ভ্রমান্তের পরিণাম
✳️✳️✳️✳️✳️✳️
উড়ুক্কু অর্কিডের এক- কলি ফুল
না গ্রীষ্মের, না বসন্তের ।
ওদের ছুঁতে চাওয়া স্পর্শকাতর বর্ণবিভ্রাট বহুরূপী
চাহিদার দাসী, কাঁচা পয়সার বিলাসী।
স্থিতু মাটির আঙুল গোটানো পদক্ষেপ
বাড়তি বাটখারা চাপিয়ে ওজন বাড়ায়,
টগবগে এথেরোয়, স্বদেশী প্রবাসী।
ব্রাহ্মণ বরপ্রাপ্ত একলব্য, রাজরানী
সাধনায় আপামোর বিশাল প্রাচীর।
তুলনায় ঝরঝরে দেশী ঝাপট গাঁদা?
ছাইয়েও গলে যাওয়া ভঙ্গুর সাদা - পাখা।
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকা সবজান্তা জ্ঞানপাপী -
আদর ছাড়া আদেশ
উপায়ান্তু উপদেশে
পেলেছে ভ্রূণ , পরমেন্দু।-
নাম - ঐশী অধিকারী
যখন অনুভূতি গুলো বুকে চেপে দমবন্ধ করে রাখা যায়না , আ... read more
সময়ান্তে
সময় থমকে থাকলে আদ্র সকাল পর্দা ঢেকে -
আরেকবার টেনে আনতাম অন্ধকার
শুকনো ঠোঁটের ভারী কোন দুটো ভিজিয়ে দিতাম চুম্বনে
আদরের নগ্ন বুকে মুখ গুজে চোখ বুজতাম আরেকবার।
সময় থাকলে ফু দিয়ে সরিয়ে দিতাম ধুলো -
"তোমায় গান শোনাবো " হারমোনিয়ামে।
তোমার কালি লেপা চোখে চুমু খেয়ে দিতাম আরেকটু
শুধু আরেকটা কবিতা শোনার অনুরোধে।
সময় থাকলে হাত টেনে ধরে , আটকে রাখতাম -
দূর দূরান্তে তোমার এক্সপ্রেস চায়ে চুমুক,
আমার পোষয়না -
আমার কব্জি জোড়া সময় বিভ্রাট,
আমার পোষায় না ।
অপেক্ষাদের আসকারাও দিতে পারো প্রিয় -
সব রবিবার "রবি"র গান ভালবেসে।-
প্রাজন্মিক
এই প্রজন্ম ম্যাড়ম্যাড়ে
মার গলানো পান্তাভাতের খোঁজে
মাইল সমান ফাইল হাতানো লাইন ভর্তি করে
এই প্রজন্ম মুখ ফুটে বলতেও পারেনা -
দুই পৃষ্ঠা গেলা জ্ঞান।
পিঠের চেইন টানে ট্রান্সপারেন্ট ডেস্ক,
জুতোর উপর টাই নামিয়ে মাথা নামায় কেউ কেউ
এই প্রজন্ম মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেনা ,
মুখ ফসকে উগরে দেয় আপাদমস্তক।
এরা লয়াল -ভবঘুরে
হটকারী উদ্বাস্তু।
বিচ্ছিন্ন ভ্রমর বিকল্প ফুলের মধু খোঁজে -
এই প্রজন্ম লড়াই করতে পারেনা ,
মুখ বুজে পড়ে থাকে এক কোনায় ।।
-
ডাটা বুক
বুড়িয়ে কাহিল গুচ্ছ সিউডো - স্নায়ু
সময়ে ছায়াও কাটেনা ভ্রূণক্ষারেও
হানাবাড়ির পাহাড়ায় নিথর ঠান্ডা দেহ
ওরাও বেয়ে উঠতে চায় একদিন -
কাঁধের ভারি মাটি যেন গুড়ো গুড়ো ধুলো।
অবুঝ সাজতে চায় একটা দিন -
যেন পাঁচটা বছরও গড়ায়নি কালো দেশে।
ওদের শিরদাঁড়ায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস!
