জীবন পারাপারের খেয়া দিকভ্রষ্ট অন্তহীন
অস্তিত্ব শুধুই সাক্ষী যাত্রীহীন
----নন্দিতা✍️-----
মনের ক্ষত মাপতে মাপতে,চৌকাঠ পেরোনো বাস্তুহারা মন,অগ্নুৎপাতের লাভায় জ্বলে পুড়ে কঠিন রূপ নিয়েছে,হয়েছে শক্ত নিরেট পাথর। বসন্তের রং জাগে না সেখানে। শুধুই ধূসর শ্যাওলা ধরা কিছু সজীবের আনাগোনা।
মুহূর্তেরা জ্বলে পুরে খাঁক ।
নোনতা দিঘির চারপাশে শুধুই কাজল ধোয়া দীর্ঘ শ্বাস ।নিঃস্ব হৃদয়ে দাঁড়িয়ে খাঁচাবন্দি রূপকথা, জল তুলিতে আঁকে ভালোবাসা হীন
কল্পনাকাশ। গলা অব্দি ডুবে আসা-পাঁকে বাঁচতে চাওয়ার আকুতি
ছটফটানি দুপুর পেরিয়ে কাল রাত্রি শেষে একটি ভোরের অপেক্ষায় ,
নিশ্বঃতার হোকনা, পরিসমাপ্তি।
----নন্দিতা✍️-----
দুলছো দোলো, ছিটকে পড়লে, কেউ আসবেনা
এমনি চোখে সর্ষেফুল তো আর কেউ দেখেনা..
----নন্দিতা✍️-----
চোখে ছিল নীল নেশা তুমি ছিলে তখন পাশে
বুকের ভাঙ্গন বাড়িয়ে
আজ তুমি তারা হয়ে সান্ধ্য আকাশে
ঝাপসা চোখের কোন শ্রাবণ বারো মাস
আধার রাতের মৃদু আলোয়
খুঁজে ফিরি আমাদের রূপকথার অধিবাস।
----নন্দিতা✍️-----
বাড়তে থাকা আশকারা রোজ প্রতিদিন
মনের আগল যায় ছুঁয়ে,
বলগা দিয়ে আর বেঁধোনা,
ফাগুন আসুক লাজুক লয়ে।
শিউলি ফোটা গন্ধে বিভোর,
আজও সঙ্গী মেয়ে বেলা।
কৃষ্ণচূড়া ভুলতো যদি
আবির লালের রং খেলা।
ধূসর আকাশ ঝড়তো তখন শ্রাবণ হয়ে,
গোধূলি বিকেল সাজতো কি
আগুন রাঙা লাল রঙে।
বেরঙ হয়ে ভালোবাসা
ফেরায় যদি মুখ,তার বেলা?
ভালো থাকার টনিক হয়ে
বাড়তে থাকুক আশকারা।
----নন্দিতা✍️-----
স্মৃতি বিজড়িত কিছু মায়া
সংগোপনে ছায়া হয়ে মিশে থাকে
একই চাঁদের বিছানো চাদরে
তোমার আমার দূরত্ব ইঞ্চি মাপে।
----নন্দিতা✍️-----
মন ভালো নেই চোখে ঘুম নেই
মনের ভারি অসুখ
শহরের কোনে জেগে থাকে রাত
বঞ্চিত লাঞ্ছিত আপত্য সুখ।
---নন্দিতা✍️----
দলা পাকানো কষ্টগুলো জমিয়ে রাখো নির্বিচারে
রক্ত ফোটায় মুক্তি লেখো প্রতিবাদের লাল অক্ষরে
----নন্দিতা✍️----
-