পৃথিবীতে কত কোমল আঙুল ছেড়ে দূরে চলে গেছে কত শত মানুষ!
অথচ, তারা সবাই একদিন কাঁধে মাথা রেখে বলেছিলো- "মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই আমাদের আলাদা করতে পারবে না!"
আমি বলছি না, তুমি চলে যাবে অসময়ে!
তবুও যদি চলে যাও, আমি কি ভেবে নেবো "মৃত্যু এসে গেছে উঠোনে"?
যে মৃত্যু দুটো হৃদপিন্ডের মাঝ দিয়ে টেনে নিয়ে গেছে একটি বিচ্ছেদের নদী..
আমি বলছি না, তুমি থাকবে না।
থাকবে হয়তো; মানুষ চাইলেই আরেকটা মানুষের জীবন থেকে পুরোপুরি চলে যেতে পারে না।
কোথাও না কোথাও ঠিকই একটু রয়ে যায়!
স্মৃতি হয়েই রইলে নাহয়!
(সংগৃহীত)-
আছে ক্লাসরুম, আছে চক, আছে Teacher এর বক বক, আছে বেঞ্চ, সেই করিডোর, আছে সেই কলেজ এর সিঁড়ির নিচে না বসার বোর্ড টি, অথবা Common room এর সেই Carrom বোর্ড গুলি, আছে ইউনিয়ন রুম এর সেই ব্যস্ততা, আর ক্যান্টিনে একে অপরকে ঝাড়ি মারা, কলেজ এর পাশে সেই চায়ের দোকান টি'ও আছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কেউ তার সিগারেট' এর শেষ কাউন্টার টা সে মেপে নিচ্ছে।
শুধু আর ফিরব না হয়তো আমরা,
আর সেই স্মৃতিমেশানো দিন গুলো!-
আঙুল ছুঁয়েই রাত নামুক, পারদ মাপুক উষ্ণতা!
পাশে থাকুক তোমার প্রেম, কমতে থাকুক শূন্যতা ।-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়,শক্তি চট্টোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, পড়া ছেলেকে তুমি
ক্লিভেজ দেখিয়ে বশ করতে পারবে না!
যদি বশ করতেই হয়, তবে হও সত্যবতি, যার সাথে অন্বেষণ করবো সত্যের।
অথবা হও সেই পাগলী' টি যে পাগলী' টি'র সঙ্গে আশাপূর্ণা জীবন কাটবে
আমি কিনব ফুল, আর সে সাজাবে ঘর যাবজ্জীবন।
অথবা An Unexpected Reunion, হঠাৎ দেখা
খটকা লাগলো? কী জানি! বানিয়ে বললাম না কি?
থাক, এখন যাও ও দিকে।-
হঠাৎ যদি সংবাদ আসে
লাশ কাটা ঘরে আমি ছিন্ন ভিন্ন
আমার ঠোঁটের কোণে মৃদু হাঁসি।
এমন অন্তর্ধান-এ শায়িত আমার বুকে
যদি মাথা রেখে কাঁদো,
শুনবে আজও তোমাকেই ভালোবাসি।
মৃত্যু কালকে সুখময় মেনে
তোমার খুশিতেই আমার দাবি রেখে
ভগবানের সাথে চুক্তি করে
চিতায় উঠতেও রাজি আমি।-
কাল ডাক্তার খানায়, এক অন্যরকম মানুষের সাথে পরিচয় হলো ।
উনি ঠিক চেম্বারের বাইরে বসেছিলেন, এবং বসে বসেই, আপন মনে কবিতা পাঠ করে চলেছিলেন কখনো রবীন্দ্রনাথ, কখনো আবার জয় গোস্বামী ।
হঠাৎই, তিনি বাইরে থেকে ভেতরে এসে বসলেন, এবং বলতে লাগলেন "যতোসব নির্লজ্জ-এর দল, অন্ধকারে মানব শরীরের ওপর কী নির্মম অত্যাচার টা না করছে অপোগন্ডের দল" ঠিক তখনই কেউ একজন বলে উঠলেন, কি কাকে করছেন এত বকা ঝকা?
উনি উত্তর দিলেন সে তোমরা বুঝবে না
আমি ঠিক ওনার সামনেই বসে ছিলাম, আমি ওনাকে বললাম এতক্ষণ উনি যা বকা ঝকা করেছিলেন, ওগুলো সব বাইরের ওই মশা গুলো কে বলছিলেন ।
কিছুক্ষণ উনি আমার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন, তারপর ওনার ডাক পড়লো ভেতর থেকে, উনি গেলেন, বেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় আমার দিকে তাকিয়ে আমার মাথায় হাত টা রাখলেন, তারপর আস্তে আস্তে বেরিয়ে চলে গেলেন ।
সত্যি ওনার কবিতা গুলো এখনও আমার কানে বাজছে!-
আবার প্রেমে পড়তে রাজি আমি
যদি তুমি কথা দাও,
বন্য হয়ে যেতে রাজি আমি,
যদি তুমি অরণ্য হও!-
আরও একবার শুরু হোক আবেগের মহোত্সব,
বিষাক্ত মানুষেরা যতই মানব বোমায় মরতেচাক না কেন,
একলা ঘরে হাস্নুহানা ফুটবেই, তাতেও যদি মন না ভরে
চুরি কোরো বাই সাইকেল, আর আমার সাথে চলো
আমার FREE ZONE-এ, দেব তোমাই লাস্ট কাউন্টার
আর চাইব তোমার চোখের কালো, এতেও যদি ভালো না বাসো, তুমি বরং ACID ছুঁড়ো, নাহলে আমার শাস্তি তুলে রেখো কোনো এক NEMESIS-এর অপেক্ষায়!-