সস্তা চায় জিভ ভিজিয়ে হাসতে চায় একদিন
হাতে ধরে রাখা যায়না
গরম কাপ
দে ছুট বোন - ম্যারো গিয়ে খায় রাক্ষস
কে ?
ফাঁকা বই, স্যানিটাইজার, খাকি বডি গার্ড
আর নবীশের দরবার ।-
চারণ
ভালবাসা লিখিনি
টিনের ছাউনি আর শিলাবৃষ্টির
ওই শব্দ আর মেঠো গন্ধ চিনতেও
ছোট থেকে বড় হতে হয়েছে ।
ভালবাসা লিখিনি
বেগুনি আকাশে ,স্পষ্ট আঁধারের
সংক্ষিপ্ত আলাপের
বেঞ্চের গায়ে গায়ে চোখের নামাঙ্কিত
অপরিচিতদের সমাপ্ত গল্পের।
ভালবাসা লিখিনি
চোখ চোখ দুপুরে , কোলের বিড়ালের
সবুজ সিঙ্কোনা ধোঁয়াটে তমাকে
বরফের আকাশে সময়ের ব্যঘাতে।
ভালবাসা লিখিনি
সমস্ত গোলাপে, ডুবু ডুবু পাপড়ির
ভেসে থাকা বাক্যের ,
দিনে দিনে গভীরে , আকন্ঠ আবেগের
হাতে হাত সকালের , বালিশের গন্ধে ।
সবার দেখা হোক ঝড়ের সমুদ্রে
চায়ের স্বর মাখা ছ্যাঁকা খাওয়া আঙুলে
সময় কাটুক কোনো বন্ধ ঘড়িতে
আর আকাশ ডাকুক তার নিজের বাড়িতে।
-
চুন খসা সুপাড়ি
সমতলে পা পিছলে দূরবীন দেখি অনেকটা গতি নদী
আঁকা বাঁকা লালগোলা, বরফ ছোঁয়া পাহাড়
সোনালী চূড়া মেঘের আড়াল, খিটখিটে রোদ
গোটাটাই গলিয়ে ফেলার চেষ্টা।
সমতলের শিলা বৃষ্টি, জানলায় বসে করিডোর
সকলের স্কুলবাসে প্রচন্ড তুষারপাত
সমতলে কালো ভূত, চুনাপাথর গুঁড়িয়ে সাদা চামড়ার,
টেনে ছিঁড়ে ফেললেও , পোড়া তামা রং
ফসকায় ,
গাঢ় ঘুম, পণ্ড বিকেল , একটা বসন্ত, আট সকাল
পর্দা আড়াল করলোনা সত্য, কালো সত্য
বরফ , চুনাপাথর, পলিমাটি অবলম্বনে -
অনবদ্য,
দীর্ঘায়িত লাল পদ্য।-
ম্যাজিক বল
বোতল আনালো নোটে
রংচঙে স্বপ্ন সাজানো ঘরে
তাতে জল পরে , বাঁচিয়ে রাখার জন্য
লাল গোলাপীর গেটপাস "এম টেক"
সবুজ নীলে ঐ স্কুল টুল -
আকাশী কালো প্রফেসর হতে চায়,
দলে দলে বোতলে ঢুকছে তাই।
গাঁদিয়ে ভিড় হাজার টাকার ফ্রমে
ভ্যাক্যান্সি মাত্র চার
মাত্র দুটো রং ন্যাচারালি সিলেক্টেড
হাজার টাকার পঞ্চাশ লক্ষ ফ্রমে ।
স্বেচ্ছায় ফেটে যাচ্ছে নরম তরম যারা
বেশি জল খেয়ে কারোর ফাটছে সেল
কেউ চাপে পড়ে গুড়ো গুড়ো জেল -
আটকে থাকে অন্ধকার কোনায়!
ম্যাজিক ম্যাজিক হাপিস অনেক স্পেস
ঢাকনা আটকে চুপ করালেই,
কাজ শেষ !
