অন্তরাল ঘুম হয়ে আসে কাছে,
অথচ নৈশনিদ্রা হয় না সমীপবর্তী
যে ক্লান্তির নাম নৈঃশব্দ্য,
তাকে আমি সযত্নে রোপন করি হৃদয়কমলে
আশমানি স্বপ্নের মতো একটুকরো ইচ্ছে
আজও বাঁধা পড়ে আছে তার কাছে
আমি সেই স্বপ্নের ঠিকা নিয়ে আজও বসে আছি
নিরন্তর, নিদ্রাহীন, বৃদ্ধ অনুরাগে।-
তোমাকে দেখি মনপবনের নাও
তোমার স্বপ্ন আমার চোখেই ফিরিয়ে তুমি দাও
কী হত আজ দুইটি দণ্ড আসতে যদি কাছে
বুঝতে সখী, ও মন আমার আজও তোমায় যাচে!-
স্বপ্ন দেখিয়েছিল যারা, তারা চলে গিয়েছে
চলে গিয়েছে অনেক দূরে
কিন্তু রয়ে গিয়েছে সেই মানুষগুলো, যাদের
তারা স্বপ্ন দেখিয়েছিল।
আজও সেই মানুষগুলো
সেই স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে,
সেই স্বপ্ন দেখেই বেড়ায় সকল চোখে, সকল খানে!-
সে বলে, ডুবে যেও না।
কষ্ট পাবে।
আমি ভাবি,
ডুবতে কি কেউ চায়?
ডুবেইছি যখন,
এ তো ঈশ্বর নির্দেশিত!-
ভালোবাসা এক আলো, অপূর্ব এক আলো! এই আলো যিনি পেয়েছেন, তিনি ভাগ্যবান। তিনি সুখের পথে একধাপ এগিয়েছেন। যিনি পান নি, তিনি প্রার্থনায় থাকেন এই ভেবে যে, কবে সেই ভালোবাসার আলো ছুঁয়ে যাবে তাঁকেও! আসলেই ভালোবাসা মহত্তম! ভালোবাসাই সত্য, ভালোবাসাই শিব, আর সুন্দর তো বটেই! আমরা অধম, অকৃতী মানুষরা ভালোবাসার সেই আলোর স্পর্শে ধন্য হই, আলোকপ্রাপ্ত হই আর শাশ্বত সুন্দর প্রেমে বেঁচে নিতে শিখি বাকি জীবনটা।
-
পৃথিবীতে অনেক রকম সুখের অনুভূতি হয়, কিন্তু প্রেমের অনুভূতিই সবচেয়ে গভীর, সবচেয়ে প্যাশনেট, সবচেয়ে তীব্র কেন? এর কারণ, প্রেম মানুষকে উদার করে, দুঃখ সহন করতে শেখায়, অপেক্ষা করতে শেখায়, স্বপ্নের জাল বুনতে শেখায়, সবচেয়ে আনরোমান্টিক মানুষটাকেও কবি করে তোলে! আর একটি বিষয় যা প্রতিটি প্রেমিক হৃদয়ে আকুতি জাগায় তা হল, ধৈর্য্য। প্রেমিকার জন্য ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। যদি প্রেমিকের আকুতি চিরসত্য হয়, তবে প্রেয়সী তার ডাকে সাড়া দেবে না, এমনটা কখনোই হওয়ার নয়। তাই প্রেমিকের মন গুনগুন করে ওঠে, “আমি রূপে তোমায় ভোলাবো না, ভালোবাসায় ভোলাবো...”, আর সেই ডাক উপেক্ষা করতে না পেরে প্রেমিকার ওষ্ঠে অনুরণিত হয় সেই চিরন্তন আবেদন—“O Romeo, Romeo! Wherefore art thou, Romeo? Deny thy father and refuse thy name...”
-
বাঁধি তোমার স্বপ্ন নিয়ে এ অশান্ত হৃদয়মরুতে
তুমি বুঝতে পারো তবু কী দ্বিধা,
দ্বন্দ্বে দীর্ণ তোমার মনন এবং কোমল হৃদ-পদ্মে
আমার পরশ চুপটি করে যখন রাখি
তোমার চোখে আমার নয়ন
দেখতে যে পায় অতল ভুবন
খামখেয়ালী ওই দু চোখে!
চোখ বুঝি ও? ভেবেছিনু কুসুমকলি
তখন তোমার ওষ্ঠে মেশা আদর এবং মিষ্টি হাসি
মধুর করে অপেক্ষা মোর তোমার বাহুঘেরে ফিরে
এমনি করেই যাক না কেটে দিনগুলি মোর তোমায় ঘিরে!-
নিদ্রিত হওয়ার আগে তার স্মৃতি নিয়ে থাকা, নিদ্রিত অবস্থাতে স্বপ্নে তার দর্শন, জাগরিত হয়েও প্রথম তার কথা স্মরণ হওয়া, সারাটি দিন তাকেই মনে নিয়ে চলা, বিস্মরণেও তার স্মৃতি মানসচক্ষে ভাসা—এ যদি অনুরাগ না হয়, তবে অনুরাগ কাকে বলে?
-
চোখ কি হয় মায়ার খনি? চোখ কি হয় স্বপ্নদর্শী? হ্যাঁ,হয়! আমি দেখেছি সেই চোখ। দেখেছি যখন, তখনই হারিয়েছি সেই চোখের অতলস্পর্শী গভীরতায়। নিজেকে হারিয়েছি সেই চোখের ভ্রুভঙ্গীতে! কী আছে ওই দুটি আঁখিতে তার? নীরব প্রেমের মন্দ্রবাহার? চোখ কি কারো এত সুন্দর হয় কখনো? হয়তো হয়! নাকি, আমারই কখনো চোখে পড়ে নি? আমি অপলক চেয়ে থাকি ওই দু চোখে, আর মনের মধ্যে অনুরণিত হন সপ্রেম হেমন্ত মুখারজি—“ওগো কাজল-নয়না হরিণী/তুমি দাও না ও দুটি আঁখি/ওগো গোলাপ, পাপড়ি মেলো না/তার অধরে তোমাকে রাখি...”
-