অভিমান যত ধুয়ে মুছে যাক আবেগের পারাপারে।
বহু প্রতীক্ষার অবসান, বসন্ত এসেছে দুয়ারে।
মুখেতে কুলুপ, চক্ষে বারি, নিথর দেহ মন।
আঙ্গুলের নখে জমাট বাঁধে , অনুতাপ যখন....
""মনখারাপের আমি""
-
শহরজুড়ে ভীষণ বৃষ্টি...রঙিন হয়েছে সাদা
জামা জুড়ে ঘামের গন্ধ, মুখে লেপ্টে গেছে কাদা
ছাতা নিয়ে ছুটেছে সবাই ব্যস্ততা রাস্তা জুড়ে
আমি তখন মোড়ের মাথায়, তুই অনেক অনেক দূরে.....
"মনখারাপের আমি"
-
তোর রাতের আকাশ মশাল জ্বালে
আঁধার ঘনালে,
আমার রাতের আকাশ স্বপ্নে বিভোর
কোনো বোবা টানেলে।
তোর রাতের আকাশ সেজে উঠুক
হাজার তারার বাতি,
আমার রাতের আকাশ উপড়ে দেয়
গরল ভরা ছাতি।
তোর রাতের আকাশ ভালোবাসা দেয়
শীতল পুবেল হাওয়া,
আমার রাতের আকাশ শিকল বাঁধা
যায় না কোথাও যাওয়া।
তোর রাতের আকাশ জেগে ওঠে
জিওন কাঠির ছোঁয়ায়,
আমার রাতের আকাশ গুমড়ে ওঠে
আগুন ভরা চিতায়।
তোর রাতের আকাশ উদাসীন ঢেউ
মত্ত জোয়ার ভাটায়,
আমার রাতের আকাশ প্রহর গোনে
ইচ্ছে ঘড়ির কাঁটায়।
তোর রাতের আকাশ ঝলমলে হয়
নীল পাহাড়ির দেশে,
আমার রাতের আকাশ তোকেই খোঁজে
আমার ছদ্মবেশে।-
সেই নির্জনতার বুকে রক্তের চোরাস্রোত,
আত্মগ্লানিতে ভস্ম ভালোবাসা-মোহ -ক্রোধ।
বয়সের সন্ধিক্ষণ সব কিছু ভুলত্রুটি,
আবেগের পারাপার অজুহাত চাই ছুটি।
ব্যস্ততা ভরা বিকেল অনুভূতির অলিগলি,
মূহূর্ত এসে দাঁড়ায় বিষাদ ভরা ঝুলি।
কখনো ঠায় দাঁড়িয়ে নিষ্পাপ দুই চোখ,
আঁচড়ের দাগ স্পষ্ট রক্তিম হাতের নখ।
ক্ষত বিক্ষত ভালোবাসা, অবসাদ নির্জন কোণে,
জিভের জড়ানো শব্দেরা, সুর তোলে রিংটোনে।
ভুল-বোঝাবুঝি কত খোঁজাখুজি সবই আজ বন্ধ,
ভালোবাসার ফুল শুকিয়ে গেছে রয়ে গেছে বাসি গন্ধ।
আশা-নিরাশা চুল্লিতে জ্বলে পাবে না প্রাণের স্পন্দন,
চিরনিদ্রায় শায়িত আজি ঘুচে গেছে পার্থিব বন্ধন।-
জীবন খাতায় আজি মরণের দূত
রক্তের যমুনায় আসিয়াছে যমদূত,
পিপাসায় বুক ফাটে তবু জীবন হাটে
বেচবো জমানো পুণ্যের সুদ।
-
তোমার ডাকনাম দেব রুবিক'স কিউব,
আমি হয়ে যাব গোলকধাঁধা..
প্রতিটি খাপের রঙ-বেরঙে
তুই আমি একসাথে বাঁধা।
-
..........ঘরে ফেরার পালা..........
ভালোলাগা যত ভাসিয়ে দিলাম ইচ্ছে নদীর জলে,
মনোবল মোর গিয়েছে ভেঙে ঘড়ির যাঁতাকলে।
স্বপ্নপূরণ ধিক ধিক করে জ্বলে, জঠরের অন্দরে
আমার স্বপ্ন দাঁড়িয়ে আছে কোন অচেনা বন্দরে।
চোখ মুখে আনন্দবর্ষা, কপাটের ভাঙা তালা,
স্বপ্ন পেয়েছে মুক্তি, আজি তার ঘরে ফেরার পালা-
মতামত পেশ করেছে সূর্য
ছোট্ট দস্যি সকাল কে....
তুই কেন আসিস এত তাড়াতাড়ি,
ভাললাগেনা বাপু এই বাড়াবাড়ি
রোজ রোজ ঘুম থেকে উঠতে।
তোর কলিংবেল শব্দে নিথর দেহ মন
একসাথে মোরা ছুটি নতুন দিনের জাগরণ।
আলোকিত হয় ধরণী,বক্ষে অগ্নি দহন
সাঁঝ হলে পাই ছুটি, অলস দুই চরণ।
যামিনীকাশে শশীধর আসে, আলোকপ্রভা নিয়ে
ঈর্ষায় মোর কায়া জ্বলে ওঠে বক্ষের অগ্নি দিয়ে।
আমার আলোয় শশীধর জ্বলে নিশীথে শোভা পায়,
মনুষ্যদল আমায় ভুলে গিয়ে চাঁদের ভালোবাসা চায়।-
নীরব হয়ে কেন রও,
তুমি-তো এমন অবুঝ নও!
মহামারী-র প্রকোপ কালে
ভাইরাসের মায়াজালে,
কেন মোদের ঘুম পাড়ালে?
মনুষ্য অভিলাষ, বৃক্ষছেদন
তোমার বক্ষে স্বজন এর ক্রন্দন
ক্ষতে ঢাকা ফুল চন্দন।
আসুক বিপদ, আসুক ভয়
এমন আচরণ তোমার নয়,
জানি তোমার ও অভিমান হয়¡
প্রকৃতি,তুমি শান্ত হও,
বাসযোগ্য ধরণী দাও।-