: পাতাঝরার মরশুমে :
এসেছে আজ পতাঝরার মরশুম, ঝরছে তাই অজস্র শুকনো পাতা;
ডালের আগায় ওই যে দেখা যায়, কটি নতুন কচি পাতা;
তবে কি আবার সাজবে গাছ? সবুজ পাতার বাহারে
সব ঝরে গিয়েও নতুন রঙে সাজিয়ে দেবে কি আবার? আহারে;
জীবনবৃক্ষ থেকেও আজ পড়ছে ঝরে সকল আশার পাতা গুলি;
মন তবু স্বপ্ন দেখে, নতুন আশার বুনে জালি;
করোনার আবহে, পাতাঝরার মরশুমের ন্যায়, ঝরছে সকল জীবনপল্লব;
আবারও জাগবে নতুন আশা ভরসা , সাজবে আবার জীবনবৃক্ষ সব ।।
-
মুখোশের আড়ালে ঢাকা মুখ,
চিনে নাও মন টাকে।
শরীর তো খোলস মাত্র ,
ধরা দাও হৃদয় টাতে।-
না পাওয়ার বেদনার মাঝেই, বেঁচে থাকে অসম্পূর্ণ ভালোবাসা;
তোমাকে হারিয়েও তাই তোমায় সুখী দেখা, আমার একমাত্র আশা..-
দাদার সাথে চলছে আমাদের দাদাগিরি ;
বাংলার গর্ব তুমি, তোমারে সেলাম করি;
সৌরভ নাম ,তাই তো সুরভিত করছো চতুর্দিক;
ক্রিকেট মাঠে তাই গুঞ্জিত হচ্ছে তোমার নাম, দিকবিদিক;
বাংলার মনে রয়েছে আঁকা, লর্ডসের গ্যালারির সেই ছবি;
হাজারো লাঞ্ছনার পরও, দেখিয়েছিলে সবাইকে, এক বঙ্গসন্তানও হতে পারে ভারতের রবি;
তোমার থেকেই শিখেছি , পড়ে যাওয়ার পরও উঠে দাঁড়াতে;
তোমার থেকেই জেনেছি জীবনের আসল গর্ব, 'come back' এ তে;
তোমাকে জানাচ্ছি জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা;
অনেক ধন্যবাদ, ছাপোষা বাঙালির মনে জাগিয়েছো তুমি ঘুরে দাঁড়ানোর আশা;
তোমায় নিয়ে গর্বিত, থাকবো, আছি, ছিলাম;
তাইতো তোমার এই শুভদিনে জানাই,"মহারাজা তোমারে সেলাম"....
-
দিনের শুরুতেই আমার ঘুম ভাঙতো, তোমার চুড়ির মিষ্টি আওয়াজে ;
সাথে পায়ের নুপুর ও যে সমান তালে বাজে ;
স্নানটি সেরে বধূর বেশে, আয়নায় দেখতে নিজেকে ;
চুল ঝাড়ার অছিলায়, আসলে তুমি দেখতে আমাকে;
শত ডাকের পরেও, যখন উঠতাম না আমি;
সব বুঝে, আমার কাছে ধরা দিতে আসতে তুমি ;
তোমার মিষ্টি ঠোঁটের ছোঁয়া, দিতে আমার কপালে;
আমারও অধর তখন দিতো ছোঁয়া তোমার ওই জলে ভেজা গালে ;
আজও তোমার আনাগোনা হয় আমার হৃদয় কুটিরে;
বাস্তবে তুমি আর নেই, আছো আমার স্মৃতির গভীরে;
আজ আবার ভালোবেসে ফুল দিতে এসেছি তোমারে;
এখনও কি মুচকি হাসছো তুমি, শুয়ে ওই নিস্তব্ধ কবরে;
শত উচ্ছাস আজ দিচ্ছে দেখা, আমার এই পাগল মনের গভীরে;
আর একবার, শুধু একবার, দাও না ধরা, সশরীরে।।
-
সম্পর্কটার আজ বেড়েছে উষ্ণতা,
আমার ভালোবাসার ওষুধে,, কমবে কি তোর অভিমানের পারদটা?
তোর হাতটা ধরে, আবার যদি বলি ভালোবাসি,,
মুচকি হেসে, জড়িয়ে ধরে, দিবি না কি, সুখ রাশি রাশি?
