নদীর পারে ঢেউ এসেছে
পাল তুলে, ধরো গান
সবুজ-মেরুনে মিশে আজ
রক্তে শুধুই মোহনবাগান ।।-
ধর্মখেলা কাজীর দেশে
মায়ের পূজো আজ সংকটে,
কবি তুমি বলেছিলে
উৎসব নাকি সবার বটে !
নজরুল আজ থাকলে তুমি
দেখতে কি তুমি এসব ?
বিদ্রোহী কলমে লিখতে তুমিও
দূর হ্ মূর্খের দল সব ।।-
আজ সেই খিটখিটে, একটু মেজাজী, আমাকে বকাঝকা করা লোকটার দিন ।
পাশের বাড়ির ওই ছেলেটা কত পড়াশোনা করে, ওমুকের ছেলে চাকরি পেয়েছে বলা, হ্যাঁ আজ সেই লোকটার দিন ।
ফ্যান-লাইট বন্ধ করতে ভুলে গেলে, যার কাছে বকা খাই, হ্যাঁ আজ তারই দিন ।
ভোর রাতে যে আমাকে গায়ে চাদরটা জড়িয়ে দেয়, হ্যাঁ আজ তার দিন ।
ভালো রেজাল্ট করলে, যে শুধু বলে "আচ্ছা, আরও ভালো করতে হবে" , ব্যস এটুকুই- হ্যাঁ আজ সেই লোকটার দিন ।
কিছু চাইলে বলে "অনেক আছে, আর কি করবি!" তার পরের দিনই কিন্তু এনে দেয়, হ্যাঁ আজ তার দিন ।
বারবার যার এই খিটখিটের জন্য খুব রাগ হয়, ঝগড়া করি মাঝে মাঝে- হ্যাঁ আজ....সেই লোকটার দিন ।
হ্যাঁ আজ বাবার দিন....🥺❤-
মিহিরবাবুর স্ত্রী ক্যান্সারে মারা যান ।
তিনি শত চেষ্টা করেও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেননি । কত কবিরাজ, কত বৈদ্য, কত ডাক্তার ! এমনকি মন্দির-মসজিদ-চার্চেও মাথা ঠুকেছেন । কিন্তু শেষ রক্ষা কই হলো !
তখন পারমিতার বয়স 12 বছর । মা হারার কষ্টটা কোনোদিন বুঝতে দেয়নি ছোটো পারমিতাকে... নিজের বুকে আগলে রেখেছিল । একসময় প্রাইভেট স্কুল থেকে ছাড়িয়ে, মিহিরবাবু তার নিজের স্কুলে ভর্তি করান । মেয়েকে যাতে সবসময় নিজের চোখের সামনে রাখতে পারে ।
আজ সেই ছোট্ট পারমিতা, অনেক বড় হয়ে গেছে । পুরো ঘরটা একাই সামলে রেখেছে সে, একদম ঠিক মা অন্নপূর্ণার মতো ।
বাবার ডাক শুনেই, তড়িঘড়ি নিচে নেমেই দেখে... তার জন্য টেবিলে সাজিয়ে রেখেছে পায়েস, লুচি-ঘুগনি, রসগোল্লা আর মিহিরবাবুর মুখে অম্লান হাসি ।
(মাথায় হাত দিয়ে) "শুভ জন্মদিন মা, ভালো থাক...আরও অনেক বড় হ !"
পারমিতা আজ খুব খুশি । বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে "থ্যাংক ইউ বাবা...ইউ আর দ্য বেস্ট!"
মিহিরবাবু দেওয়ালে টাগিয়ে রাখা মালায় জড়ানো সেই ছবিটার দিকে তাকিয়ে বলছে "দেখো আমি পেরেছি, পেরেছি আমি বেষ্ট হতে..." (মিহিরবাবু চোখ দিয়ে তখন বিন্দু বিন্দু জল গড়িয়ে পড়ছে) ।-
'বেশ গরম পড়েছে, তবে আজকে বেশিই... ধুর্ ছাই, এই গরমে কি থাকা যায় !'
