ভোরাই গীতে, নীল-লোহিতে, আকাশ মনোরম
হাওয়ার বাঁশি, কাশের হাসি, শরৎ নিরূপম ;
রবির আলো, রঙ ছড়ালো, খুললো নব দ্বার
আঁধার ভুলে, উঠুক দুলে, হৃদয় পারাবার।-
মেঘ শাড়িতে আকাশ ছেয়ে
মল্লারে ওই সুরটি গেয়ে,
আসছে ভিজে বাতাস বেয়ে..
আলতো পায়ে "বৃষ্টি মেয়ে"!-
মুখোমুখি আলাপন কবোষ্ণ স্মৃতিদের সাথে !
নীরবতা ছিঁড়ে ফেলে
দু একটা তারা খসে নদীর নরম কোলে;
আকন্ঠ তৃষ্ণা মেটাতে !
নেশাতুর ইশারায় উজাগর মৃত মন নীল মৌতাতে ;
চাঁদের তরল সুধা নির্জন হৃদয়ের ধূ ধূ পেয়ালাতে !-
মুঠোর আদর, আবেগ-চাদর, সরিয়ে ফেলে...
কোন সুদূরে, যাচ্ছে উড়ে, ইচ্ছে-পালক !
আঁধার মনে, সংগোপনে, প্রদীপ জ্বেলে...
নিরুদ্দেশে, হাওয়ায় মেশে, স্বপ্ন-বালক।-
সাঙ্গ হলো বাদলধারা
শ্রাবণ গেছে ফিরে ;
একখানা মেঘ ভাসছে তবু....
কালবেলাতে ঝরবে বুঝি অশ্রুনদীর তীরে!
-
সনদে শীত, পৌষালী গীত, হিমেল বেশে
ঙের জোয়ার, বাসন্তিকার, অঙ্গ জুড়ে ;
ষ্ক নিদাঘ, বর্ষাসোহাগ, দহন শেষে...
ধুর পরশ, শারদ হরষ, নীল সুদূরে ।
-
একমুঠো ফাগ, সুখ হয়ে থাক, কৃষ্ণচূড়ায়...
নীলচে বাতাস একলা ঘরের ধূসর কোণে ;
মেঘলা জীবন অমল রোদের তপস্বিনী ; বৃষ্টিচোখে রঙধনুকের স্বপ্ন বোনে।
-
প্রিয়তমাসু নদী,
ছিন্ন করে নিষেধবিধি তোর কাছে যাই যদি,
কবে যে শেষ হাত রেখেছি, কান পেতেছি জলে...
বিভঙ্গে তোর স্নিগ্ধকায়া হাজার কথা বলে !
সারাটা দিন ঢেউয়ের আদর তপ্ত বালুচরে
বন্দী জীবন কাঁদছে ভীষণ কংক্রিটের এই ঘরে,
হয়তো আজও আকাশ ঝুঁকে
দেখছে যে মুখ তোরই বুকে
অস্তরবির রক্ত-আবির মিলন সাঁঝের 'পরে !
রাগ সোহিনীর নরম সুরে, শান্ত হাওয়া গাইছে দূরে
একলা এ মন পথ হারালো খুঁজতে গিয়ে কারে!
নীল জোনাকির ক্ষীণ আলোকে,
রাতের কালো আঁধার মেখে,
আমায় ফেলে চললি কোথায় অচিন অভিসারে !
-
দিগন্তে কার, রূপের বাহার, রঙিন চরাচর!
ঐশী আলো, আজ রাঙালো, মেঘলা মনের ঘর;
ঢেউয়ের বুকে, বিকেল লেখে, অস্তাচলের গান...
চুকিয়ে খেলা, ফুরোয় বেলা, রম্য সাঁঝের ঘ্রাণ।-
।।এমন হতো যদি....।।
সকালে টিউশন্...তারপর স্কুল...বিকেলে ড্রয়িংক্লাস...সন্ধ্যেবেলায় আবারও টিউশন্..; এটা সোম থেকে শনির রোজনামচা....রবিবারে আবৃত্তি আর গিটারের প্রশিক্ষণ...এতকিছু একসাথে সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হাঁফিয়ে ওঠে পুপুল।
- "কি রে , হোমটাস্ক কমপ্লিট হয়েছে?"
বাবার দিকে করুণ চোখে তাকালো পুপুল।
...সবুজ গালিচায় ফুটবল নিয়ে দাপাদাপি....নদীতে দলবেঁধে স্নান....পুকুরে মাছধরা....ছুটির দুপুরে ঘুড়ির লড়াই....পুপুলের চোখের আয়নায় নিজের স্বপ্নের ছেলেবেলা ভেসে উঠলো অরণ্যর...বড় বেশিই চাপ দেওয়া হয়ে যাচ্ছে ছেলেটাকে!
- "তোর স্যারকে আসতে বারণ করে দিচ্ছি...আজ বিকেলে বরং বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলে আয় প্রাণভরে।"
ঝিলমিলে রোদ্দুর পুপুলের সারা মুখে...হঠাৎই কেউ যেন সতেজ হাওয়ায় ভরে দিয়েছে ওর ফুসফুস দুটো !-