ফিনিক্স
একুশের নেশায় বাইশ টপকে তেইশ ডেরায় বোম দাগে
এক ইঞ্চি ফসকালে, হানাবাড়ির রক্তাক্ত ছাদ
তাকিয়ে থাকে -
তার ডাগর ডাগর চোখ বেয়ে জল গড়ানোর উপক্রম
ভিট্রিয়াসে সাগর সমান উত্তল নোনাজল থমকে দাঁড়ায়
একফোঁটা গড়িয়ে পড়ার জো নেই
হোমিওপ্যাথির বোতল ফাটিয়ে মদ মদ বলে চিৎকার,
সবাই শুনতে পেলে সাদা জামায় রক্তের দাগ কতখানি
চুপ, বাড়ির একটা সম্মান আছে কিনা !
তাগাদার তলানিতে অস্বচ্ছ সত্য পাতালপুরীর গন্ধে মাতাল
শেওলা চিবিয়ে পত্ররন্ধ্রে ছিদ্র খুঁজে , দেহ ভাষায়।
আপনার নামে , আপনের নামে , সত্যের সমাধি -
শহীদ হয় , জ্যান্ত -মৃত আত্মারা,
বিস্বাদের শুল্ক আবেগ পুড়িয়ে পিন্ডি ভাসায়,
নামে নামে বৈতরণীর মেলার মাঠের স্বপ্নাদেশ।
-
নাম - ঐশী অধিকারী
যখন অনুভূতি গুলো বুকে চেপে দমবন্ধ করে রাখা যায়না , আ... read more
ডেস্টিনি
একত্রিত মস্তিষ্কের পঞ্চম কোঠরে
আলজাইমার আক্রান্ত কোভিড স্মৃতি
মাস্ক ছুঁড়ে ফেলে নর্দমায়
সাঁতরে তীর পায়না খাবি খাওয়া পিডিফ
অকম্মা নিকৃষ্ট তরল মাথার ঘিলু
বেঞ্চ পিটিয়ে উদ্ধারকার্য চালায়
সুড়ঙ্গের গভীরতম অন্ধকারে,
পোকাধরা টিউবলাইট খুঁজতে গেলে
ভুলভুলিয়া ছাড়িয়ে আকাশ গঙ্গায় তলায়,
ক্লান্ত, অলস, বিস্তৃত নিটোল দেহ।
অসাড় পা মাটির স্পর্শে এলে -
গ্রাভিটি পেরিয়ে অশরীরি মধুমেহ,
নিখোঁজ আলোকবর্ষ, লাইফটাইম মিস্টেক
সত্যিই কি দোষী সাদা বই?
এটাই সারমেয়!-
সে সকালের শিশির ডুবিয়ে বাষ্প উড়িয়ে,
ভিজিয়ে ফেলেছে চিবুক থেকে নাভি
আলজ্বিবের শেষপ্রান্তের কোষময়,
সব নোনতা স্বাদে মত্ত।
চোখ খুলতে গেলে দাপট হওয়ার তাণ্ডব,
সরিয়ে সরিয়ে কোণে ঠেকিয়ে -
বৃষ্টি নামায়
যেন অনেকদিন ওর তেষ্টা মেটাইনি আঁচল খুলে ।
বুকের উপর সাজাইনি লাল গোলাপ ।
অসাড় জ্বিভে উষ্ণ গরম মধু -
ঘাড় গলা সব চিটচিটে আর উজাড়
নাহ ! ছেড়ে দাও , আর নাহ !
পিঠের সব শিরা উপশিরা প্রচন্ড শিরশিরে বরফ গলিয়ে তাকিয়ে আছে ,
এই ভারাক্রান্ত শরীর তোমার চুম্বন টুকু চাইছে ,
নাহ ! আমায় যেতে দাও -
ওই ফাঁকা বুক, ছুঁতে দাও
তিলে তিলে বেড়ে ওঠা তোমার নিশ্বাস
উলঙ্গ করেছে মন ঠোঁট দেহ
আমায় ভালবাসা দাও,
আরেকটু আদর দাও ।-
কালীজ
বদ্ধ পাগল উল্লুকেরা কাদাজলে সাঁতার কেটে
কই যায় কেনো যায় -
রাস্তার ধারে পাষণ্ড আট ঘাট, ধু ধূ বালি রোদ্দুরে মাঠ
হলুদ ত্রিপল, বসিয়ে রাখে -
বুঝতে পারিনা কখন বাঁকা নাকে হয়েছে শ্বাসরোধ
গলা টিপে দুধ তুলেছে পায়েশ ভোগ!
