তুমি বেলা শেষে হেলায় নাহয়
আমায় একটু করে ডাকিও,
নীরব নিভৃতে নাহয়
আলতো করে হাসিও।
প্রণয় সোহাগে না হোক সহেলি
আদরে নাহয় ভাসিও,
বেলা শেষে একদিন নাহয়
ভেলাতে বাসর সাজিও।
ফারুক জাহাঙ্গীর-
। হৃদয় ছুঁয়ে গেল আজ ।
২১.১১.২০১৭ খ্রিঃ
- ফারুক জাহাঙ্গীর।
চল্লিশ বছর পর,ঠিক চল্লিশ বছর
আবার দেখা হলো দু-জনার....
অতঃপর..............
হৃদয় ছুঁয়ে গেলো সেই বাসন্তী সুবাস ।
হাসলো হৃদয় আপনার নন্দিত প্রকাশে
নাচলো সুখে সুরেলা উল্লাসে অবশেষে,
সতত তোমায় পড়ে মনে মহুরী নদী
আমার মুহুরী তুমি, মুহুরীর সে আমি।
তুমিও আমার আরেক জননীর রূপ
বইছো নীরবে বাংলার অমর সংগীতে,
সেই যে বালক বেলায় উদোম বেশে
তোমার বুকে আমার দুরন্ত সন্তরণ ।
খাঁডি ধরে ধুপ করে ঝাপ তোমার বুকে
আহ্................
কত আনন্দে সোহাগে আমায়
করতে ধারণ আপনায় জলদী সুখে।
হে নদী মা আমার .............
তুমিও ঠিক আমার জননীর পরে
মা, ও নদী মা বলো চুপিচুপি
আমায় কি তোমার আজও মনে পড়ে...
কাব্যগ্রন্থ- ফেরারী বসন্ত-
বিশ্বরাজের হাসি
মুক্ত হাওয়ায় তুমি আমি
সত্য খুঁজি দু'চোখ মেলে।
কখনো বা ছাতার নিচে
দাঁড়িয়ে কেউ আকাশ দেখে।
মুক্ত আকাশ দেখছি ভেবে
হাসে কেউ পরান খুলে।
আমি বলি আকাশ দেখো,
মুক্ত হাওয়ায় খোলা আকাশ
ছাতার বাইরে চলে এসে ৷
দেখবে তুমি অবাক করা
বিশ্বরাজের হাসি।
বলছে ডেকে এসো এসো
বড্ড ভালোবাসি।-
" মিষ্টি ছোঁয়া "
লায়লা আহমেদ সেলিনা
প্রভাতের প্রতিক্ষায় নিশি জাগরণ,
ভোরের হাওয়ার সাথে মিশে মিশে-
আসতো যার ছায়া হৃদয়ের আঙিনায়
প্রতিক্ষণ দোলা দেয়-
আমাকে নিয়ে যায় অন্য ভাবনায়।
অন্য এক স্বপ্নমাখা শিহরিত উদ্যানে,
আমি বিভোর হয়ে যাই একটু মিষ্টি ছোঁয়ার প্রত্যাশায়।
যদি কোনদিন ছায়া ঘেরা অরণ্যে কিংবা শরতের বিকেলে,
শাপলা ফোঁটা ঝিলের পাশে অথবা হিজল ফুলের বিছানায়-
পাশাপাশি শুধু দুজন,
যেমন করে মেঘগুলো চাঁদকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
যেমন করে বাতাস আর ফুলেরা খেলা করে।
যেমন করে নদীর হালকা হালকা ঢেউয়ে,
নৌকো দোলায় তেমনি মৃদু ছোঁয়া।
মৃদু ভালোবাসা অনুভবে বিলীন হয়ে যাওয়া,
কত কী ভাবনার গভীরে নোঙ্গর ফেলি বার বার।
রোদমাখা বিকেলে একাকি চলেছি আনমনে,
হঠাৎ মিষ্টি কণ্ঠের শব্দে ফিরে তাকালাম;পেলাম ঠিকানা;
আলতো করে নিলাম মিষ্টি ছোঁয়া।-
ধর্ষণ ও বিবেক
সৌমেন্দ্র নাথ গোস্বামী
মানুষ এত ঘৃণ্য কেন
পশুর চেয়েও অধম।
বারে,বারে ধর্ষণ করেও
পায়না একটু শরম!!
ছোট্ট শিশু বোঝেনা কিছু
দেখায় কত প্রলোভন।
ইচ্ছা মত সুযোগ বুঝে
করছে তার ইজ্জত লুন্ঠন।।
প্রেমের ফাঁদে ফেলছে তারা
অসহায় মেয়েকে কত!
সেই সুযোগে ধর্ষণ করে
করছে তাদের ক্ষত।।
বিবেকটা অাজ কোথায় গেলো
বোঝেনা পাষন্ডরা মা,বোন।
ওরে নরাধম পার পাবিনা
দগ্ধ একদিন হবিই তোরা শোন।।
পথে,ঘাটে,ঝোপের অাড়ালে
হচ্ছে যে কত ধর্ষণ।
শিশু,বৃদ্ধা,কন্যা তুল্য
শুনছেনা কারো ক্রন্দন।।
ভন্ড শিক্ষক নীতি কথা বলে
ছাত্রীকে বাড়ীতে ডাকে।
প্রাইভেটের নামে ছল করে
ধর্ষণ করছে তাকে!!
