-তোর আমাকে নিয়ে এত নেগেটিভ থটস্ কেন জানতে পারি! সম্পর্কে থাকাকালীন তো আমি এত খারাপ ছিলাম না!
-কারণ তখন তোর খারাপটাকেও আমি ভালোবেসেছিলাম। পার্থক্যটা কোথায় বলতো!
তুই সম্পর্কে থাকাকালীন আমার খারাপটাকে বড় করে দেখেছিস আর আমি সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে..
আরেকটা কথা, রূপ বা গুণের প্রেমে পড়লে আরো দশ জনের প্রেমে পড়তাম, আমি তোর মায়ার প্রেমে পড়েছিলাম। আর যেটুকু রাগ এখন দেখতে পাচ্ছিস সেটুকু অল্প বিস্তর অভিমান মাত্র, এটাও সময় বিশেষে ঠিক কেটে যাবে। আর মায়া নেই তাই আর ভালো কিছু খুঁজে পাই না তোর মধ্যে..
-
'প্রথমা নই প্রথম কন্যা'
না গো মা আমি ছেলে নই,
মেয়ে হওয়ার সময়ই বা দিলে কই!
সংসার সামলাতে গিয়ে কখন যেন
মোমবাতি থেকে কর্পূর হয়ে গেছি,
প্রদীপটা ছিলাম না কোনোদিনই!
তাই তো তোমার চোখ বার বার জানালা ভেদ করে,
ছেলে ভোলানো ঘরে,
সেখানে লাঠি হাতে চন্ডালের ভিতরেও মমতা খুঁজে বেড়াও,
শান্তি পাও!
আমায় একটু মেয়ে হতে দাও।
-
'পারবি না!'
যখন নিজের হাত টা ধরে বলি
চল্, তোকে আকাশ দেখাবো,
ভয় করে!
হারিয়ে যাই যদি।
যখন হৃদয় তোলপাড় করা কষ্টদের বলি
চল্ পাহাড় যাবো,
ঝর্ণা হতে চেয়েও
নিজের নাম দেই, নদী।
যখন মন ভোলানো গল্প ঘুম পারাতে গিয়ে
ব্যর্থ হয় বার বার,
বলি স্বপ্ন হবি?
অজস্র নোনা জলের ফোঁটা, জড়িয়ে ধরে সুধায়-
আমায় শুকিয়ে দিতে পারবি?
বলেছিলাম হাতটা ধর,
হারিয়ে গেলে যাবো!
ঝর্ণা হবো,উত্তাল হয়ে
ভেঙে ফেলবো পাথর..
পারবি না তুই আমার সাথে?
একলা একলা পথ চলতে!
-
ভাই রে, কি শিক্ষায় শিক্ষিত হলি!
নিজের মা রে ভুলে গেলি।
বলেছিলাম, শিখে আয় ওদের ভাষা।
যারা মায়ের কোল করেছে খালি,
দেশে ফিরে দিতে পারিস্ যেন ওদের সাজা।
কিন্তু একি, তোর মুখেও ওদের বুলি!
ঘরে ফিরে করিস্ ভাই এর সাথে চুলোচুলি?
আগে তো কতো মেরেছি চর,
বলিস্ নি তো মুখের উপর!
আজ তারই ঘর কারিস্,তারেই করিস্ পর!
ঋণ কি তবে ঘুচলো তোর মায়ের উপর!
একসাথে কতো লড়েছি মোরা,তাড়িয়েছি শত্রুদের,
আজ যে তুই শত্রু হলি,কি প্রয়োজন ওদের?