তোর জন্যই অপেক্ষারত, আজও আমার এই শূন্য বাসা,
ঝগড়া, খুনসুটি, মান- অভিমান,,এসব নিয়েই তো ভালোবাসা,
সমুদ্রের মাঝে ঢেউগুলোতেও হচ্ছে আলোড়ন প্রতিদিন,
দিনশেষে তাও মিশে যাচ্ছে সবাই, করে নিজের অস্তিত্ব বিলীন
তোর মাঝেই আমি হারিয়েছি নিজেকে, প্রথম দেখার দিন থেকে,
অভিমান ভেঙে তাই আয়না ছুটে, আবার আমার এই প্রেমের ডাকে,
তোর এই অভিমানের বাঁধও, ভাঙবে ঠিকই আমার ভালোবাসার জোয়ারে,
তখন শুধুই প্রেমের বান, আসবে ছুটে মোদের মনের ঘরে।।
-
"ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়/আমাদের কাছে সে তো ভগবান"
------ এই পংক্তিগুলো আজ অদ্ভুতভাবে সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের এই মারণরোগে, সবাই যখন ঘরে বসে ভীত, সন্ত্রস্ত, তখনই কেউ কেউ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অন্যদের সেবায় ব্যস্ত।।
আমরাই একদিন তোকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম ,, ধীরে ধীরে তোর স্বপ্ন আমাদের সাথে মিলে গেছিলো। এবছরই সেই স্বপ্নপূরণ করেছিলি,,ডাক্তারের কোর্ট গায়ে বেশ দেখাচ্ছিল তোকে,, তবে নিজের পেশায় নিযুক্ত হওয়ার পর পরই তোর সামনে আরও বড়ো পরীক্ষা এসে দাড়ালো।। সবসময়ের মতো এবারেও ভয় না পেয়ে ছুটে গেছিলি তাই হাসপাতালে, দিনের পর দিন করোনার সাথে লড়াই করে জিতে যাচ্ছিলি আর সাথে আরও অনেককে জিতিয়ে দিচ্ছিলী।।
কিন্তূ জীবনে প্রথম কোনো পরীক্ষায় তুই পাস করতে পারলি না,,আর প্রথম হারটাই তোর শেষ হার হলো,, জীবনের কাছে হেরে গেলি ।।
তবে আজ আর বকবনা তোকে,, আজ শুধুই আশির্বাদ করছি,, মানুষের সেবা করতে গিয়ে তুই অমর হয়েছিস,, প্রকৃত ডাক্টার হয়েছিস।।
"যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস,
পরজন্মে আবারও আমার কোলেই ফিরিস।।"-
গুলোই থাকে জীবনে ভীষণ দামি,
কিছু অসবধানতায় হয়ে যায় তা বেনামী,
নিজের সুখ খুঁজতে গিয়ে কাছের মানুষ গুলোকে করে লাঞ্ছিত ,অপমানিত,
কাছের সম্পর্কের মাঝের ভালোবাসাটা, তাই আজ কেবলই স্বার্থান্বিত,
জ্ঞানপাপী এরা , জ্ঞানের কথা বলে উপদেশ দিয়ে যায়,
অন্যের দিকে একটা আঙ্গুল তুললে, ভুলে যায় নিজের দিকেই চারটে আঙ্গুল রয়,
অর্থের লোভে মত্ত এরা, শুধু অর্থই এদের কাঙ্খিত,
ক্ষণিকের প্রাপ্তির লোভে তাই, প্রিয়জনকে করে উপেক্ষিত,
সম্পর্কের টানে, হয়তো একদিন ফিরবে আবার প্রিয়জনের আঙিনায়,
কাছের মানুষগুলো ততদিনে হারিয়ে যাবে, কোনো দূর নীলিমায়...
-
স্বার্থপরতার আড়ালে ঢাকা পড়ছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,
স্বার্থ শেষে যাবে সে চলে , তবুও মন বোনে অলীক আশা।।-
প্রিয় বাবা,
তুমি সত্যি খুব রাগী
কারণ তুমি সারাদিনের ক্লান্তিকে রাগের আড়ালে ঢাকতে চাও
তুমি সত্যি খুব জেদি
তাই হাজার বার বলার পরেও নিজে কোনোদিন 5 টাকার বিস্কুট না খেয়ে আমার জন্য একটা 500 টাকার কুর্তি কিনে আনো
তুমি সত্যি খুব বদমেজাজি
কারণ তুমি আমাকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য বকাঝকা করো
তুমি সত্যি খুব হিসেবি
কারণ তুমি টাকার অভাব থাকলে নিজে পুজোয় জামা না কিনলেও আমামে অষ্টমীর চুড়িদার কিনে দাও
তুমি সত্যি খুব কিপ্টে
ছেড়া চপ্পল আর জামা দিয়ে তোমার বেশ দিন কাটে
তুমি সত্যি খুববৱৱৱৱৱ ভালো
কারণ তুমি আমার জন্য এত sacrifice করো
তুমি আমাকে এত ভালোবাসো....-