এসব বলতে বলতে পারমিতা উপরের দোতালার ঘরে চলে গেল । ঘরে ঢুকেই চেয়ারের টা টেনে জানালার পাশে কনুই ঢেকিয়ে বসে পড়লো ।
মাঝে মাঝে একটু হাওয়া বইতেই স্বস্তি পেল সে, কপালে জমে থাকা ঘামও উধাও । বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামল । পাখিরা রোজকার দিনের মতো বাসায় ফিরছে । তবে আগের মতো তেমন আর লোকজন বা ছেলেদের দল ধুলো মাখা শরীরে হৈঃ হৈঃ করে ঘরে ফিরতে দেখা যায় না !
মেঘের ফাঁক দিয়ে গলিয়ে পড়ছে জ্যোৎস্নার আলো...
এমন সময় পারমিতার বাবা মিহিরবাবুর ডাক পড়লো ।
মিহিরবাবু একসময় প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন । আজ তিন বছর হলো তিনি রিটায়ার্ড করেছেন । মিহিরবাবু তার মেয়েকে ছোটো থেকেই 'মা' বলে ডাকেন, আর ডাকবেনই বা না কেন ! তার কাছে তো সেই সবকিছু ।-
ঝড়-বৃষ্টি প্রবল বেগে
আসছে তেড়ে সৈকতে,
আছড়ে মারে ঢেউগুলো সব
জীবকূল আজ সংকটে ।
বাঁচা-মরার ভাগ্য বিধি
শিকেয় তুলে রাখ,
পাশে এসে হাত বাড়িয়েছে
আবার মানব জীবন পাক ।
কাঁদছে ভুবন, কাঁদছে মানুষ
কাঁদছে সারা দেশ
শক্ত হাতে সামলে নেবো
কাটিয়ে উঠবো এই রেস ।
-
"তুই তো অনেক ভালো লেখালেখি করিস ।"
"তুই যে কবি হয়ে গেলি ।"
"ম্যাগাজিনে দে", "পত্রিকায় দিতে পারিস তো লেখাগুলো ।"
-- না, আমি কোনোদিন ম্যাগাজিন বা পত্রিকায় লেখা দেওয়ার কথা ভাবিনি,
আমার লিখতে ভালো লাগে আর ডাইরিতে সেই লেখাগুলো লিখে রাখি, এইটুকুই ব্যস।।
ক্রমশ যতদিন যায়... একটু অহংকারের ভ্রুকুটি দেখা দিতে শুরু করে তখন... তবে বছরখানেক আগে সেটা ভঙ্গ হয়, কিছু বন্ধু-বান্ধবীর লেখা দেখে ।
তাদের লেখার ধরণ, শব্দচয়ন, লাইনের মিল, বিশেষণের তারতম্য...লেখাগুলো পড়ে মুগ্ধ হয়ে যাই, এককথায় অনবদ্য ।।
আমি তাদের কাছে নিতান্তই এক খোকা ।।-
Just you Imagine
সালটা 2022
Cinema Hall খুলে গেছে...
হঠাৎ হাততালির শব্দে পুরো Hall যেন চিৎকার করে উঠছে... দর্শক পাগল হয়ে যাচ্ছে 😯
কারণ, স্ক্রিনে তখন ভিলেন Sonu Sood- এর entry হচ্ছে 😌❤
-
বলেছিলে যে করবে দেখা
আসবে আমার বাড়ি,
পরবে তুমি, আমার দেওয়া
নীল রঙের সেই শাড়ি ।।
বলেছিলে আসবে তুমি
সূর্য ডোবার আগে,
তৈরি ছিলাম সেই পাঞ্জাবীটা পরে
যেটাতে আমায় নাকি দারুণ লাগে ।।
এলে না তো তুমি আর
দুপুর গড়িয়ে হলো রাত,
অযথা নীল শাড়ির খোঁজে
বাড়িয়েছিলাম পাঞ্জাবী পরা দুটো হাত ।।-
জ্বলছে আগুন শ্মশানঘাটে
কবর দিচ্ছে কত !
লাশের বন্যা বয়ছে দেখো
নদীর স্রোতের মতো ।
কত কান্না আসছে ভেসে
যন্ত্রণা নিয়ে বুকে,
ভুগছে দেখো বিশ্ববাসী
কঠিন এই অসুখে ।।-