আম্রশাখে নতুন প্রাণ,
চৈত্রের বাতাসে মিষ্টি ঘ্রাণ।
নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা,
বাড়তে থাকুক ভালোবাসা।
নতুন ভোরের নতুন আলো,
নববর্ষ কাটুক ভালো।।-
বৃষ্টি ভেজা বিকালটায়, টুপটাপ ঝরছে জল,
ক্লান্ত রেখার ওপারে, ফিরে চলে বকের দল।
সন্ধ্যা নামার আগে, কেউ আঁকছে গোধূলি,
হলদে ছায়ায়, নদীর বুকে ধুয়েছে রঙতুলি।-
বসন্ত যায় চলে শেষ পলাশের কুঁড়ি ফুটিয়ে...
চেনা রোদে অচেনা ভিড়ে আবার বসন্ত ঠিক যাবে জুটে।
-
পরীক্ষা বেজায় ভালো কি মন্দ নয়।
গাল ফুলিয়ে ঠিক ভুলের দন্দ শুধায়।
মনের মধ্যে কত কি যে
আগডুম বাগডুম খেলে।
কত উত্তর বয়ে আসে, মনের দিকে ধেয়ে।
প্রশ্ন, উত্তর, দাগ নম্বর,
মাথার উপর ব্রেকডান্সে মাতে।
অচেনা সত্ত্বেও প্রশ্নগুলো
কেমন গায়ে পড়ে হাই হ্যালো বলে।
চেনা মুখ গুলো কেমন না চেনার ভান করে।
উত্তর গুলো ব্রেনের পাশে লুকোচুরি খেলে।
ঘন্টা পড়লেই, কেবল ধপ্পা দিতে আসে।
ওহে ফার্স্ট বেঞ্চের বিদ্যেধরী
টুকলি করে উত্তর ঝাঁপিস,
তুমিই আবার অহংকারী।
ফার্স্ট বয়ের প্রোপোজাল আক্সেপ্ট করলে,
আজ আমি ও হতেম বিদ্যের ঝুড়ি।
নেকস্ট বারে দেখিয়ে দেব আমিও কিছু করতে পারি।
কতদিনের আগের কথা
দিয়েছিলি তুই কথা...
প্রশ্নের উত্তর বলে দিলেই
পাবো ক্যাডবেরির দেখা।
কই? রাখিস নি তো কথা
বলতে গিয়ে হঠাৎ খেলাম
কড়া হাতের কানমোলা।
টিচার্স রুমে ডাক পড়েছে
মায়ের সাথে গেছি
সবার আগে চড় বসল
গালের মধ্যে দাগ...একি!
সেসব দিন আজ ভুলেই গেছি
খাট্টা মিঠ্বা স্মৃতিরদের হাতছানি।।
-
প্রকৃত মানুষ হয়ে বেড়ে উঠার সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়,
পরিবারের বিপদে নিঃস্বার্থ ভাবে শেষ করে সমস্ত সাশ্রয়।
-
বাবারা থাকুক বিপদের ঢাল হয়ে,
বাবারা থাকুক জীবনের শিক্ষক হয়ে,
বাবারা থাকুক অন্যায় আর ভুলের ভয় হয়ে,
বাবারা থাকুক সাফল্যের পথপ্রদর্শক হয়ে,
বাবারা থাকুক প্রেরণাদাতা হয়ে,
বাবারা থাকুক যুদ্ধজয়ের মন্ত্রদাতা হয়ে,
বাবারা মিশে থাকুক ভিড়ের মাঝে অনন্য হয়ে।-
'বাবা'...
এমন একজন মানুষ,
যার কাঁধে ভর করে আমরা বেড়ে উঠি।
যে ভয় পেতে জানে না।
অদম্য সাহসী,
সবথেকে শক্তিশালী।
অঙ্ক করতে গেলে যাকে
সবথেকে ভয় পেতাম।
যে পরিবারের সবার জন্য ভাবে,
নিজের ভালোলাগা ভুলে যায়।
ভালোবাসার প্রকাশ করতে পারেনা,
কিন্তু দুহাতে আগলে রেখে বড় করে।
বিপদ আসলে ঢাল হয়ে দাঁড়ায়,
যুদ্ধজয়ের মন্ত্র শেখায়।
অসফলতাকে কাটিয়ে,
সাফল্যের দরজায় পা রাখতে শেখায়।
পিতৃদিবসের অনেক শুভেচ্ছা,
প্রত্যেক বাবাকে...
-