মানুষগুলোও কেমন যেন ঋতুসিদ্ধ;
ফুলেভরা বসন্তের সঙ্গশেষে পাতাঝরা তুষারপাতে উবে যায়।-
জানি, ফিরে এলে তুমি-
ফিরবে সন্ধ্যার রূপালী আয়োজন, হবে সূর্যাস্ত দেখা!
ফিরে আসবে কথোপকথন, সহস্র অভিমানী নিরবতা।-
গোটা একটা জীবন নিলামে তুলে দিলাম
শুধুমাত্র, কর্পোরেট অহংকারের নেশায়!
শেষান্তে এসে দেখি-
বয়সের ভাড়ে কুঁজো জীবন; স্বত্তাও তাই।-
যে ব্রিটিশ উপাখ্যানে তোমাদের কেড়ে নিতে সুখগুলো লুটোপুটি খায়
প্রিয় মানুষগুলোকে আড়াল করে বুকে আগলে থাকে রাজ্যের ভয়
সেই অভিধানের বিমর্ষ শেষান্তে পাখির নীড়ের মতোন আমার-
ছোট্ট একখানা আশ্রয়।-
- দেখো জ্যোৎস্নায় ঝরছে ক্যাফেইন!
- তাতে কি? আমি তো চাঁদের মতোই মলিন।-
এখানে আজকাল দিন হয় না, সার্বক্ষণিক আঁধার
অভিমানে, চোখের কোণে আগলে রাখছি আমার-
কংক্রিট চাপা মন, বিষন্ন সুন্দর জীবন।-
আজ, থাকছি বলে রাখছো না
কাল, স্মৃতির শহরে আগলে রেখো
যখন আমি থাকবো না।-
এক পকেট শূণ্যতা সমেত হেরে যাই নিয়তির কাছে
জীবনের কাছে জমা হয় ঋণ।
ভুলে যাই- কে কবে ছিলো আমার?
আমি ছিলাম কার!
অবান্তর কেটে যায় একা একটা দিন।-
চলো, ততদূরে হারিয়ে যাই
অসংযত আহ্লাদী নুপুরের রিনরিনে শব্দে
ইচ্ছের রংধনু নেমে আসে যেখানে
মেঘে ভেজা সন্ধ্যায়!
চলো সেখানে হারিয়ে যাই
দুচোখ খোলা দৃষ্টিতে, গেয়ে উঠি চঞ্চলা বৃষ্টিতে
তুমি আসবে বলে নিঃশব্দে-
জানালা খুলে রেখেছি, দেখো
থাকছি কেমন অপেক্ষায়।-