নদী ! এই ঘর বন্দী বিকেলগুলো যদি উপহার দিই তোমাকে নেবে ?
আমার লুকোচুরি খেলা,পুতুল খেলা,গল্প করতে করতে কৈশোরের রাঙা সূর্যের অস্ত যাওয়া গোধূলি, ক্লান্তি মেখে পাখির মতো নীড়ে ফিরে আসা সন্ধ্যে শেষ হয়ে গেছে, তাই এই জীর্ণ,শুষ্ক,কাঠখোট্টা বিকেল তুমি
সুদূরে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে?
আকাশ! আমার দম বন্ধকর ঘুম না হওয়া প্রহর গুলো আজ থেকে তোমার
আর কিই বা দিতে পারি বলো ?
স্বপ্ন দেখে খিলখিলিয়ে হাসা,অঙ্ক কষতে বসে ঢুলে পড়া বইয়ের কোলে, রাত জেগে সাদাকালো টেলিভিশনে সিনেমা দেখা আর মায়ের বকুনি খাওয়া। নাহ সেসব সময় এখন দীর্ঘশ্বাস,দুশ্চিন্তা,মোবাইলের স্ক্রিন মাথার সব রক্ত শুষে নেয়, চোখ দুটো আগুনের মতো দাও দাও করে জ্বলে, নোনা জলেও শান্ত হয়না শরীর,অগোছালো একটা সকাল আবার হতাশা নিয়ে আসে।
আমাদের ছাদ বাগানের যে চন্দ্রমল্লিকাটায় ফুল এলোইনা বসন্ত তুমি নিয়ে যাবে ও কে ?
আমি বড় বিষণ্ণ পরিচর্যা করতে মন চায়না কিন্তু নিষ্ঠুর হতে পারিনা বলে রোজ জল দিই।
এভাবে কি বাঁচিয়ে রাখা যায় বলো !
-