অনাহূত বেড়ে ওঠা
পরিচর্যা অন্তরালে
থেকে যায়
উল্লেখিত ভূমিকা তার।-
ওগো প্লাবন এক বুক অভিমান
জমিয়েছো বুকে, ক্ষেদ নেই মোর
জানি তোমাতেই ভাসবো আমি
কুলকিনারা না বা পাই।-
হবে হয়তো
আমার চোখে ফোটেনি
আজও!
চোখ খুলে দেখি মানুষের কান্না
খাবারের খোঁজ ফুঁসছে জনরোষ!
বন্যায় ভেসেছে ঘরবাড়ি
নিঝুম পথ আমার কন্যার লজ্জা
আর ততো....
রক্তদেহ মিশে দগ্ধ মাটি!
তবু...
ইচ্ছের তরী বেয়ে যদি কোনোদিন
আমার পৃথিবী মুগ্ধ ভোরের আলোয়, সেদিনই
আমার স্নিগ্ধ কাজলে রাঙ্গা ভোর
আমার দুচোখে !-
স্বরলিপি চিনে চিনে
দিগন্তে পেয়েছি ডাক।
নীলাভ ওই পাড়াটাতে
ভাই, তোমাকেও সাথে চাই।
খোলামেলা কতটা
কতটা বাঁধা গাঁটছড়া।
একবার বুঝে নিতে,
মুক্ত ওই প্রাঙ্গণে,
চলো ছুটে যাই।-
দেবীপক্ষের সূচনাতে পাপের বিনাশে
আমার দুর্গা আলোড়িত ভূমন্ডলে।
আর নেই বাকি জননী জন্মভূমি
ত্রাই ত্রাই রবে ওঠে
ক্রন্দন ধ্বনি,
অসুর নামের পৃথিবী।
ভোরের ঊষা সুনীল প্রভাতে
আগমনীর সুর শিউলি ফোঁটে
আকাশ বাতাস মুখরিত সুবাসে
মর্ত্যবাসী তাঁরই প্রতীক্ষাতে।-
রাত পোহালেই তোমার বেনু
বাজবে ভুবন জুড়ে।
চন্দন কাঠি ধূপের ধোঁয়ায়,
বিশ্ব সংসার ভোলে।
আর থেমে যাক বিশ্ববাসীর
কাজের হিসেবনিকেস।
সময়ও যেন থমকে দাঁড়ায়, বলছে...
উমা আমার ঘরে।-
দিন ফোঁটা ওই আবেগ খানি
তোমার নামে লেখা
স্পর্শ মাখে হৃদয়খানা
আমার সারাবেলা।
ঝরা পাতা ঝড়ে উড়ে
রেশ রেখে যায় উড়ো চিঠি।
বিষন্নতায় মোর লেখা
ক্লান্ত ভেলায় গান খানি।-
চোখের পলকে সরে যায়
ধবলি মেঘ
রাখা কথা তাদেরই মত।
নিম ফুলের ঘ্রান নিয়ে
ক্লান্ত পথিক
কিভাবে ঢাকবে তার ক্ষত?
চাঁদের বুকে জমেছে নুড়ি পাথর
জোৎস্না দুচোখ দিয়ে,
যন্ত্রণা শুষেছে মাটি।
দেখো কেমন নীরব মৃত্যুকে
অন্ধকার ভালোবেসে,
বরমাল্য পড়িয়েছে রাত্রি।-
ঘুড়ির আকাশ
রঙিন আকাশ
আজকে সারাদিন।
এক্কা দোক্কা নতুন সাজে
নতুন নামে এদিন।
করবে দখল
আকাশ চত্বর
তিল ঠাঁই নেই মেঘেদের।
ভাসে কাশবন
দোদুল হাওয়ায়
আসন্ন শারদীয়ায়
মন উচাটন।-
জীবন সায়াহ্নে প্রায়
মুক্তো খোঁজে ডুবুরি নামে
অতল জলের তলায়।
গড়েছে কত প্রাসাদ নগরী
সভ্যতা সমাজ পাড়া।
ওরি মাঝে আমি খুঁজেছি ততো
আলোর ঝর্ণাধারা।-