রাগের বহিঃপ্রকাশের ভঙ্গিমা ভিন্ন
কারো চটজলদি বা কারো পুষিয়ে রাখাই ধর্ম।
উৎস আবার অনেক রকম বর্তমান অথবা অতীতের ক্ষত,
পরিনতি কখনো ভয়ঙ্কর আরো বেদনাদায়ক অমার্জনীয়।
ফলাফল বিচারে দুই দিক পাবে
কখনো সম্মুখ উদাহরণে তিক্ততা আনে ,
কখনো বা নিজের দিকেই অগ্নি তীর ধেয়ে আসে ।
স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ,,
রাগ , দুঃখ,হাসি, কান্না সবার ভেতরেই আছে
চাইলেও এ অভ্যাস নাগপাশের মত মুক্তি না মেলে ।
কোথাও নিয়ন্ত্রকের অভাব ,
কোথাওবা সংকীর্ণ চাপের আবহাওয়া থাকে
ঝড়ের বিধ্বংসী রূপ দেখে সৃষ্টি কর্তাও যেন বলে
"এতোটা না এগোলেও হতো " ,
নিজেকে কেমন অপরাধী লাগে !
-
“ বাবা ”
বাবা মানে নির্ভরতা।
বাবা নিখাদ আশ্রয়।
উত্তপ্ত সূর্যের তলে সন্তানের শীতল ছায়া।
বাবা মানে ভরসা। আবার বাবা শাশ্বত,
বাবা চির আপন।
সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায়
সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে হয় বাবাকে।
আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা হলো বাবা।
বাবার মাধ্যমেই সন্তানের জীবনের শুরু।
সন্তান বাবার ঋণ কখনও পরিমাপ করতেও পারে না।-
বাঁচা মরা সবার আগে ,,
তারপর না হয় ইকোনমি যাবে ।।
ব্যবসা দেখিয়ে কি লাভ পাবে ,,
জীবনটা যদি নাইবা থাকে ।।
দুই টাকার জিনিস পাঁচ টাকা হবে ,,
এই শিক্ষিত আমরা মহামারীর দিনে ।।
পাঁচ কেজির চাল এক কেজি পাবে
ত্রান বিতরণের অনেক নাম হবে ।।
ওই দিকে তুমি শপিংমলে ,,
কিনে নিয়েছো বছর ভরে ।।
মধ্যবিত্ত , নিম্নবিত্ত দিন আনে দিন খায় ,,
শুনেছিলাম তো সে অনেক যায়গায় ,,
দিনের মত দিন চলে যায় ,,
খাবার কোথা আধপেটা তাই ।।
শিক্ষিত আমরা অধিকাংশই ,,
সচেতন নাগরিক শুধুমাত্র পুঁথিগতই ।।
মূল্যবোধের ভীষণ অবক্ষয় ,,
দেশ যে আজ সচেতনতা চায় ।।
-
আলোর এক স্পর্ধা ছিলো
আকাশ কুসুম দম্ভ,,
তরুণের ওই উদ্দীপ্ত শিখা অনির্বাণে মুখরিত ।
যদি বলি ওই পূর্ন বিলাস আপন নেশায় মত্ত
জগত দেখেছে পাপ, পূণ্য , পূর্ণতা ,অপূর্ণতার মায়া ,
কার সাধ্য কে ভাঙ্গাবে চৈতন্য ব্রম্য জগতের ছায়া।
তবু অচিন বারে বারে আসে ...
কখনো পথহারানো তো কখনো
আপনারে বিলানোর নাট্য মেলা ।
বৃথাই সেসব সং ঢং !!
দুটো কাটা বার বার ভাবায়
বড্ড দেরি !!গান্ডীব চ্যুতো তির কখনো কি পিছু চায় ?-
আমরা সবাই বাস্তবের আড়ালে দেখানোকে ভালোবাসি ...
টিপটাপ থাকতে স্বচ্ছতা দেখাতে ভালোবাসি ।।
আসল আনন্দগুলো কে চেপে রেখে নিজেকে প্রমানে মাতি ।
কি হবে তার জটিল ক্যালকুলেশনে বসি ।
দিন যায় দিনের মতো আঙ্গুল শক্ত তীক্ষ্ণ চাহনি ছকে ফেলা দান নির্ভূল নীরসের দাবি !!-
অবাধ্যতায় ছিন্নভিন্ন স্নায়ু পাশ
নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ সম নিরঙ্কুশ ইচ্ছাধারী ।
কালের পাপে পুরোনো লোভে
মানুষ মরেছে বারে বারে ।
কোমল স্নেহ মাসুম কুঁড়ি
স্পর্শ নয় উপড়ে দিয়েছে নাড়ী ;
শত সহস্র দূরে সেসব চিত্রকূট
লিখছে অবিরাম যুগের কথা
আসা যাওয়া ধ্রুবক কর্মে মনে রাখি ।-
যদি বলি সময় আর সম্পর্ক
কোনটা বেছে নেবে ?
