শরীর নয়, চেয়েছিলাম মন ছুঁতে,
একটা ভরপুর মন আঁকড়ে ধরতে গিয়ে হাত রাখলাম চাঁদ তারাদের দেশে, দিগন্তহীন আকাশের বুকে;
যেখানে আছে শুধু হৃদয়ের স্পন্দন,
যেখানে সুর খেলা করে পরিযায়ী মেঘের গায়ে গায়ে...
ছন্দ ভেসে আসে বেওয়ারিশ বাতাসে ভর করে...
রাগ রাগিনীর আসর বসে প্রহর থেকে প্রহরান্তে...
কান পেতে শুনি আমি
আকাশ গেয়ে ওঠে গুনগুন গুঞ্জরণে....
রঙ রূপ রসের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে
"নীলাভ প্রেম"-
তবে নীরব থাক কথা রাশি রাশি
তবে ভেঙে যাক ওরা অক্ষম অক্ষরে,
একঘেয়েমির শব্দরা আনে যদি ঘুম
তোমার দুচোখের কোল জুড়ে .....
ভেসে যাক ওরা বাতাসের বায়ে
উড়ে যাক দুর থেকে দুরে
আরও বহুদুরে
জুড়ে থাক ওরা তবে
নির্বাক আকাশের গায়ে .....
-
এবার তবে নীরব থাকি,
একঘেয়েমির কথা আমার
ঘুম পাড়িয়ে রাখি ....
শব্দগুলো ভেঙে ভেঙে
উড়িয়ে দিলাম বাতাসের গা'য় ....
এবার তুমি দেখো চেয়ে
আসবে না ঘুম আর
চোখের পাতায়।-
জগদ্দল পাথর উপড়ে ফেলতে
যদি হোঁচট খাও চড়াই পথে
সামলে নিও নিজেকে ;
যদি ভিজে ওঠে চোখ দুটি
তবে সেঁকে নিও রোদ্দুরে ;
তবুও ভাঙুক কুসংস্কারের বেড়াজাল ;
যদি হয় কিছু ক্ষয়ক্ষতি
তবে তাই হোক!-
আজ যতটা ব্যথার ভারে
হৃদয়খানি রুধির রাঙা,
ব্যথার ঘা'য়ে মন যে আজ
খন্ড খন্ড ভাঙা ভাঙা।
কাল সময়ের ব্যবধানে
বাস্প উধাও ব্যথার জ্বালা,
সময় গড়ে সময় দিয়ে
পুঞ্জ পুঞ্জ দীপমালা।
জমায় আসর শক্তিরাজি
হৃদয় সাজে বলশালী,
আলোয় আলোয় রঙে রঙে
মন যেন রে খেলছে হোলি।-
তপ্ত বাতাস দিচ্ছে জানান
আসবে ধেয়ে ঝড় ...
উড়িয়ে নেবে আবর্জনা খড়কুটো
ঠিক যতটা তার নেবার,
সময় হলেই শান্ত চরাচর ...
বইবে সেদিন শীতল নরম বাতাস,
রয়ে যাবে বেঁচে থাকার রসদ।-
যে কথাটি হয়নি বলা
যে আছে মুখ লুকিয়ে মনের অগোচরে
শ্রাবণের ধারার মতো সেই সে কথা
অশ্রু হয়ে ঝরে.......-
রাতের জঠর চিরে বেরিয়ে আসে, অন্ধকার মুছে মুছে খুঁজে ফেরে গুমঘরের সেই প্রেতকোণ, যেখানে বন্দী বঞ্চিতের অধিকার, যেখানে বাজে অবমানিতের মরম বেদনা, যেখানে দিবা রাত্রির তফাত বোঝা যায় না..........
সেখানে মেহের আলির তালি শোনা যায় অস্পষ্ট, তবে নিভে গেছে তার স্বর, আর বলতে পারে না সে আজ, "সব ঝুট হ্যায়"-
কাজল কালো হরিণ চোখে
হাজার স্বপ্ন রাখিসনি তো এঁকে!
বাঁধিসনি তো সাধের বাহার
মনের আঁকেবাঁকে!
ডোবার নোঙর ফেলিস না রে
অথৈ সাগর জলে,
বিশাল ঢেউ এর দানবগুলি
খায় যদি তোকে গিলে......-