবেশে।-
বাস্তবটা সত্যিই খুব কঠিন।
জানলার বাইরে সর্ষে ফুল, পাখির আওয়াজ এইসব কে উপেক্ষা করে আমাদের চোখ, শুধুই নোটের খাতায়। মন সেখানে আছে কিনা অবশ্য ঠিক নেই। সিলেবাসের আওতায় থাকা কোনো কিছুরই গভীরে না গিয়ে শুধুই ওপরে-ওপরে ভাসার চেষ্টা করে চলেছি আমরা। যারা সত্যিই খুব পড়াশোনা-প্রেমী তাদের কি আদৌ মন ভরছে!
সময়, নোট, সিলেবাস আদতে কি এইগুলো দিয়ে বেঁধে ফেলা যায় জ্ঞান কে, জানা কে?
বাবা একটা কথা ঠিকই বলেন-"আসল ইংরেজি সাহিত্য পড়তে, বুঝতে শুরু করবি M.A. কম্পিল্ট করার পর।" তার আগে সত্যিই ব্যপার গুলো সব ধোঁয়াশা।
তবে বাস্তব এটাই যারা এত খাটাখাটনি করছে এই সিলেবাসের জিনিসপত্র গুলো মাথায় গুঁজে-গুঁজে ঢোকানোর (including me) তাদেরও লক্ষ্য একটাই- একটা চাকরি, একটু ভালো রোজগার, জীবনটা ভালোভাবে কাটানোর (সেটাও আবার অনিশ্চিত)। সে চাওয়ায় কোনো দোষ নেই, কিন্তু পন্থা-টা বড্ড ছড়ানো-ছেটানো, অগোছালো।
যে রবিঠাকুরের "গীতাঞ্জলি"-এর চারটি কবিতার গভীরতা বুঝতে চার মাস সময় লাগার কথা, সেগুলোই চারটে পেপারের মধ্যে থাকা একটা ছিঁটেফোঁটা অংশ হয়ে পড়ে আছে। বাকি গুলোর কথা আর নাই বা বললাম।
এই জন্যই মনে হয় রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপিয়ার অযথা 'ডিগ্রিধারী' হওয়ার ধৃষ্টতা দেখান নি!-
The beauty is not in your nose, eyes or lips.
Beauty means a joyful face.-
আড়ি-ভাব করা আঙুল গুলোর ফাঁকে
তোর আঙুলই চাই।
তোর সাথে কাটানো সময় গুলো তৃপ্তি করে
তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাই।
এক চোখে মেঘ অন্য চোখে রামধনু আঁকতে
তুই সাবলীল।
জট পাকানো জীবনে তোর বন্ধুত্বেই
এক বুক আকাশ নীল।
-Pamouli
-
বাঙালি মানে, কুয়াশার সাথে চায়ের ধোঁয়া মেশে।
বাঙালি মানে, প্রচণ্ড ঝড় শান্ত সব শেষে।
বাঙালি মানে, বিরিয়ানির গন্ধে উচ্ছ্বাস পাগলপারা।
বাঙালি মানে, ক্রিকেট আর ফুটবল দুইই ভালোবাসে যারা।
বাঙালি মানে, নির্জন দুপুরে বারান্দায় আরাম কেদারায় রবি।
বাঙালি মানে, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে সাদা পাতায়
মোড়ানো ছাপোষা কবি।
বাঙালি মানে, সুখে দুঃখে হাতে হাত রেখে চলা।
বাঙালি মানে, প্রেমের কথা চিরকুট ছুঁড়ে বলা।
বাঙালি মানে, অরিজিত সিং-এর গানেই দুঃখে ভাসা।
বাঙালি মানে, বাঙালি হয়েই বাংলাকে ভালোবাসা।-
আধখোলা কাঁচে জল জমেছে।
বৃষ্টি কিন্তু পড়েনি।
মেঘের মুখ গম্ভীর তবু,
জলীয়বাষ্পে ভাসতে পারেনি।
-
জানলার কাঁচের ফাঁক দিয়ে
উঁকি দিচ্ছে ভবিষ্যত...
নিষ্পাপ চোখের সহজ দৃষ্টি করে
অন্ধকার ঢাকার কসরত।
উঁচু আশা নিচু পথ গলা টিপে
খুন করে শৈশব...
কালোর পথে হেঁটে আলোর
খোঁজ পাওয়া অসম্ভব।
-পামৌলী-
খুব ভোরে রোদ উঠলে,
আলতো করে লুকিয়ে পড়ো।
অমাবস্যায় চাঁদ উঠলে,
দীর্ঘশ্বাসে আমায় ধরো।-
দুচোখের নোনাজলে তৈরী সমুদ্র,
ভয়ংকর গতিতে ধ্বংস করে।
সে সমুদ্র আসলে আগুনের তৈরী,
যে আগুন পুড়িয়ে ছাই করেই মরে।-
রাতের নিস্তব্ধতা আমি-র ভিতরের আমিকে চেনায়,,,
দিনের প্রহরগুলো-কে অঙ্ক করে ভাঙতে গড়তে শেখায়,,,
-