আমার আঙিনায়,
স্বপ্নরা শেষ নিশ্বাস ফেলে
দিনের অবসানে।-
আমি তো সেই কবেই হয়েছি একলা,
এতদিন ভুল করে রেখেছিলাম ধরে
আপন ভেবে সংগোপনে।
আমার করে পাবো বলে
নিজেকেই দিয়েছি উজার করে,
না ছিলো দাবি, না চেয়েছি অমূল্য রতন,
চেয়েছি একটু সম্মান আর ভালোবাসা।
খুব কি বেশী ছিলো চাওয়া?
বদলে পেয়েছি তবে কেন অবহেলা?
আজ ভেঙেছে ভুল, ছেড়েছি হাল,
বাঁধন করেছি আলগা,
চাইনা রাখতে ধরে,
থাকুক এবার সে নিজের মতো করে।
-
অগোছালো আমি
-----------------------
হ্যাঁ, একটু অগোছালো আমি
তাতে কি হয়েছে?
তোমার মতো নই,
ওসব হিসাব তুমি রেখো,
আমি নাহয় হলাম সৃষ্টিছাড়া।
কি হবে ওসব করে,
ভালোবাসাই ভীষন দামী।
যারা ওসব বোঝেনা কিছুই
ফালতু বিষয়ে করে তর্কবিতর্ক।
আমি যেমন তেমনই বেশ আছি
নই কোন ছদ্মবেশী,
এইরকম একটু অগোছালো, একটু খামখেয়ালী।
খুঁজলে পরে এতেই পাবে
গভীর প্রেম অনেক আছে,
নতুবা দোষক্রুটির হিসাব কষতে কষতে
বৃথাই জীবন যাবে।
-ইন্দ্রলেখা নন্দী দে।-
তোমার দেওয়া অবহেলাগুলো
তুলে রেখেছি বাক্সবন্দি করে,
সময় হলে,
সেগুলোই তোমাকে দেবো ফিরিয়ে।
-
ল্যাম্পপোস্ট
---------------
ল্যাম্পপোস্টের ঠিকরে আসা আলো
যেন জলন্ত পেঁচার চোখ,
আরও কতো জ্বলজ্বলে শিকারি চোখ,
আনাচে কানাচে কালো দিঘির ধারে
দিচ্ছে পাহারা রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘড়।
তার সাথে আমিও মিলিয়েছি হাত
বন্ধুত্বের সমীকরণ আঁধারের কোলেই নিহিত।
ব্যর্থতাগুলো বড়ই অস্বস্তিকর
একলা একলা বাঁচতে চায়না
একটা আস্তানা খোঁজে আমার ভিতর,
পাকাপাকি ভাবে জাঁকিয়ে বসেছে
নিদ্রার শয়নকক্ষ নিয়েছে কেড়ে।
আমিও ওদের সাথে করছি অভিগমন
শুধু নিশুতি রাত, বাঁকা চাঁদের দৃষ্টিগোচর।
পাহাড়াদার সেজে দিচ্ছি পাহাড়া
একলা রাতের নিস্তব্ধতা,
আর কেউ যেন হয়না একলা
ব্যর্থতারা ডাকাত সেজে পারবেনা দিতে হানা,
ঘরের দ্বারে দ্বারে শিকারী চোখ,
বজ্জাতি করলেই পেঁচার মতো খুবলে নেবে চোখ,
বন্ধুবেশী ল্যাম্পপোস্ট।
-ইন্দ্রলেখা
-
নিজের মতো বাঁচতে গিয়ে
মানুষ আজ বড়ো একা,
একজন চলে গেলে
আর একজন সর্বহারা।-
পড়ন্ত বিকেলের রোদে
তার স্পর্শ বেঁচে আছে,
শান্ত সরোবরে স্মৃতির ঝলকানিতে
জ্বলজ্বলে সেই প্রতিচ্ছবি,
শ্বাস আছে, বাতাস আছে,
শুধু উষ্ণতা নিভে গেছে।-
বাষট্টির মনে আজ অকারণেই খুশির প্লাবন,
চেয়ে দেখি বসন্তের দোরগোড়ায় নাড়ছে কড়া অকাল শ্রাবণ।
-
ভুলে যাওয়া নাম
আজ কন্টাক্ট লিস্টে বন্দি,
অবহেলাগুলো গিয়েছে নির্বাসন
হাজারো শতাব্দী অব্দি।-