এখানে কেউ কারো পরিপূরক না
কেউ কারও অধীনেও না
দুটো আলাদা সুতোয় গাঁথা
দুটো আলাদা গল্পের মালা ।।
কোনটা বেছে নেবে !-
একজোড়া স্বপ্ন অন্ধকারেই বেড়ে ওঠা ,,
রয়ে গেছে একটু একটু করে বেঁধে দেওয়া সময়ের ধারা
কাল কুঠুরির নিষ্পেষিত গণপ্রহার
মর্যাদা কোই ভেঙ্গেছে সরমের বাঁধ ।
তপ্ত বিস্ময়ের চোখে মানুষ যেন বিভীষিকা !!
উঠানে বিভৎস অনল তবুও শক্ত কব্জি
অনড় খুঁটি সর্বত্র সমান ভার রাখা ,
স্নায়ু হৃদপিন্ডের এক বিনিদ্র কাটাকুটির খেলা ,
নেশায় বুদ প্রহরী গুপ্তধন কার ভরসায় রাখা !
কেউ কেউ বলে ধর্মের কল নাকি বাতাসে নড়ে ,
বারির আগমনে সেতো মরুভূমিও বাদা হবে
উন্মত্ত পাষণ্ডের বুকে আজ বসন্তের ছবি আঁকা ,
আজ আর নরোবলি নয়
হোক সংসারে নরনারীর প্রেম মালা গাঁথা।।
-
আয়রে খোকা বেরিয়ে আয় ,,
পুব আকাশে দেখ বিজয়ী ধায়
ওই শোন ওই শঙ্খ বাজে সাথে দেখ ওই তেরেঙ্গা লেহরাই।
বুঝলি খোকা স্বাধীন মোরা বুকে এবার জোয়ার বয় ,,
ফসলের ক্ষেতে কৃষকের জয় ,
মাঝির ছিঁড়েছে পাল নৌকা আপন বেগে বয়।
ওই দেখ ওই মিছিল যায়
তাজা রক্তেও নাকি বারুদ নেভায় ।
শুনলাম ওরা বাড়ি ফেরে নাই
মাকে বলেছে শিকল-বেড়ি ভাঙতে যাই ,,
ভয় নেই খোকা ফিরিঙ্গি পিশাচ আর নয় ।
জাঁতাকল ওরা ধূলিয়েছে দেওয়াল গড়েছে রক্ত নিশান।
দেখ ওদিকে সমর পানে স্পর্শ ভাষায় দৃঢ় অবস্থান,,
চল চল আজ মুক্ত আকাশ ,
ভাসুক তাতে জাতীর জয়গান ।
এদেশ আমার নতুন রূপে
দুশো বছর ধরে মা হারা সন্তান কেদেঁছে ।
আর নয় আর নয় মায়ের কোলে বীর সন্তান ফিরে আয় ,,
আয়রে খোকা স্বাধীন মোরা
ওই দেখ ওই তেরেঙ্গা লেহরাই ।-
সলতের আগুন নিভে গেছে !!
দিনের অন্ধকার রাতকে হারমানাবে ।।
কুন্ডলিত ধৌয়া তৈলাক্ত গন্ধ মাখে ,,
শুভাকাঙ্ক্ষী আত্মারা সব মিলিয়ে যায়
দুরে কোন এক নিরুদ্দেশে ।।
জনমানবহীন এই রাতের পৃথিবীতে
নিঃশব্দে পশুরা আসে মানুষের বেশে ,,
চোখে খিদে লালায়িত সমস্ত দেহ
অপকীর্তির পিপাশায় পাপের আগুনে মরে ।।
তবুও টু শব্দটি নেই বোবা ভুতে যেন গলা টিপেছে ।
রাত আরো গভীর হবে আর্তনাদ আরো প্রবল হবে ,,
তবু প্রতিবাদ নেই অশ্রু জলে যন্ত্রণার তর্পণ হবে ।।
ভোরের আলো ফুটলো বলে
মাগরিবের আজান হবে মোল্লা ছোটে মসজিদ পানে ,,
হিন্দু বাড়িতে উঠোন সাজে
তুলসী তলায় জল পরে সংসারে নাকি এতে শান্তি দেবে ।।
ওদিকে পিশাচেরা সব মিলিয়ে যায় দিনের আলোর ব্যস্তানুপাতে ।।
আর ভয় নেই যা হবে আবার সেই রাতের অন্ধকারে ।।-