যদিও সবার ভাল্লাগে না ।
সবার ঘরে চাল থাকে না,
এগুলো কি সইতেই হয় ?
প্রতিবাদ করতেই হয় ।
লকডাউনে ভাত জোটে না ।
তবুও নেতার চোখ ফোটে না,
এ গ্লানি কি বইতেই হয় ?
প্রতিবাদ করতেই হয় ।
-
এমন একটা ধারালো স্তবক যেটা
খুলি ফুঁড়ে ঢুকে যাবে ।
ঘেঁটে দেবে শুকনো বিষ্ঠাময় মনন,
মগজ ।
তারপর,ওইসব প্রেম-ফ্রেম, অন্ত্যমিলের ছেনালি দেওয়ালের গায়ে,
মাতালের মতো অনায়াসে মুতে দেবে ঝাঁঝালো বিপ্রতীপ ক্রম ।-
উড়ান না দিলে কীভাবে বোঝা যাবে শিকড়ের দাম ?
রোজ ঠাসাঠাসি শহর মগজ, আর হৃদয়টা গ্রাম ।-
মলিন ভারতীয় লোকটিকে পাত্তা দেননি দিত্রিউশ মুলার, খেদিয়ে দিয়েছিলেন । দেবেন নাই বা কেন, প্রবাদপ্রতিম বিজ্ঞানী ভিয়েনায় এসেছেন কোয়ান্টাম স্পেস নিয়ে সদ্য লেখা পেপারটা প্রেজেন্ট করতে, সেখানে মাঝরাতে হোটেলের ঘরে উঠে আসার স্পর্ধা দেখিয়েছিলো ওই ইন্ডিয়ান ফকির । শুরু করেছিলো সূক্ষ্ম দেহ, ভিন্ন ডাইমেনশান নিয়ে ভাট বকা । একটা রুটারের মতো দেখতে যন্ত্র নিয়ে এসেছিলো নিজের আবিস্কার ব'লে । সেটা দিয়ে নাকি ঘুরে বেড়ানো যাবে বিভিন্ন মাল্টিভার্সে । ডাইমেনশানগুলোর মোটা পর্দা প্রবল থেটা তরঙ্গ ছড়িয়ে যন্ত্রটা নাকি একটু উড়িয়ে দিতে পারে, সেই ফাঁক গ'লেই বেরিয়ে পড়া যায় । হুইস্কির গেলাসটা ছুঁড়ে মারতেই বাকি রেখেছিলেন মুলার । ফকিরটা বেরিয়ে যাওয়ার আগে যন্ত্রটা ঘরের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলো, "বিজ্ঞানমনস্কতা আসলে যাচাই ক'রে দেখার মানসিকতার উপরে নির্ভর করে ।"
রাগ কমলে, মুলার খেলাচ্ছলেই কুড়িয়ে এনেছিলেন যন্ত্রটা । বাঁদিকটা একটু ভেঙে গেছে । সুইচটা টিপে দেখতে গিয়েছিলেন কী হয়...
একটু আগে এন্টৌগার পাঁচ শতকের বিজ্ঞানী মুলার, পৃথিবীর দুহাজার আঠেরো সালের বিজ্ঞানী মুলারকে বোঝাচ্ছিলেন মেকানিকাল বিচ্যুতির কারণে যন্ত্রটা সমস্ত মাল্টিভার্সের সব মুলারকে টেনে নিয়েছে এই ত্রিশঙ্কু জায়গায়, যেখানে সময় বলে কিছু নেই । অন্তহীন কাল ধরে বিভিন্ন মুলার লাইন দিয়ে যন্ত্রটা সারানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন ।-
যেসব কথা বলতে নেই
___________________
পাহাড় থেকে নামতে নামতে,
বীভৎস কাছ থেকে দেখছি
অনেকটা দূরে তুমি বসে আছো, আমার পাশে ।
আমার কাঁধের সাথে লেপ্টে আছে তোমার গাল,
হাঁটুর সাথে উরু,
যেভাবে ঋষিখোলায় কেটেছে পাঁচটা দিন ।
অথচ তোমাকে চিনেছি কিনা ভাবলেই
দেখছি অনেকটা দূরে তুমি, পাহাড়ি গ্রামের মতো স্থির ।
-
কিছুদিন আগেই প্রবল সত্যি ছিলো লোডশেডিং । জ্বলে উঠতো হেরিকেনের আলো । ঠাম্মার থান কাপড়ে গা এলিয়ে, বুক ভরে জর্দার আঘ্রাণ নিতে নিতে শোনা যেতো কর্ণের গল্প ।
এখন শৈশব নেই, হেরিকেন নেই । উড়ে আসা আরশোলাগুলোর শুঁড় ধরে তুলে কাঁচের বয়ামে রেখে পোষ মানানোর ব্যাকুল চেষ্টা করতো যে সাত বছরের বালক, রোজ বেঁচে থাকার যন্ত্রণায় তার জুলপির কাছে চুল পেকেছে এখন । জীবন তার পোষ মানেনি ।
কর্ণের গল্প বলতো ঠাম্মা । কেউ পারতো না কর্ণকে হারাতে, এটাই সত্যি । রথের চাকা বুঝিয়েছিলো সবটাই আসলে সাময়িক পরিপ্রেক্ষিত মাত্র । "সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই ।"
-
খেলতে খেলতে লিখতে গিয়ে খেলিয়ে লেখা আসছে বেশ,
উদ্দালকের সিংহ লাইন, আমারটা তো উটকো মেষ ।-