প্রথম চিঠি!
-
লেখালিখির অভ্যেস এক্কেবারে গেছে
ভাবতেই পারিনা আর তেমন
তুমিও আসোনা আর পড়তে বোধ হয়
আমি তো লেখিকা নই ; নাই কবি
এ তো এক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষ
কেমন আছ এখন?
কাজকর্মে আর বাধা পড়েনা নিশ্চয়
আজ আবারও একটা ভাই এর উপনয়ন ছিল
এর আগের টাই তুমি ছিলে , এখনো আছো
থাকবেও!
এইতো কদিন আগেও আমার জন্মদিনে কত রাগ
কথা না বলতে পেয়ে কত অভিমান কত আদর!
আমার জীবনে এমন দিনের সংখ্যা এত কম কেন বলতে পারো?
বলেছিলে দোলে আবির মাখাবে-
কিন্ত ভালোবাসার রং যে সয়না আমার
সবাই ছেড়ে গেল, তুমিও।-
আমার চোরাবালির অন্তরে কখনো খোঁজ নেবে না জানি!
অভিমানেরাও অনুযোগের ভারে ক্লান্ত!
আমার হাড় হিম করা শরীরে তোমার উষ্ণতা কখনো পাবো না জানি!
তবু কি পেরেছি ভুলে যেতে?
যত কাছে গেছি রাগ বেড়েছে;
চড়েছে অবহেলার পারদ!
কষ্ট পেয়ে সরে এসেছি দূরে।
খুব বেশি তো না-
শুধু সামান্য ভালোবাসতে চেয়েছিলাম!
সামান্য!
ওই সামান্য জিনিসটাই যে সবচেয়ে দুর্লভ এ জগতে তা বোধ হয় ভুলে গেছিলাম।
তাই বারংবার বেহায়ার মতো অপদস্ত হয়েছি।
ভালোবাসা নামক বস্তুটি খানিক উই পোকার মতো,
যাকে কুরে খায় কেবল সেই এর ব্যাথা বোঝে!
বাকি সবার কাছে নেহাতই হাস্যরস!
পাঠকের কাছেও তাই বোধ করি।
-
তোমায় নিয়ে গল্প যদি লিখবো বলি হাজার খানেক
কম পড়বেই মনের পাতা;; আস্ত আকাশ সমুদ্র এক!
জানি বোঝার দায় তোমার নেই! বন্ধনহীন অপার বাঁধন
সত্যি বলি তোমার নামে আজও বুকে অশ্রুরোদন!-
আমার গল্পে চরিত্র শেষ পর্দা নামুক যাত্রা পালায়
তোমায় পেতে বছরভর চাইনা মিথ্যে অবহেলায়!
-
"ভালোবাসি, ভালোবাসি তোমাকে
প্রতিটা মুহূর্তে বাসি!
প্রতিটা নিঃশ্বাসে, নিলয় অলিন্দে তোমার নামেই হৃদস্পন্দন ওঠে!
তোমারই আশকারাতে হৃদ যন্ত্রের আকৃতি
বিবর্তিত হয়ে খানিক পান পাতার আকার ধারণ করেছে,
তুমিই আমার অক্সিজেন , জল- আলো- বাতাস, সব তুমি!"
তা বলি,
দুজন টুকুস করে চাঁদে চলে যাও না বাছা
দেখো তোমার অক্সিজেন কি করে বাঁচায় তোমায়!
যত্তসব!-
যদি বা গল্প বানাই মিথ্যে সাজি রোজ
শূন্যতাকে আঁকড়ে ধরে তোমার মনের খোঁজ।-