এই যে এলে আমার কাছে লক্ষ বছর পরে,
এটা জেনেও আবার কঠিন যুদ্ধ হতে পারে।
ছিলই যদি বুক ঠেকিয়ে জাপটে রাখার চাওয়া,
তবে সেদিন কেন বিপরীতি হাওয়া বদল হওয়া?
কোন দোষে আজ ভাঙবো আকাশ তুমিই বলো;
ফিরবে যখন খানিক আগেই ফিরলে হতো!
এখন ছন্নছাড়া ব্যালকনিটা'ই বুনছে আমায়,
তোমার দেওয়া ক্যাকটাসেরা কান্না গোছায়;
আমিও এলাম তোমার কাছে লক্ষ বছর পরে,
এটা জেনেও বিনা নোটিশ যুদ্ধ হতে পারে।
আজ তীব্র ভীষণ আগলে নিয়ে আঁকড়ে রাখার চাওয়া
তাই হবার ছিলই আবার এমন হাওয়া বদল হওয়া।
এবার শক্ত ভিতে ঘর বানাবো মনের মতো,
তখন বাঁধা গুলোই নুইয়ে কপাল খুব সীমিত!
যত্নে ধূলোর স্তর জমানো কয়েক আস্তরণে,
এই শূন্য ঘরে ওরাই তোমার গন্ধ খুঁজে আনে।
-
তোমার আমার মধ্যে যেসব স্বত্ববিলোপ আছে
সেসব এখন স্পর্শকাতর, লুকিয়ে থেকে বাঁচে।
সবটা ছিল বেশ সাজানো বিকেল রোদের আঁচে
ওসব এখন ঘুমপাড়ানি, মেলাটোনিন ছাঁচে।
খুঁজছি শহর তন্নতন্ন, পাড়ার থেকে মোড়ে
বৃথা খোঁজা, সেসব জানি তোমার স্টেশন রোডে।
ঘর জুড়ে আজ রোগ পুষেছি, সারবে এমন ভাবছি না
তোমার থেকে মুক্ত হলেও সরতে যেন চাইছি না!
আমরা জানি এসব পরেও স্বত্ববিলোপ আছে,
তোমার কথা টানছি না আর, ওরা আমার ঘরে বাঁচে।
-
বৃষ্টি তুমি দৃঢ় হয়ে বাঁধন রুপে এসো,
বৃষ্টি তুমি সময় নিয়ে এসো পুকুর পাড়ে,
এই দূরত্ব যা তোমার-আমার বছর গুনে মাপা,
আসলে তুমি কয়েক পায়ে মিলিয়ে যেতে পারে।
বৃষ্টি তুমি এই অভাগীর স্বস্তি হয়ে এসো,
আর সঙ্গে এনো কালো চোখের ঘুমের পরিপাটি,
বৃষ্টি তুমি সময় করে তার দুয়ারেও যাও-
যার উঠোন জুড়ে পাথর মেশা শক্ত ভীষণ মাটি।
-
কোনোদিন আবার ঘন মেঘ করে এলে,
তুমি আর খুঁজবে না এই হাত, জানি;
তবু চেয়ে দেখো একবার পিছন ফিরে,
বাজ্ এর শব্দে আর গুটিয়ে নেই আমি।
আকাশ ভাগ হয় যেই শহরে রোজ দিন,
কারো না কারোর ছাদ ধ্বসে আনায়াসে,
আমি আজও ভুলে যাই দোয়াতের দাম
আমার গল্পে কেউ থেকে যায় ভালোবেসে।
এই ঘরে বারবার এসেছে আগন্তুক
প্রতিবার সাজিয়ে নিয়েছি ব্যালকনি,
প্রিয় ফুল প্রিয় গান পাল্টেছে কতবার...
কেউ নিজেকে ভাঙতে পারে কতখানি?
যে শহরে বিক্রি হয় সুর, দরদাম করে
আর বিচ্ছেদ কেনে মানুষ চোখের পলকে,
সে শহরে শুধু ইমারত বেচেঁ থাকবে
মানুষ ঘর চেয়ে চেয়ে ধাঁধায় হারাবে শেষে।
আজকাল সদর দরজা বন্ধ এই চত্বরে,
আগন্তুকের প্রতি মায়া কেটে গ্যাছে কবে!
বাইরে প্রয়োজন নেই এদিকেরও বিশেষ,
ফিরবো কোনো কালে আবার, সূর্যমুখী বেশে।
-
অস্থায়ী ঘর-সংসার যা, কিছু হিসেব রাখে ডায়েরী
তবু না পাওয়ার খাতা-তে শুধু তোমার থাকার কথা থাক;
ইট-কাঠ-পাথর জোড়া শহরে ঝর্না যেমন শান্তি, তেমন'ই―
এক বুক মরুভূমিতে তুমি আমার একার গুলমার্গ।
-
জ্বরের গায়েও কষ্ট গুলো আছে যে-যার মতো
কুড়িয়ে নিয়ে মেঘলা দিনের গুমোট কালো শোক,
পাহাড় হয়ে অপেক্ষারা বাড়ছে তোমার নামে
একটু সময় হবে? তবে ওদের স্বস্তি প্রাপ্তি হোক।
-
আবার একটা সন্ধ্যায় ফিরে যাই তোমার বাড়ি,
মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে রোজ, ভালোবাসার গল্পে...
