আসমানী রং তুখোড় ভীষণ, সাদা'র মানে শান্ত
মেরুন শুধুই ব্যাথায় ভরা, দিনের শেষে ক্লান্ত
সবুজ বড় আশকারা দেয়, লাল যে আবার রাগী
গোলাপী মানে মায়ের আদর,আহ্লাদে সোহাগী
বেগুনি রঙের গোপন স্বভাব, বদ্ধ ঘরের কোণে
হলুদ বর্ণ স্বপ্ন দেখায়, ইচ্ছেরা জাল বোনে
ধূসর মানেই অঙ্ক কষা; যুক্তিতে নির্ভুল
নীল রং যে অভিসারিকা- ছড়িয়ে এলোচুল
কমলা রং লড়াই যেতে,কখনও বা হার মানে
কোন্ বর্ণের স্পর্শ কেমন? সেটা মনই জানে।-
সেই অবুঝ অবুঝ চোখ
আর মেসেজটোনের মধ্যে গাঁথা নিযুতরকম শোক
ওর মধুর মধুর দোষ
রোজ খাতার ভাঁজে জমিয়ে রাখে দুইমুঠো আফসোস
ফের খারাপ খারাপ মন
যার একলা গানে ঘর বেঁধেছে ডায়ান্থাসের বন
তার অচিন অচিন রোগ
সে শীতের ভোর আর ব্যাথার চিঠির মেলাচ্ছে সংযোগ
আজ আঁধার আঁধার সুখ
তাই ঘুমের ভেতর কান্না সাজায় সহস্র ভুলচুক
- মাধবীলতা-
আমার মতন শীতবিলাসী
তোমার মতন দার্শনিক;
এমন একটা রোদকবিতা
মনমুলুকেই জন্ম নিক।
মনমুলুকের ল্যাট লং নেই-
আছে শুধুই ওড়ার সুখ।
উড়তে গিয়ে জখম হলে
মেঘ পেতে দেয় স্নিগ্ধ বুক।
আমার মতন বিষাদবিকেল
তোমার মতন সবুজ ভোর;
আলোর নীচে নীল কুয়াশা,
চোখের নীচে ইচ্ছেঘোর।।
-
আমার দেশে বিকেল ভেজে চাঁদে
আমার দেশে আঁধার'রা অচ্ছুত
আমরা সবাই জ্যোৎস্না ধরি হাতে
আমরা সবাই তিরঙ্গা বিদ্যুৎ-
এমন ভোরগুলোতেই
এলোমেলো ঝড়ে
বিধ্বস্ত হয় গোটা এক পৃথিবী
তোর চোখের বিষাক্ত ছোবলে
আহত অহংকার
আর কত গজল শোনাবি তুই স্রোতস্বিনী?
প্রতিবারের মতই
সদ্যোজাত অবোধ অনুভূতিরা
জাপটে ধরে বুক...
আমি কাল সমস্ত রাত
নীলাভ শরীর নিয়ে
বশ্যতা মেনেছি চাইকোভস্কির।
আর কত নির্মম হবি তুই স্রোতস্বিনী?-
বৃষ্টি এলেই
সুরক্ষার বেড়াজাল পেরিয়ে
নিষিদ্ধ আঁধারপথ পেরিয়ে
দুর্নামের কাঁটাঝোপ পেরিয়ে
রক্তাক্ত আমি
বেহায়া আমি
স্পর্ধানুরাগী আমি
শুধু একটু বাঁচব বলে
তোমার পাথরবুকে ঝাঁপ দিয়ে মরি
তোমার অজান্তে
তোমার থেকে অজস্র যোজন দূরে-
আমার আছে গল্পবোঝাই ফুলের বন
বনের আছে মনখারাপের অসন্তোষ
অসন্তোষের একটি আছে মন্দ মন
মন্দ মনের ভরসা শুধুই সঙ্গদোষ
-
আমার দুই গালে তখন অহংকারের রক্তিম আভা! যেন কোনও এক গভীর গোপন ভালোবাসা রয়েছে কোথাও ...
আমি তিরস্কারের রুক্ষপথেও এলোমেলো পা ফেলি! যেন হোঁচট খাওয়ার আগেই কেউ দৌড়ে এসে আগলে নেবে উষ্ণ বুকে!!-
কবিতা লিখতে পারিনা বলে
একদিন অস্তগামী সূর্যের কাছ থেকে
একমুঠো সোনালী রঙের নরম আলো চুরি করে রেখে দিয়েছিলাম ছাদের কোণের চিলেকোঠায়
সেই আলোর নাম দিয়েছিলাম- নৈঃশব্দ।-