Shah
-
Best described as
|poetess
... read more
আবার দেখা হবে
---------------------
বিদায় জানাবো না কোনোদিন!
দুরন্ত আভাসের স্রোতে চলমান এই অস্থির অশান্ত বিশ্বে,
এই পৃথিবীতে আমিও যে এক যাযাবর স্বপ্ন।
আমার হৃদয় উদ্যানে না পাওয়ার এই বেদনা অনন্তকালের তরে ফুটে উঠলেও...
যতদিন তোমার চোখের কোণে ভোরের আলোর মতো জ্বলজ্বল করবে অপেক্ষার প্রহর,
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সেই মিষ্টি হাসি না চাইতেও মনকে ছুঁয়ে যাবে বিশুদ্ধ বাতাস হয়ে;
জেনে রেখো, বিদায় আমি জানাবোই না।
কাল কি হবে যদিও আজ তা জানি না,
তবে উন্মুক্ত আমির সন্ধানে জীবনআয়নায় তোমার দু'বাহু ছড়িয়ে ছুটে চলা ওই উদ্দাম সময়কে,
সম্পর্কের সুখ-কল্পনায় অঢেল প্রত্যাশা নিয়ে আছড়ে পড়া উচ্ছ্বাসে চিৎকার করে করে বলব-
আবার দেখা হবে, আবার...-
রবি আমার
---------------
রবি আমার অরুন প্রাতে বাজায় মোহন বাঁশি
রবি আমার নিঝুম রাতে ঝরায় মিষ্টিমতন হাসি।
রবি আমার ছন্দে খোলে ফুটিয়ে তোলে মুকুল
রবি আমার তৃষ্ণা মিটিয়ে ভাসিয়ে দেয় দুকুল।
রবি আমার বসন্ত ভাবনায় ব্যর্থতা ধুয়ে নাচে
রবি আমার ক্ষুধার্ত যন্ত্রনায় কবিতা হয়ে বাঁচে...
রবি আমার মাঠে-ঘাটে ঝর্ণার মতো বেয়ে আয়
রবি আমার স্পর্ধা হয়ে মিশেছে শিরায়-শিরায়।
রবি আমার পরম সত্যে স্থৈর্য-ধৈর্য্য এঁকে যায়
রবি আমার ভাষার দাপটে রংধনু-রঙ সাজায়,
রবি আমার সাগরতীরে সমন্বয়ের ঢেউ তুলে
রবি আমার তেরঙা পতাকা যায়না কভু ভুলে।
(পুরোটা ক্যাপশনে)
-
নতুন বছর আসুক
----------------------
নতুন বছর আসুক অহমিকার পাহার ভেঙে-
নতুন বছর আসুক উন্মুক্ত পাখির কলতানে,
ধ্বংস বিপর্যয়ের জাগরী ঝংকার কেড়ে নিয়ে
নতুন বছর আসুক বিশ্বকবির কাব্য ও গানে।
নতুন বছর আসুক আজন্ম আঘাতের কাছে
নতুন বছর আসুক মাঠ-মাটি-জমি প্রান্তরে;
চেনা রাস্তার অন্যায়-অবিচার সব ধুয়ে মুছে
নতনু বছর আসুক রোদ, বৃষ্টি আর ঝড়ে।
নতুন বছর আসুক সামাজিক দূরত্ব কাটিয়ে-
নতুন বছর আসুক বদ্ধ ঘরের সুর-ছন্দ-তালে,
চন্দ্রবিন্দুর কোজাগরী হাসি একই বৃন্তে ফুটিয়ে
নতুন বছর আসুক দুই পুষ্পের ভেদাভেদ ভুলে।
(পুরোটা ক্যাপশনে)
-------- ©️জয়রাজ পাল।-
কবিতার জন্য
-----------------
কবিতা মানে দৃপ্ত মিছিল, কবিতা মানে মিষ্টি কলরব,
ফসলভরা বক্ষজুড়ে কবিতা আমার সুখ সুখ অনুভব।
কবিতা আমার আশার প্রদীপ, আঁধার ঘরের আলো-
গভীর রাতের দুঃখ-শোকে সে যে মায়ের মতোই ভালো!
কবিতা মানে হলুদ সকাল, কবিতা মানে আনন্দ রোদ্দুর;
প্রাণ-প্রেরণার ছন্দ সুরে কবিতাতেই ভাসে আমার সপ্ত সমুদ্দুর।
কবিতা আমার ফুলের ডালি, শিশু মনের দুরন্ত উচ্ছাস...
শোষন থেকে মুক্ত হতে কবিতাই জাগায় সুদৃঢ় বিশ্বাস।
কবিতা বোঝে গুলির শব্দ, কবিতা বোঝে প্রেম পূর্বাভাস-
বর্ণে-শব্দে-ভাষা-চেতনায় কবিতাই আনে উন্মত্ত বাতাস।
কবিতা আমার দুপুর রোদের কু-ঝিক্-ঝিক্ ছুটে যাওয়া...
মুঠো খুলে সব হারিয়েও তাঁর জন্য আবার ফিরে পাওয়া।
(পুরোটা ক্যাপশনে)
-
"বসন্তের রঙে"
-----------------
তিস্তার আঁচলে উড়ছে দেখো সাধের শান্তিনিকেতনী,
ক্যানভাস জুড়ে আঁকছে ছবি চিকন-গৌর মুখখানি।
উষারানি আজ মেতেছে রঙে, গোধূলিও লালে লাল;
দোল খাওয়া এই ধানের দেশ দিয়েছে উজার উড়াল।
নদীর বুকে রবির আগুন, সবুজ দেহ শূন্যে শোভায়-
মগ্ন প্রেমে, বিনা বাঁধায় যৌবন যেন অকুল দরিয়ায়।
তবে একি! তুমি শুনি ঘর বেঁধেছ অন্য কোনো নিশ্চিন্তপুর...
হয়তো বলিনি বলে - মনকেমনের স্টেশনে তুমিই রোদ্দুর।
জানি, ঝরা পাতা মন তোমার অভিমানে একটু বেশিই রঙিন-
পুবের আকাশে তাই হয়তো চেয়ে থাকো অবাক চোখে উদাসী!
(পুরোটা ক্যাপশনে)-
" মায়ের ভাষা "
-----------------
আমার মায়ের ভাষায় কথা বললে হৃদ্
বিদ্যুৎ-স্ফুলিঙ্গ নিয়ে ছুটে আসে,
সূর্যের কোমল আলোকে ছুঁয়ে অন্তরে অন্তরে বেড়ে ওঠে ভাষা-শহীদের দেহলতা!
জীবনাঙ্কুরের স্বপ্ন সাজাতে গিয়ে নিয়তির কিছু বিষাক্ত ছোবল যখন জ্বালা ধরায় আমার কাজল কালোর গভীরে-
মায়ের সেই ভাষাকে অশ্রুকণায় ঢেলে আমি কুয়াশা মেঘের মতো মিশে যাই দূর দিগন্তে, মুক্তোখচিত শিশির হয়ে ডুবে যাই গীতাঞ্জলির সুনীল সাগরে।
(পুরোটা ক্যাপশনে)-
প্রেমের রঙে ভরে উঠেছিল শহর, গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপের বিনিময়ে,
উষ্ণ লালে ভিজেছিল সীমান্তের ওই মাটি, আলোর ঝরনা পেরিয়ে।-