ওরা তো বেশ নিজের ভাষায় পৃথিবী জয় করলো,
মোদের দেশের ভাই ভাই লড়াই করে মরলো।
-
ভাঙা বাঁশি
ড্রয়ার থেকে ভাঙা বাঁশি টা বের করে ভাবলাম, এবার এর মেরামত প্রয়োজন। কিছুজন সামনেই তাচ্ছিল্য সুরে হাসলো, কিছুজন সামনে এ কাজের প্রসংশা করে গোল টেবিলে তাদের হাসির খোরাক বানালো,আর কিছুজন মেরামতের ভার চাইলে নিজেই তাদের প্রত্যাখ্যান করলাম। মনে স্থির সিদ্ধান্ত নিলাম এর মেরামত করবো, শুধু সময়ের অপেক্ষা। হঠাৎ এক পলকা হাওয়ায় ড্রেসিং টেবিলের সামনে রাখা ভাঙ্গা বাঁশি পড়ে গেলে সেটি আরেকটু ভেঙে যায়, এবার সত্যি সত্যি তাকে সারানোর পালা। অতিরিক্ত চিন্তার কারণে কিনা জানিনা কিন্তু স্বপ্নও জানান দিয়ে গেল। বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেল, চারিদিকের নিস্তব্ধতা যখন আমায় গিলে খেতে আসছে ঠিক সেই সময়ে এক অচেনা সুর ওই ভাঙ্গা বাঁশিতেও বেজে উঠলো, সারিয়ে ফেললাম খুব অল্প দিনের মাঝেই। জোড়া দেওয়া সেই বাঁশি সুর খুঁজে পেলেও শুনতে পেলাম এক বিকট বাজে হাসি, কেউ যেন বলে গেল-নতুনের মত কি আর ভাঙা বাঁশি বাজে!
সময় পেরোলো, উঠল অসম্ভব ঝড়, হাতে বাঁশি, একলা পথ। সামলাতে না পেরে হাত থেকে পড়ে গেল সেই ভাঙা বাঁশি, বুক ফেটে রক্তের দলা স্বপ্ন ভাঙার বার্তা দিয়ে গেল। কিন্তু বাস্তব! তার কি হবে? সময়ের নিয়মে ঝড় থামলো। দেখলুম এক বাঁশিওয়ালা সেই ঝড় সামাল দিতে পারেনি, ভেঙেছে তার সব নতুন বাঁশি কিন্তু আমার ভাঙা বাঁশির উপর মেরামতের আস্তরণ তার ঢাল হয়ে তাকে আগলে রেখেছে, ঠিক পুড়ে সোনা হওয়ার মতন জ্বলজ্বল করছে আমার ভাঙা বাঁশি..-
"সময়"
একটা গাছ!
মনখারাপি পাতা ঝরিয়ে
কচি পাতা গায়ে জড়িয়ে
একই মাটিকে আঁকড়ে
প্রতি বছর সাজে সেই প্রেমিকার সাজ!
একই রূপে -
বার বার পরে প্রেমে,মুগ্ধ হয়ে
আরো আসকারা দেয় প্রেমিক ।
একটুও বিরক্তি না দেখিয়ে,
হাজার কাজ সামলে
কখনো হাওয়া দিয়ে হালকা ছুঁয়ে,
কখনো ঈষৎ উষ্ণ রোদে শিশির শুকিয়ে,
সময় দেয় খানিক ।
-
ঝলমলে আলো মন ভোলায় রোজ,
আমিও ঘোরাঘুরি করি তাদের মাঝে,
বেশ ভালো লাগে নিতে তাদের খোঁজ,
ভুলেছি সেই অন্ধকার রাস্তা,
অধিকারের মিটমিটে আলো।
তবুও আজ কেন
হাজার আলোর মাঝেও পথ হারালো!
রক্তাক্ত চাঁদ ফিস্ ফিস্ স্বরে বার্তা দিয়ে গেল-
পূর্ণিমা নয়, একাদশী হয়ে
রইলাম তোর কপালে।
-
যদি বলো ভাঙাচোরা তুমি!
বলি,থাকো ওমনি
দিনশেষে পাশাপাশি,
যেন, সূর্যাস্ত দেখি।
কোনোদিন চাঁদের আলো,
কখনো অন্ধকার গাঢ়-
জানবে এ সবই আসবে যাবে,
কিন্তু তুমি সেই কাছের মানুষটি হবে,
যদি হাজার কষ্টেও,আগলে রাখতে পারো।
-
"হয়তো আমি"
কাকে খুঁজছো?
হারিয়ে যাওয়া সেই ছেলে রে!
যদি বলি আমি সে,
তোমরা চিনতে পারো নে!
এ পৃথিবীর মায়ায়
কত রক্তও তো কাঁদায়!
আমি তো তোমার রক্ত নই,
তাই বুঝি এ বিরহ সই!
বেশ! কথা দাও দেখিনি -
পরের জন্মে তোমার রক্ত হয়ে জন্মি!
তখন যেন আর কোনো ভুল করো নি!
চিনতে পারবে ঠিক,ওটাই আমি।
ঢের হয়েছে মনখারাপি!
এবার একটু ভালো থাকো দেখি।
-