গুন-ভাগের ছন্দলিপিতে।
ব্যাস-ব্যাসার্ধের পরিধি শিখি,
যোগ-বিয়োগের মাপকাঠিতে।
-
D.O.B–8th january
ছন্দে মেলানো মনের ভিতরে।
সন্ধি জুড়েছে আমার ছদ্মনাম,
স্বপ্নে দেখা সুখের নীড়ে।-
অগোছালো ঝাঁপির ভিতর।
মন বাহারি খেয়া-তরী,
নদীর পাড়ে রয়েছে নিথর।
ওপারে যে গোধূলি নামে!
আলো জ্বালাও ধামে ধামে।-
নির্বাসনে কাটছে প্রহর অলীক নির্জনতায়,
রন্ধ্রে রন্ধ্রে জমছে শিশির গভীর ভালোবাসায়।-
অভিমানেরা সময় কাটায় বন্দিদশার আঁতুড়ঘরে,
কথোপকথন আলাপ জমায় কবিতা আর কলম জুড়ে।-
অভিমানের পাহাড় জমে, কমছে শুধুই যোগাযোগ।
কল্পনাতে ভীড় জমানো, তোমার কথার শব্দদূষণ!
বহুরূপীর রঙিন রঙে, মিথ্যে তোমার বেশভূষণ।-
কৃষ্ণকায়ার দীপ্তিছায়া
পল্লীর বালিকা কৃষ্ণবর্ণা রূপিনী,
মানহানির পর্ব লুটায় কানা গলি।
শিউলি ফোঁটা মনের সাজ!
তিরস্কৃত মন্দ ভাষার কথাকলি।
ভাষ্যলেখা চোখ অবকাশ খোঁজে,
শূন্যতায় ঘেরা প্রাণখোলা জগতে।
মন্তব্যে প্রস্ফুটিত কায়ার গঠন,
মাটির রূপে; তুমি পূজিত নিত্য শরতে।
ললাটে তার সিঁন্দুর রাঙানো,
ত্রিনয়নী বঙ্গবালিকা সে।
অথচ দুখের মাঝেই যে আজ;
সুখ পেয়েছে মায়ের বেশে।
শ্যামাবর্ণা নারী সে এক!
তবুও মানুষ রূপে দেবী।-
দিগন্তের মোড়া সবুজ খামে!
সৌন্দর্যের ঠিকানা লেখে,
রংবাহারি ফুলের দল।
অচেনা সুখ খোরাক খোঁজে,
রাশি রাশি শিশির কণায়।
পরিযায়ী ভাষার সমাগম,
প্রকৃতির কাছে আনন্দ উপশম।
-
একাকীত্বের সঙ্গ নিয়ে মনের ক্রম বিস্তার।
নিশুতি রাতে কোনঠাসা হয় জ্যোৎস্না আলো,
প্রতিবিম্ব মুখ লুকিয়ে নির্বাসনের রোদ পোহালো।
মনের খেয়া বানভাসি হয় স্রোতের অঙ্গীকারে,
হারানো প্রেম সুর খোঁজে সুখের অংশীদারে।
বয়সের নিষ্ঠুরতা গ্রাস করেছে রঙিন সময়!
বিনোদনের আবেগ জাগে জীবনের গ্রন্থময়।-
মিথ্যে স্বপ্নের ইলশেগুঁড়ি, ঝড়ে বৃষ্টিপাতে।
মুখোশের ওই জলছবি উঁকি দেয়,
আমার মনের শীর্ণ ধারাপাতে।
দিন হারিয়ে সন্ধ্যা আসে,
অবুঝ কার্নিশ ছোঁয়ার অপেক্ষায়।
অভিমানের আতর মেখে,
মরচে পড়ুক কালশিটে ভাবনায়।-