ধীর পায়ে কেউ বুকের ওপর দীর্ঘ দিন হেঁটে গেলে
আমি সেটাকে বিচ্ছেদ বলি।
বুকের স্বপ্ন চিরে আকাশের নীচে শুয়ে থাকলে,
প্রেমিকারা স্পর্ধা পায়।
জোছনায় মুখ ধুয়েও যখন কেউ বাড়ি ফেরেনা,
তখন তার মনের মৃত্যু হয়।
ভুল করে কাউকে ভালোবেসে ডাকলে,
সমুদ্রের ঢেউ যেন কাছে টেনে নিতে চায়।
প্রয়োজনেই কেউ আপন হয় কেউ বা পর।
ঠিক যেমন আলো জ্বললে,
কেউই আর অন্ধকার খোঁজে না!-
Lover of writing.
Love to read.
Writing is my passion.
For me cre... read more
।। প্রদীপের শিখা ।।
সলতে পোড়ে হৃদয়ের মতো,
ধীর পায়ে হেঁটে যায় বুড়োদের দল।
মন ভিজে যায় তারিখের শেষে।
রাত্রির কালোয় আশ্রয় নেয় অক্ষমতা।
বাতাসেও নড়েনা কষ্টের কুঁড়েঘর,
নিভে যায় শুধু প্রদীপের শেষ আলোটুকু!
-
।। অব্যক্ত ।।
গন্তব্যের শেষে এসে থেমে যায় চাওয়া পাওয়া।
আবেগঘন মনের ভেতর তখন সহস্র প্রজাপতির ভিড়,
ছটফটিয়ে মুক্তির পথ খুঁজছে।
পথে কাঁটা হয়ে আটকে আছে অব্যক্ত কথাদের দল।
দলাপাকানো রক্তমাংসে একটা শরীর কোনোমতে
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটিয়ে যায়,
একবার তোমার মুখোমুখি হবো বলে।
আসমুদ্র অপেক্ষারা ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ে
কয়েক ইঞ্চির চওড়া বুকে,
একটা আঞ্চলিক প্রেম সম্পূর্ণ করার আশায়।
যাকে তুমি বারবার হৃদয় ঘেষা দূরত্বেও ঠেলে দিয়েছো,
তার ভঙ্গুর মনে আজ ভালোবাসা না থাকলেও,
একটা পাহাড়ের মতো বিপ্লব জন্মেছে।
সব হারানোর দেশে বছরখানেক ব্যর্থ প্রেমিক হবার পরও,
যে ছেলেটা রিক্সাওয়ালাদের আন্দোলনে সামিল হলো,
কিংবা কলেজ গেটে ছাত্রদের পূর্ণ সমর্থনে মিছিল করলো,
তার জীবনে আজ প্রেমের চেয়ে বিপ্লবটাই প্রিয় এবং কাছের।
হেরো জীবনে হারতে হারতে একসময় সবাই জিতে যায়,
তখন শুধু জেতার আনন্দ ভাগ করার কেউ থাকে না!-
আমার ফিরতিরাতের বাদাম, হাঁটা পথের পরিশ্রম।
তোমার বিকিয়ে যাওয়া মাথা,স্বেচ্ছাচারের দৃষ্টিভ্রম !-
প্রেমের পাহাড় ভাঙলো যেদিন রাস্তা ভাগের আগে,
প্রেমিক শরীরে বিঁধলো কাঁটা প্রত্যাখানের দাগে!
-
।। দেশলাই ।।
বারুদের গন্ধে মেতেছে সাম্রাজ্য।
দেশলাইয়ের দাবানলে
বিপ্লবীদের পাঁজর পোড়া গন্ধে
নেশা করেছে ২৬শের যুবক।
এরপরেও বলবে ওরা দেশপ্রেমিক নয়!
সময়কালের সঠিক বেঠিকে ছেদক হতে চায় না,
মাটির ওপরের ঘরবাড়ি, শখের বাগান
আর যেটুকু সম্বল।
তাই মুখে কুলুপ এঁটে বিদূষক রাজাকে হাসায়!
সমাজ বিষিয়ে যাওয়ার পর
জোছনার রাতে রূপকথার গল্প শোনাতে নেমে আসে চাঁদ।
অন্ধকারের আলোর উৎস হতে
জ্বলে ওঠে লম্বা মোমবাতি মিছিল।
প্রতিবাদী হলে গলা টিপে হত্যা করা হয়
সবুজ গাছের ছায়ায়।
উষ্ণায়নের বরফ গলা জল পরিচিতি রেখে যায়,
প্রকৃতির দাগকাটা বুকের ওপর সৃষ্টি ক্ষত।
মূহুর্তে মূহুর্তে আশঙ্কায় ঘর বাঁধে তাসের প্যাকেট,
খোলা জানালার বাইরে চেয়ে থাকে স্পষ্ট নীল।
ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়ার পর
জানান দেয় নতুন দিন আসছে।
-
।। কাগজ কলম মানুষ ।।
ভালো খারাপের দ্বন্দ্বে মিশে আছে
অভিমানের উদ্ধৃতি।
ঠোঁটের চাবুকে কত কথারা পিষে মরেছে
থাকে থাকে সাজানো আবেগ সামলাতে গিয়ে!
চারদিকে অথৈ জল, মাঝখানে নৌকাভর্তি স্মৃতি,
এই বুঝি ডুবে গিয়ে হারিয়ে ফেলার ভয়।
তখনই হলুদে মোড়া গোধূলিতে
হাজির হও তুমি নারীদের পরাধীনতার গল্প নিয়ে।
প্রতিবাদের আখড়ায় সামিল হল
কাগজ কলম মানুষ।
এক ধাক্কায় ভালোর প্রতি আকৃষ্টতায়
নতুন সূর্যোদয়ের বন্দনা শুরু হয় ঘরে ঘরে।
তুমি বাধ্য হয়ে ফিরে এলে
এ শহর স্বপ্ন দেখার রসদ খুঁজে পায়!
সাম্যবাদ, সততা, মনুষ্যত্বে বিশ্বাসী লোকজন
দু মুঠো বৃদ্ধতা ছাড়া আর কিছুই পায় না!
-
পরিচিতের হাত ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে এসেছে।
ফেলে আসা আর ফিরে পাওয়ার মধ্যিখানে রাস্তায়,
কত কথা কবিতা গল্প ভিড় করেছে।
অথচ ভিড়ের মাঝে ডাকনাম ধরে ডাকা প্রিয়জন,
আজ বিস্তর আপরিচিত দূরত্বে দাঁড়িয়ে!
চোখে চোখ রেখে সহজেই
সম্পর্কের অভিধানে বিচ্ছেদ লিখে দেয়!
আবেগের সুতোয় টান পড়ে!
ফিকে হয়ে যায় পরিচিত ডাকনাম আর
ডাকনামের আদর!
-