আমাদের রোজ রোজ পুড়ে যাক দিন
সন্ধ্যেরা কিছু কিছু দুঃখ মাখুক
হাসি মাখা ভেজা চোখ সঙ্গে রাখুক
শুধু রাত শেষে ভোর হোক বিচ্ছেদহীন-
সান্ধ্য-হাওয়ায় মনখারাপ লেগে থাকে
আকাশের ধূসরতায় রাখি ভেজা চোখ
ঝরে পড়ে কিছু অদেখা নামের শোক
রয়ে যায় ছায়া, বিভ্রমে রেখেছি যাকে-
মাটির বুকে বৃষ্টি নামের মেয়েটা এবার আসুক
মনের কোণে ছেলেবেলা-দিন
হারাচ্ছে সব, জমাচ্ছি ঋণ
জলের গায়ে রঙ-কাগজের নৌকো গুলো ভাসুক...-
তুমি শুধু থেকো..
আমি নৈশব্দেও বুনে দেব রূপকথা
গাঢ়তর জলে কাঁপবে চাঁদের ছায়া
তুমি শুধু থেকো
আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে এঁকে দেব এক পৃথিবী মায়া..-
গভীরতা ছুঁয়ে তোমার আমার কল্প-বসত গড়তে গড়তে
কবে যেন সমার্থক হয়ে উঠেছি প্রাচীন স্রোতস্বিনীর
আলোকলতা হয়ে জড়িয়ে থাকতে থাকতেই এক সন্ধ্যায় দেখি,
মিলেমিশে গেছে, জল ও জোছনা
বাসা খানা কবে তলিয়েছে অতলে, আমাদেরই অনিবার্য ভুলে...-
কিছুক্ষণ আগেই তুমি চলে গেলে এই পথ দিয়ে। আলো-আঁধারির মাঝপথে গাছেদের ছায়ার শরীর মিলে মিশে এক হয়ে আছে। অন্ধকারাবৃত বারান্দার প্রান্ত থেকে আমি কয়েকটি পাতার মৃত্যু দেখি, যদিও তাদের ঝরে যাওয়ায় কোনপ্রকার শোক-সংবাদ ভেসে আসে না আমার কানে। অথচ দেখো, আমি কী স্পষ্ট শুনি তোমার থেকে প্রাপ্ত দীর্ঘ অশ্রুতি.. আমি কী তীব্রভাবে দেখতে পাই তোমার না ফেরা পদচিহ্ন। ব্যস্ততম দিনযাপনের পরেও তন্দ্রাঘোর আমায় কাছে ডাকে না। আমি মিলেমিশে যাই ছায়াময়ী হয়ে দেয়ালে-তে, কায়াহীন।
তুমি চলে যাবার পর থেকেই, শৌরি, আমি বসে আছি স্মৃতি-পাহারায়... আমি কী ভীষণ বয়ে বেড়াচ্ছি তোমার ফিরে আসবার সম্ভাবনাহীনতা..
- ইতি তোমার, মিত্রবৃন্দা
-
জীবনে কী যেন বাকী রয়ে গেল..
আজকাল আর মনে পড়ে না
আমাদের সোনালী ঝর্ণার মতো ভালোবাসাবাসি..
সন্ধ্যার বারান্দায় এখন ঘরে ফেরা কাকেদের উল্লাস
অভ্যাস তো একদিন না একদিন ক্ষয়ে যাবেই
হেরে যাবে বিপ্লবী প্রেম
বাস্তবতা স্পর্শ করবে না মনজ সন্তান
চুলের রুপোলী রেখা শুধু প্রশ্ন রাখবে মাঝেমাঝে
জীবনে কী যেন বাকী রয়ে গেছে...-
সবটা জেনেও হার মেনেছি ভালোবাসা-রূপী মুদ্রাদোষের কাছে
সূর্য বোঝেনি চাঁদের সমর্পণে না-হওয়া এক সংসার লেগে আছে...-