মাদ্রাসার শিক্ষক কৌশল করে
করছে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি।
থানায় গেলে ধামাচাপার চেষ্টা
না হয় যেন একথা জানাজানি!!
পিতাও অাজ কন্যার প্রতি
দিচ্ছে লোলুপ দৃষ্টি!
নৈতিকতার এ কি অবক্ষয়
হায়রে কি অনাসৃষ্টি!!
বাসে,ট্রেণে যততত্রই
হচ্ছে কত অাজ ধর্ষণ।
প্রতিবাদ হলেও বিচার কই
ভুক্তভোগীদের চোখে শুধু বর্ষণ।।
পাষন্ডরা তবুও ঘুরছে সমাজে
করে যাচ্ছেই এ অনৈতিক পাপ।
বিবেক বলতে নেই কিছুই
করেনা একটুকুও অনুতাপ!!
প্রশাসন অাজ নির্বিকার কেন
চাই তাদের উপযুক্ত প্রমাণ!
কখনওবা অালামত নষ্ট
যাচ্ছে চলে গরীব,দুখীর সম্মান।।
-
অামরা সবাই অসুখী
সৌমেন্দ্র নাথ গোস্বামী
অামারা সবাই নিজেকে ভাবি অসুখী,
ভাবিনা অামার চেয়েও কেউ অাছে দুখী!
সবাই নিজের সমস্যাকেই বড় ভাবি,
অন্যকে কেউ করতে দেইনা দাবি!
জীবনে দুঃখ কম বেশি সবার অাছে,
কেউ ভাবে তুচ্ছ অাবার বিশাল কারো কাছে!
কেউ অল্প বিপদেই হতাশ হয়ে যায়,
কি করবে ভেবে কোন কূল নাহি পায়!
অনেকে শত দুঃখেও করে খুব লড়াই
অাবার কেউ অল্পতেই করে খুব বড়াই!
কেউ ভাবে অামার মত সমস্যা নাহি কারো অার,
তাই বলি এত চিন্তা করার কি দরকার?
দুঃখ,কষ্টে সদা সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হয়,
কেউ তা পারে অাবার কারো তা নাহি সয়!
অন্যের দুঃখ,কষ্টকে যদি বড় ভাবা যায়,
তাহলে নিজের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়।-
জেগে থাকে তারা
জেগে থাকে রাত।
স্বপ্নরা সরে যায় দূরে।
দু:স্বপ্নের পান্ডুলিপি
পড়তে চায় না বলে।-
তিমিরের পুর
চলে গেছো দূরে!
যাও তবে আরও দূর।
ফিরবো না আমিও আর
তোমার তিমিরের পুর।
আকাশের বুকে চেয়ে
ভুলে যাবো দুখ।
সুখের সাগরে না হোক
দুখের অনলে এই প্রেম
ভাসলে ভাসুক।-
প্রত্যয়ী চৈতন্য
বাবুল হোসেন বাবলু
.
রণক্ষেত্রের ডামাডোলে শুনি কবিতার বিদ্রোহী ঝংকার
ব্রাত্য দ্রোহের দাবানলে আজ ,সাম্যের সেতু পুড়ে ছারখার ।
অমিত তেজে দৃপ্ত চরণে অগ্রসরমান, মাতৃকার সূর্য সন্তান
যায় যাক প্রাণ রক্ষিত হবে ,পুণ্য ভূমি স্বদেশের গর্বিত সন্মান ।
হেলায় ফেলায় দলিত মথিত হবে বসুধা মায়ের অঙ্গন
সে কী হয় ! জননীর দেহে পড়বে না আঁচড় আসুক মরণ ।
কবির উদর উগরে প্রসবিত হবে শব্দের অগ্নিঝরা বুলেট
বিদীর্ণ করবে শত্রুর বুকের পাঁজর ,কলমের শানিত বেয়নেট ।
স্বাধীনতা স্বাধিকারের সীমানা পেরিয়ে কোন্ হায়েনা আসে
জাগরুক তারুণ্য দুর্বিনীত প্রত্যয়ে মারবে ওদের ,পদতলে পিষে ।
আর নয় আশাহত হে কবি ,করো কাব্যের জ্বলন্ত ছুরি শানিত
আলস্যে ঘুমঘোরে যারা জাগাও তাদের , দৃঢ়তায় করো প্রাণিত ।-
জলসিড়ি ঘর
জীবনের জল সিড়িঘর
একদিন পেয়ে যাবে জানি
অনেকটা খোঁজার পর।
যতই খুঁজবে,
বাড়বে আকাঙ্খার বহর।
সত্যি বলতে কি,
আকাঙ্খা বেদনা বাড়ায়।
তাই আমি পিছু ফিরে
দেখতে চাই না আর।
তবুও স্মৃতির গুলগুলি বেয়ে
ফিরে আসে ওরা আপন বৈভবে
অপার ভালোবাসা তোমায়
আবার কাঁদাবে বলে।।-