ইচ্ছেতরী যাচ্ছে বিসর্জন,ব্যস্ততার অথৈ স্রোতে
ধ্বংসের পরও ফিরবে তারা- আশার সিন্ধুতটে।-
হৃদয়টাকে ভেঙে তিনটে খণ্ড করলাম।
একটা ভাগে সমুদ্রের হাহাকার,
একটাতে পাহাড়ের তীব্র আর্তনাদ
আরেকটায় কেবল তুমি।
হলদে পাতা আর টুকরো কিছু মুহূর্ত
জমায়েত করে নিয়ে
লিখতে বসেছি।
তা দেখে শব্দরা হেসে উঠলো হঠাৎ,
-- কি লিখবি? আছে কিছু?
যাহহ সব তো এলোমেলো...
ঢেউয়ের মত, গভীর খাদের মত
ফুরিয়ে গেছে সব।
আচ্ছা! ঠিক কতখানি নিঃস্ব হলে
এমন ফুরিয়ে যাওয়া যায়? — % &-
এ জন্মে নয়, পরের জন্মে
না হয় রামধনু হবো বরং।
দুহাত ভরে বৃষ্টি কুড়োবো
কোনো বসন্ত ঝড়ের মাঝে।।
রংগুলো সব বিকিয়ে দেবো
ওই ছদ্মবেশি বৃষ্টিটার কাছে।
ধুলোর শহর উঠবে সেজে
পলাশছোঁয়া রোদেলা ফাগুনে।।
আবেগরা যেন ছোঁয়াচে ভীষণ
হারানো কোনো গল্পের পাতায়।
মেঘেদের বাড়ি মিছিল হোক
অভিমানী শ্রাবণের আবেদনে।
এক পশলা জুড়ে শুধুই এখন
চেনা ভূমিকার এক টুকরো গন্ধ।
ফেলে আসা চিঠি জানান দেয়
উপসংহারটা আজীবন বিরহের।।— % &-
ঘর জুড়ে একরাশ জোনাকিরা সব
উড়ে বেড়াচ্ছে নিজেদের ইচ্ছে মত,
আমরাও বুঝিনি আজো দিগন্ত আর
আকাশের মাঝে দূরত্বটা ঠিক কত !-
সময় ক্রমশ শেষ হয়ে আসে, অন্ধকারে হারিয়ে যায় বৃষ্টিমেয়ে
এই শহরে ফের বর্ষা নামলেও, শ্রাবণটা বরাবরই একঘেঁয়ে।।-
একটা ডুবন্ত অন্ধকার।
আলগা ব্যথারা, আরেকটা
রক্তাক্ত বাউন্ডুলে কবিতা
-
~আচ্ছা তারপর....
~ওই দস্যিমেয়েটা ?!
~শান্ত !..... চিরশান্তিতে শান্ত,-
এমনি করেই হারিয়ে যায় সবাই
তবু এ মন লাস্টসীনে খোঁজে এক মিল।
চেনা অভ্যাস হঠাৎ বড্ড অচেনা লাগলে
এই শহরের স্মৃতিরাও মরনশীল ।।-