গ্রে ম্যাটারে পাল্লা ভারি। শাসকের সুখ্যাতি।
পায়ের তলায় বিশ্ব রাখি। জয়ী সব সংঘাতই।
বাদ বাকি তো সবাই গোলাম।
মনটুকুতে নাই বা হলাম।
অহংকারে সবার সেরা শাবাশ মানবজাতি।

-

দোমড়ানো দেহ, নিঃস্ব জীবন।
আশ্রয়হীন বড়ো নিরুপায়!
চিলতে সহায় ভেসে গেছে জলে।
ভাঙা কাঠামোটা ত্রান খুঁজে যায়।

-

আঁধারে মিলিয়ে দেখো কাব্য।
দাড়ি-কমা সহ সব ছোটোখাটো ত্রুটি,
হিসেব বহির্ভূত যত খুনসুটি,
যাপনের অছিলায় হাঁটু জলে নামবো।

ভাঙবো। জমা আছে অভিমান যত।
আর বইয়ে আঁকা প্রেম অভিধান সম্মত-
সব ভুলে কুয়াশার শেষে গিয়ে থামবো।
একসাথে। এক রাতে।

-

আজ কলকাতার ইভিনিং সং-
"দেসপাসিতো....
আমি বৃষ্টিতে ভিজেছিতো,
ঠান্ডা হাওয়ায় কেঁপেছিতো,
আমি লন্ডন হয়ে গেছিতোওওওও।
দেস-পা-সিতো"
😜

-

তোর অন্ধকারের নষ্ট ছবি স্পষ্ট ক্যানভাসে।
শিরচ্ছেদে গলগলিয়ে রক্ত নদী ভাসে।
ঘেন্না পিত্তি, বড্ড তৃপ্তি। আত্ম জলাঞ্জলি।
আজলা ভরা কাজলা নদীর সিক্ত অঞ্জলি।
কঠিন পথে শাস্ত্র মতে একলা চলাই বিধি।
বদ্ধ ঘরের স্বার্থপরের নিজস্ব প্রতিনিধি।

-

শব্দ শুধু কানেই শোনা যায়?
অন্ধ চাইলে শব্দ পড়তে পারে।
শব্দ যখন নিজেই স্পষ্টবাদী,
বোবার কাছে বাচালতাও হারে।

-

মিথ্যে নাটক। জন্ম চাতক। জলের প্রতি রাগ।
ঘরের ইঁটে, বুকে-পিঠে শেওলা ধরার দাগ।
আগুন পোড়ায়, শরীর জোড়ায় কষ্ট পাওয়ার সুখে।
ব্লেডের দাগে সূর্য জাগে আজন্ম অসুখে।

মিথ্যে নাটক। জন্ম চাতক। জল নিয়ে যা তুই।
অপমানে, ঘরের কোনে কোল পেতে দে। শুই।
আগুন পোড়ায়। শরীর জোড়ায়। পোড়াক পারে যত।
বিষের স্বাদে আর্তনাদে শরীর জোড়া ক্ষত।

-

তোমার উত্থানে আমাদের নুয়ে পড়া মেরুদণ্ডের দৃঢ়তা লাভ। তোমার আগ্রাসন আমাদের উদ্ধত কলারের প্রতি রন্ধ্রে। তোমার প্রতি অবিচার আমাদের আপামর আদিম ক্রোধ। তোমার জবাব আমাদের চোখের জলের ইচ্ছেপুরন। তুমি সৌরভ, আমরা সৌরভময়। শুভ জন্মদিন। ভালো থেকো দাদা।

-

যে রাজ্যে ছত্রে ছত্রে সরস্বতী সহায় হয়,
সে মাটিতে মুখ থুবড়ে নিঃস্ব বর্ণপরিচয়।
কিস্তিমাতের রঙ্গভোটে জলকুমিরের অশ্রুপাত,
রাজযুদ্ধে উলুখাগড়া বিদ্যাসাগর ধূলিসাৎ।

-

তোমার আমার মধ্যিখানে যে ব্যবধান স্পষ্ট,
ছিটকে দেওয়া সময় জানে মূহুর্তদের কষ্ট।
দুই পৃথিবীর মাঝের পাতার ঝাপসা সব অক্ষরই।
তবু আজও বাঁচতে শেখায় আমার কাদম্বরী।

-