আগুন তারা মিহি উল্কায় পিঠ ঠেকিয়ে
আগলে ধরে , ছাল বাকল জ্বলে যায়, গলে যায় ।
ধপধপে সাদা চোখ দম আটকে অপেক্ষায়
পাতার পর পাতা ঘুম আসে ,যায় -
গালে হাত দিয়ে বসে কালি কলম
হাত পা ছড়িয়ে ঢুলে পড়তে চায়।
দূর দূরান্ত খুঁজে পাইনা ঠান্ডা বিকেল
বেদুইন মাথার উদ্বাস্তু কেরিপোকা
ঘুমের প্রলাপ ,গোলাপের অনেক দূরে
আমি এক রুমাল জড়ানো পাখির নাক ।
-
কলি-চুন
নদীপাড় নিষ্ঠুর,
বহুকাল চড়া রোদ্দুর ঠেকিয়ে পশ্চিমী যাযাবর,
ভোরানদী নীল স্রোত দেখে থামল -
বালিবাধাই আলগা বাঁধন ঝুপ- ঝাঁপ ভেঙে গুঁড়িয়ে একাকার
অসম্ভব পারাপার ডুবো কালি সাদা পাতায়
একশো পাওয়া বিজ্ঞ বিশারদ বীন বজায় সাপ ডাকে,
এক সরিয়ে শূন্য মহান "ওকার্যভট্ট" সাদা কালি ,
গোল পাকিয়ে পান্তুয়া টাও নিলামে বিকিয়েছে
ছাগল গরু ঘাস ছেড়ে খায় তেতো সত্য কাগজ।
দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা চাওয়ার আগেই চাল ডাল রপ্তানি বাজারে
কিলো দরে বিকিয়ে যাচ্ছে বাটখাড়া
একশো পাঁচশো এক সাইজ,দিস্তা অভিযান
ছাই হয়ে যায় ঘুমের ওষুধ , বিজ্ঞান।
-
প্রতি - বাদী
বারুদ সমান অপছন্দের অক্ষর
যাবতীয় পিছিয়ে পড়া চাপিয়ে রোদ্দুর সমান
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি আরও তেজ বাড়িয়ে জ্বলে
নোংরা রাতে খোলা আঁচলের গল্পে
আরও তেজ , কমলা ফুল , গোবরপোড়া উচ্ছিষ্ট
জ্বলজ্যান্ত সাদা মানুষ ,কালো পতাকা উড়ায়
পিঠ ঠেকেছে চুপ গল্পে, ত্রিপল ঢাকা ঘরবাড়ি
তুলোয় কান , কালো চশমা , জানলা দরজাও অন্ধকার
চলচিত্র আজকের খবর পড়ে গতকালে
সাধু সাধু, গঙ্গা চোবানো ইলিশ মাছের মতো ছটফটে
স্নান সেরে নুন মুখে দেয় আঙুলে -
পায়ে বেড়ি পরাও লোহার গারদে,
গলা মিলিয়ে ঘুঙুর ছন্দ ওষ্ঠরন্ধ্রে।-
ছাব্বিশ হাজার
রাত জাগায় শুকনো ছাদ,
মাথার তলায় বই - বালিশ
নালিশ আসে, চাকরি আসেনা-
অপয়েন্টমেন্টের খাঁটি কাগজে।
কেউ পাত্তা দেয়না!
ছাব্বিশ হাজার , মেজরিটি নাহ।
পায়ের তলায় ফাঁপা মাটি,
জলের দরে ঘোল খাওয়ায় ।
ভারাক্রান্ত যোগ্য বালিশ,
মোটা কাঁথা, সিমেন্ট বাড়ি , মোটর চাকা -
দুবেলা সুধ কসা শেখায়।
কচিকাঁচার বোর্ড পরীক্ষা -
কেজিদরে নম্বর ।
তারপর একটা পরিষ্কার আয়না মুখের সামনে
টাকা নেই শরীর নেই ইংরেজি নেই -
তাহলে এরাও ?
যোগ্য হয়েও , কালিমাখার দলে ?
-
আজকেও একটা নষ্ট কাপ টেবিলের কোনায় চুমুক দেয়
কতটা গরম মাটি ঢাকা বাষ্প,
একটা আঁচড় কাটতে পারবে না ?
গরম যথেষ্ট নয় , কষ্ট হওয়ার !
স্পষ্ট একটা ঝাঁঝালো "লু " কোনদিকে আছড়ায়
নাকে মুখে রক্তাক্ত বাড়তি ছাপ,
চোখে কুয়াশা সামুদ্রিক স্বাদ চাটায়।
ফিরলোনা শিতোষ্ণ নম্র বসন্ত
ঠকঠকে হিল, পেন্সিল স্কার্টেই স্পষ্ট।
সর্ষে জুড়ানো ধাঁধালো বরফ তেলিয়ে তলিয়ে গলিয়া যায়!
স্বাদের বানানো "গুরুচন্ডাল" কষ্টা আমেই মুখ বোজায়।
-
আমাদের কাছাকাছি
কুচকুচে কালো
ধুলো ধোয়া আলকাতরা
বিষাক্ত তেল
হুটোপুটি
সবুর নেই, তুষারঝড়
সাবুদানা উপাচার
কুটি কুটি ছেড়া বই
ল্যাংটো মলাট
নিকোটিন সন্ধ্যে
রুক্ষ চুল।
ঘুরতে পেয়ে,
বড্ড উড়েছে -
কাকপক্ষীও টের পায়নি
সব নথি লুকিয়েছে
সাদা পায়রা।।
-
তোমার সাথে আমার দেখা
তখনও সূর্য ওঠেনি
আধঘুমে চোখ খুলেছে হয়তো
প্রথম কমলা রোদ চিকচিকে পাতা,
কামিনী থেকে বাগানবিলাস
মাঝের ওই প্রলাপ বকা, খিলখিলিয়ে হাসি
তোমার হাতে ধরানো একখানা গোলাপ, নীলচে চন্দ্রমল্লিকা
ঠোঁটে ঠোঁট লাগানো ঠান্ডা দুপুর,
জড়িয়ে ধরা , কাদা বৃষ্টি।
তখনও ঠিক ডুবে যায়নি আকাশ,
চোখ বোজেনি ভালোকরে,
তখনও ঠিক ঘুম আসেনি ,
তাও, চোখ ভিজিয়ে বলছো, বিদায়! ❤🩹-