তোমার-আমার;
অবিশ্বাস্য কিছু রোগ বাসা বেঁধেছে এই দু-পাতায়!
ওরা সেরে ওঠে শুধু মধ্যরাতে, ঘুমের ঘোরে।
ঘুম ভাঙলেই শরীরে আবার জাকিয়ে বসছে জ্বর,
অশরীরি কিছু লক্ষণ দেখা দেয় দিনের আলোয়!
হাত-পা-মুখ সব চলে যেমন চলার কথা নিয়মে,
রাত পর্যন্ত রাস্তা পার করে যায় সেই চলনবিল...
আর একটু অন্ধকার হোক, আরো একটু কালো
শরীর নুইয়ে পরে অগোছালো বিছানার কোনায়...
একপাশে জায়গা রেখে এক আত্মার;
চোখ বুজে হাত বাড়িয়ে দিই রোজ।
কপাল-বুক আর আজও সেই এলোমেলো চুল
আমি চোখ বুজে সমস্ত টের পাই রোজ!
শান্তির দূত হয়ে তুমি আসো ঘুম আসে,
দিনের আলোয় আবার সব নিখোঁজ।
-
লক্ষ মুখের আদল এড়োয়, একটা মুখই খোঁজে;
হাজার ভীড়ের মাঝেও কেমন নিঃস্ব হয়ে বাঁচে!
ইন্ডিকেটর সঙ্গী যখন একের পর এক রাতে
নুইয়ে পড়ে নিয়ম করে স্লিপিং পিলের কাছে।-
আমি বসন্ত বিরোহী হয়েই কাটিয়েছি বহুকাল...
আমি আমার কাছে কারণ দিইনি তোমায় খোঁজার,
বসন্তের প্রেম জেনেছি হঠাৎ তোমায় চেয়ে ফেলে;
এমন তো নয় এমন কখনো হয়েছে এই পোড়া কপালে
অথবা এমনও লক্ষণ দেখি না এমন হবার, আবার!
ঘর-বাড়ি-জায়েদাদ বন্দক দেওয়া আছে কারোর কাছে,
সব ছাড়িয়ে নেব এমন ইচ্ছে রাখিনা আমি আদৌ!
বাস্তববাদীরা বলবে আমি মিথ্যে শোক কুড়িয়ে বেড়াই
ওরা কানাঘুষো করবে, কাটাছেঁড়া করবে চরিত্র নিয়ে,
ওরা জানে না, তোমায় ঋণে জড়িয়ে রাখাও তো রাখা!
এভাবেই মাস-দিন যাচ্ছে আমার চোখের নিমেষে রোজ
এভাবেই ডায়েরির পাতা ভরে যাচ্ছে আস্তে আস্তে,
আগে ছিল রোজনামচার কপালে এক পাতা করে বরাদ্দ,
এখন পাতার পর পাতা শুষে নেয় রোজের কত ঘন্টা..
ওরা জানে না, তোমায় সময়ে জড়িয়ে রাখাও তো রাখা!
-সায়ন্তনী-
কোনোদিন আবার ঘন মেঘ করে এলে,
তুমি আর খুঁজবে না এই হাত, জানি;
তবু চেয়ে দেখো একবার পিছন ফিরে,
বাজ্ এর শব্দে আর গুটিয়ে নেই আমি।
আকাশ ভাগ হয় যেই শহরে রোজ দিন,
কারো না কারোর ছাদ ধ্বসে আনায়াসে,
আমি আজও ভুলে যাই দোয়াতের দাম
আমার গল্পে কেউ থেকে যায় ভালোবেসে।
এই ঘরে বারবার এসেছে আগন্তুক
প্রতিবার সাজিয়ে নিয়েছি ব্যালকনি,
প্রিয় ফুল প্রিয় গান পাল্টেছে কতবার...
কেউ নিজেকে ভাঙতে পারে কতখানি?
যে শহরে বিক্রি হয় সুর, দরদাম করে
আর বিচ্ছেদ কেনে মানুষ চোখের পলকে,
সে শহরে শুধু ইমারত বেচেঁ থাকবে
মানুষ ঘর চেয়ে চেয়ে ধাঁধায় হারাবে শেষে।
আজকাল সদর দরজা বন্ধ এই চত্বরে,
আগন্তুকের প্রতি মায়া কেটে গ্যাছে কবে!
বাইরে প্রয়োজন নেই এদিকেরও বিশেষ,
আবার ফিরবো কোনো কালে সূর্যমুখী বেশে।
-