ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টির সঞ্চার
মন আকাশে মুক্তির সংলাপ
জীবনবোধের মূল্য অপরিসীম
সময়ের স্রোতে ভেসে চলা অন্তহীন-
সদ্যজাত থেকে প্রৌঢ়ত্বের সীমানায়
সাথে জুড়ে থাকা "মা "এক আবেগের নাম
এ সুখের ভাগ হবে না
জীবনের গ্রন্থে এ এক অমূল্য এক রতন-
রোজ কতো কিছুই বদলায়
পৃথিবী নতুন এক অজানা
মিসাইল এ আই রোবট রকেট লঞ্চার
টেকনোলজি র ভিড়ভাট্টায়
মা কি বদলায়?
বদলায় না দুঃখ ব্যথা লুকোয়
কান্নাগুলো ঢোক গেলে
হাসির প্রলেপ লেপে
আগলে রাখে সন্তানদের
মনশকামনা জানায় ঠাকুরের দরবারে
দরকারে লড়ে নেয় জগতের সঙ্গে
অসীম শক্তির অধিকারী সে যে
ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি মা যে-
স্মৃতির ঢেউ আছড়ে পাড়ে
গুনছি বসে এক মনে
আকাশজুড়ে তারার মেহেফিলে
মা বুঝি ওই তারায় সামিল
তাইতো জানি মা নাকি ওই আকাশেতে
দেখছে চেয়ে মিযিমিটি
হঠাৎ যেদিন ছন্দ কাটে
স্বপ্নগুলো দূরে সরে
আমি তখন দিশেহারা
কেউ জানে না মায়ের ঠিকানা
কেন এমন হয় বলতো
স্নেহের চাদর সরে গিয়ে
কঠিন এক বাস্তবের মুখোমুখি-
মায়ার চাদর জড়িয়ে বুকে
আঁখিপল্লবে রাখবে সুখে
সদ্য জাত থেকে, বুড়ি বয়েস অব্দি
মা যেন শীতল ছায়া বটে
হারিয়ে গেছে সুখের চাবি
অনেক খুঁজি পাই নি খুঁজে
কান্নাগুলো দলা পাকায়
বুকের ভিতর মুখ লুকায়
জীবন বোধহয় এইরকম হয়
যাকে যতো জড়িয়ে ধরি
পিছলে যায় সে সময় হলে
মা এর সুখ মিললো কদিন
আকাশ পাড়ে দিলো পাড়ি
ভিনদেশী এক তারার ছবি
দেখিয়ে বলে ওইটা আমার মায়ের ছবি-
ছুঁয়ে থাকা শপথের নামে
অঙ্গীকারের আবদ্ধে
মনের কাছাকাছি
জুড়ে যাওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে-
শহর জুড়ে কার্ফু জারি হলো
যুদ্ধ যুদ্ধ চললো দেশ জুড়ে
বাজলো সাইরেন ড্রোনের দাপাদাপি
ফিরে যাওয়া সেই অতীতে
যা ছিলো ইতিহাস হয়ে
আজ বাস্তবের মাটি ছুঁলো-
দিগন্ত বেষ্টিত স্মৃতির চাঁদোয়া
শিমুলে ভেজা পথ
হেঁটে চলে যাই অজানা গন্তব্যে
ভালোবাসার ঠিকানার খোঁজ
এ শহর স্বপ্ন দেখতে জানে
নিয়ম বিধির উর্ধে উঠে
পরতে পরতে এঁকে দেয় তার ছাপ
মনে করায় বারে বারে
জীবনের গল্পে কল্পনার মানে বাতুলতা
বাস্তবতার দ্বন্দ্ব বেজায়
-
ঋতুর ফেরে বয়েস বাড়ে মনের আয়নায় নিজেকে দেখা হয় না আর
জীবনের পাতায় শুধুই হা হতাশ আর আস্ফালন বার বার-