আধখোলা দরজার কপাট, তার –
যাওয়ার কথা ছিলো না
তবে ফেরার বারণও ছিলো না!
যা ছিলো শুধু, শেষবারের মতন তার চাহনি।-
পড়াশোনা সূত্রে কোলকাতার নিবাসী,
আগস্টের নয় - এ জন্ম,
আমি এক ছদ্... read more
মৃত্যু কামনা রাখা ছিলো, পরিচিত নামে।
ভাঙা চৌকাঠ পেরিয়ে কিছু কাছের মানুষ শূন্যে রওনা দিলো। ফেরার পথ নেই, তবে যাওয়ার তো পথ আছে!
মৃত্যু দেখার থেকে মৃত্যু উপভোগ বোধহয় অনেক সহজ, তাই হয়তো কঠিনটি তুলে রাখা হয়েছে আমার নামে।— % &-
শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলে আর্দ্র বিকেলে,
ফাঁকা ডায়েরি, প্রতিটা শব্দ,
সুরভী ভরা এক শিশি।
ছন্দে টান ধরে,
বেপরোয়া জন্ম ফেলে আসে
এক নরম জঠর।
সূর্যের শেষ আলো, তীব্র রক্তিম,
ধেয়ে নামে শিরদাঁড়া বেয়ে।
ক্ষয়িত তুলি, মেলানকোলিক জন্মের দাগ
এঁকে ফেলে, শরীর জুড়ে।
মৃত্যু ফিরে ফিরে আসে কোমল স্পর্শে।
শিশির ভাঙন,
মৃদুমন্দ বাতাস জানান দেয়!— % &-
কিছু চোখ, বুজে যায়, তবু মৃত্যু নামে না।
কিছু মৃত্যু, নেমে আসে, তবু চোখ বুজে যায় না।— % &-
আমার কাছে একটা কবিতা আছে।
বোবা শব্দের মতন ধরে রাখা,
আজন্মকাল আমাকে বাঁচিয়ে রাখার –
এক কবিতা আছে।
পশলা বৃষ্টির রাতে, চোখে মহীরুহ আনার মতন,
যখন আমি অক্ষর সাজাতে ব্যস্ত ঘর জুড়ে
আমার কবিতায় তখন আমাদের সংসার সাজে
ঋতুর প্রথম ফুলের ন্যায়!
তুমি কখনো ঋতুর প্রথম ফুল দেখেছো, বিলাপ?
অনাদিকাল সময় খরচ হয়েছে,
কিন্তু তোমার দেখা হয়নি আমাদের সংসার।
আমার কবিতায় আমাদের সংসার আছে। তুমি বেঁধে রেখো।
— % &-
অমাবস্যার রাতে প্রেমের বিজ্ঞপ্তি আসে ভুল ঠিকানায়,
একের পর এক দরজায় কড়া নাড়া, আর নিয়তির পালসেশন।
বোবা আবেগ, ঘোলাটে শ্রুতি, অসাড় শিরা ঘিরে ধরে –
আমাকে, আমাদেরকে শহরের চৌমাথার মোড়ে।
সে রাতে ভীষণ ঝড় ওঠে ভিতর ঘরে,
আধখোলা জানালা, ল্যাম্পপোস্টের আলো অতীত খুঁড়ে জানান দেয়,
গোলাপে পোকা লেগেছিলো, সে মাস কয়েক আগে।
আমরা বুঝিনি, বুঝতে দেওয়া হয়নি।
জোয়ার ভাটা খেলে চলে প্রতিনিয়ত,
বাষ্পীভূত হয়ে ওঠে সম্পর্কের রেশ।
একসময় আসে, যেখানে মৃত্যু-নিঃশ্বাস নিজেদের পরিপূরক!
আমরা শেষ হতে থাকি, আমাদের থেকে।— % &-
আমি রোজ মৃত্যু দেখি।
রক্তমাখা লাশ আমাকে ছুঁয়ে যায় আলোয়,
চেনা শরীরে অচেনা কারণ কাটাছেঁড়া করে, হিম ঘরে –
তারা হাতছানি দেয় উল্কাস্রোতে,
শীতল রক্ত মেরুদণ্ড বেয়ে নীচে বয়ে চলে ক্রমশ।
গতি দ্রুত-দ্রুততর-দ্রুততম,
সময়ের কাঁটা উন্মাদ হয়ে ওঠে নির্জনে।
আপেক্ষিক নিজের মুখ, ঝাপসা প্রতিবিম্ব চোখে পড়ে,
আমি নিজের ফ্যাকাশে চামড়া দেখি,
ডাগর চোখ মৃদু ইশারা করে চৌকাঠে!
আলতা মাখা পা, ছাপ রেখে যায় নীরবে,
নুপুরের শব্দ মুহূর্তে ক্ষীণ।
আমার ডাক আসে, সে বিশ্বাস করে না।
আমি মৃত্যু দেখি, সে মানে না। — % &-
অজ্ঞাত ঝড়ের বাতাবরণ, সাবধানী বাতাসও যেখানে অসাবধানে,
কিছু বাড়তি দ্বন্দ্ব রেখে, পশলা বৃষ্টি, এই প্রহরের শেষটা গোনে!— % &-
কিশলয়-বার্ধক্য, অস্তমিত সন্ধিক্ষণ,
সময়ের ঘূর্ণন, দিগ্বিদিক,
ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন বালুচরে,
নবজন্ম প্রারম্ভিক।
পুরোনো দেহ, ক্ষয় আসন্ন,
সরলরেখা চলমান।
ক্ষয়িষ্ণু আত্মা, ব্যর্থ অযথা
ক্লান্তি – এক দৃঢ় প্রমাণ।
— % &-