-
ফিনিক্স
একুশের নেশায় বাইশ টপকে তেইশ ডেরায় বোম দাগে
এক ইঞ্চি ফসকালে, হানাবাড়ির রক্তাক্ত ছাদ
তাকিয়ে থাকে -
তার ডাগর ডাগর চোখ বেয়ে জল গড়ানোর উপক্রম
ভিট্রিয়াসে সাগর সমান উত্তল নোনাজল থমকে দাঁড়ায়
একফোঁটা গড়িয়ে পড়ার জো নেই
হোমিওপ্যাথির বোতল ফাটিয়ে মদ মদ বলে চিৎকার,
সবাই শুনতে পেলে সাদা জামায় রক্তের দাগ কতখানি
চুপ, বাড়ির একটা সম্মান আছে কিনা !
তাগাদার তলানিতে অস্বচ্ছ সত্য পাতালপুরীর গন্ধে মাতাল
শেওলা চিবিয়ে পত্ররন্ধ্রে ছিদ্র খুঁজে , দেহ ভাষায়।
আপনার নামে , আপনের নামে , সত্যের সমাধি -
শহীদ হয় , জ্যান্ত -মৃত আত্মারা,
বিস্বাদের শুল্ক আবেগ পুড়িয়ে পিন্ডি ভাসায়,
নামে নামে বৈতরণীর মেলার মাঠের স্বপ্নাদেশ।
-
ডেস্টিনি
একত্রিত মস্তিষ্কের পঞ্চম কোঠরে
আলজাইমার আক্রান্ত কোভিড স্মৃতি
মাস্ক ছুঁড়ে ফেলে নর্দমায়
সাঁতরে তীর পায়না খাবি খাওয়া পিডিফ
অকম্মা নিকৃষ্ট তরল মাথার ঘিলু
বেঞ্চ পিটিয়ে উদ্ধারকার্য চালায়
সুড়ঙ্গের গভীরতম অন্ধকারে,
পোকাধরা টিউবলাইট খুঁজতে গেলে
ভুলভুলিয়া ছাড়িয়ে আকাশ গঙ্গায় তলায়,
ক্লান্ত, অলস, বিস্তৃত নিটোল দেহ।
অসাড় পা মাটির স্পর্শে এলে -
গ্রাভিটি পেরিয়ে অশরীরি মধুমেহ,
নিখোঁজ আলোকবর্ষ, লাইফটাইম মিস্টেক
সত্যিই কি দোষী সাদা বই?
এটাই সারমেয়!-
সে সকালের শিশির ডুবিয়ে বাষ্প উড়িয়ে,
ভিজিয়ে ফেলেছে চিবুক থেকে নাভি
আলজ্বিবের শেষপ্রান্তের কোষময়,
সব নোনতা স্বাদে মত্ত।
চোখ খুলতে গেলে দাপট হওয়ার তাণ্ডব,
সরিয়ে সরিয়ে কোণে ঠেকিয়ে -
বৃষ্টি নামায়
যেন অনেকদিন ওর তেষ্টা মেটাইনি আঁচল খুলে ।
বুকের উপর সাজাইনি লাল গোলাপ ।
অসাড় জ্বিভে উষ্ণ গরম মধু -
ঘাড় গলা সব চিটচিটে আর উজাড়
নাহ ! ছেড়ে দাও , আর নাহ !
পিঠের সব শিরা উপশিরা প্রচন্ড শিরশিরে বরফ গলিয়ে তাকিয়ে আছে ,
এই ভারাক্রান্ত শরীর তোমার চুম্বন টুকু চাইছে ,
নাহ ! আমায় যেতে দাও -
ওই ফাঁকা বুক, ছুঁতে দাও
তিলে তিলে বেড়ে ওঠা তোমার নিশ্বাস
উলঙ্গ করেছে মন ঠোঁট দেহ
আমায় ভালবাসা দাও,
আরেকটু আদর দাও ।-