তুমি ঠিক জানো, দু' মুঠো ভাতের অভাব আমারও।
আমির জন, তাদেরও।
দু' মুঠো ভাতের অভাব
শিক্ষা ব্যবস্থারও।
নারীর সম্মান লুন্ঠিত
পুরুষের হাহাকার রাতের গহ্বরে।
লজ্জা ঘৃণা ফুটন্ত হাড়ির ভেতর
ওই একদলা ভাতে ।
আরো পিছনে তাকাও
দেখো লেখক এর লেখায়
ভাতের ফ্যানও কতটা দামি ছিল
সেই সময়।
আমি তুমি শুধুমাত্র ইতিহাসে সাক্ষী
বাকিটা কেবলি লড়াইয়ের ময়দানে
ওই দু'মুঠো ভাতের।-
চিরচেনা পরিচিত ভাবনাগুলো
আজকাল আমার বদলে যাচ্ছে।
যদিও বদলানো পৃথিবীর আরেকটি ধর্ম
তবু তুমি আমার সেই...
সমস্ত ভালোলাগা নির্যাস নিঃসৃত একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রেমদানি,
যেখানে প্রতিদিন নিত্য নিত্য ফুলে তোমার অর্চনায় পূজা, নিভৃতে যতনে।
কর্পূর বাতাসে মেশে,
কার ছোঁয়া লেগে,
জ্বলনেও সে যেন তৃপ্ত দেবত্বে।-
আঁধার দুচোখ আলো মাখি
পেরিয়ে সেথা কালাপাহাড়
নতুন আলোয় প্রভাত গান।
ভাঙলো শিকল ভাঙলো কারা
নীল দিগন্তের
পথিক তারা।
উষ্ণ ছোঁয়াচ আলিঙ্গন তোমার
সূর্য স্নাত শপথ নিলাম।
এই আগামী রাখলো দাবি
সবার কাছে রত্ন দামি,
হয়তো সেদিন তুমিও সাথী
ধরবে হাত বাঁধব জুটি।-
বয়সের সীমারেখা পেরিয়ে সেদিন
মুখোমুখি আরশি নগরে।
নামহীন গোত্রহীন অভিমানে কোন তৃষার জলধারা,
পরিখা ঘিরে আজও...
রেখেছে ধরে!
শব্দরা প্রতিদিন ভাঙ্গে
ভেঙেছে অজস্র কন্ঠ
তবু সে সমাজ লোক চক্ষু
আড়ালে হয়ে আছে নিষিদ্ধ।
বুঝতে চায়নি কেউ
কিংবা বোঝাতে পারেনি কেউ
গোপনে সেই অভিসার
প্রেমের আড়তে
রয় আজও অবরুদ্ধ।-
আজকে বরং ভাবনা টাকে
দিলাম ঘেঁটে খানিকটা।
আমরা দুজন হাঁটছি তখন
গোল পার্কে দিঘিটা।
দুহাত মুঠি ঘামছে শরীর
হঠাৎ ঝড়ে তুমি আমি
বেশ খানিকটা এগিয়ে সাঁকো
পেরিয়েই চেনা গলিটা।
লোক নিন্দা ভয় কি বল
হলাম আজি কিছুটা।
জীবন মানে সত্যি কেবল?
মিথ্যা আড়াল রইল বা।-
একমুঠো রোদ একমুঠো বাতাস খোলা জানালায় আমার,
এইটুকু থাক।
তোমার ঘরে পর্যাপ্ত, তবু....
আমার এইটুকুতে প্রাণ।
বাইরে তোমার বাগান বিলাস
রংবাহারি প্রজাপতি।
আনাগোনা খবর আদানপ্রদান
পাখিদের সভায়, বাতাস রয়েছে সঙ্গী।
আমার খোলা জানালা
টুকরো হয় আকাশ,
মেঘ বৃষ্টি রোদ,
আমার ওইটুকু যে স্বপ্নবিলাস।-
কথা রাখো, প্রতিশ্রুতি হাজারও
হাজারো মিছিলে
হেঁটেছে পায়ে পায়ে জনতা নীরবে। শুকিয়েছে শাখা নদী
সাগর বিলাপে
ভেঙেছে পাড় কত ঘরবাড়ি নিলামে। বিক্রি কথারা আজ
রাজপথ দখলে
রাজধানী একদিন, জানি না কার হবে। বুঝে চলি সময়টা
তবু চলো রাখি কথা,
বাকিটা না হয় হিসাবে মিলাবে।-
মেঘ কোথা থেকে আসো কোথা উড়ে যাও
বলছে ওরা,
কোন ঠিকানায় নোঙর তোমার
কোন বন্দরে পণ্য।
জীবন সৈকতে জমানো যত
পাথর নুড়ি কিংবা অন্য।
তুমি ভেঙ্গেছো কত গভীর নিস্তব্ধতা
দুঃখের মাঝে শোক তাপ।
অকূল পাথারে হারিয়েছে কেউ
ভোলেনি যারা বিগত শতাব্দীর অভিশাপ।
কিন্তু আমি বলছি তোমা সম আমার
থাকতো যদি বয়স কিংবা সময় মাপ,
ওই আধারে জন্ম মোর হতো না কোনো পিছুটান।
মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অচল সেথায়
ভালোবাসা সমতায়।-
ভালবাসি গান ভালবাসি পাখি ভালবাসি
নদী ভালোবাসি একলাটি চুপি চুপি। ভালোবাসি তরঙ্গ খোঁজ নেই সময়েরও,
বয়ে যাওয়া গল্পটি যার নাম অখন্ড অনন্ত! ভালোবাসি!-
কিছুটা সময়ের যাঁতাকলে, পেষণ হতে হতে রাত নিস্তব্ধতায়, খান খান অজস্র টুকরো।
আড়াল আবডাল খুঁজেছে কত, না মোছা স্মৃতি শত, বলো লুকাবে কোথা?
প্রচন্ড নিদাঘে হেঁটেছি পাশে পাশে ,জমা ভাড় ছড়িয়ে কত কত, স্বপ্ন কুড়িগুলো শুকিয়েছে আজ যত, নীরবে ঝরে পড়া, হায়, রইলো না মনে কি তাদেরও?
তবু চলো আরেকবার, মনে করি শ্রাবণের ধারা পাত, ঝরঝর ঝরেছে অবিন্যস্ত চুলে রাশি অবিরত।
আমি তুমি আবারো, সেই বসন্তের আঙিনা ঘুরি চলো, কোথাও কি পড়ে আছে পলাশের টুকরো গুলো? নেই স্মৃতি মুছি চলো বিস্মৃতি বিদ্যুতের ঝলক তুলি, আবারো মনে করি একসাথে।-