একটা well ডিসিপ্লিনড্, সিস্টেমেটিক, Obsessive compulsive disorder -গ্রস্ত মানুষ যখন সবাইকে হাসিয়ে, মাতিয়ে, গুছিয়ে একা ঘরে ফিরে দরজাটা লক্ করে ঘরটাকে দ্যাখে আর দ্যাখে আশেপাশে কেউ নেই তখন হয়তো পৃথিবীর কারোর বোঝার ক্ষমতা থাকে না সে কতটা অগোছালো, কতটা একাকী, তারও মনে হয় কেউ একটু পাশে বসুক, কেউ এই ঘেঁটে যাওয়া মাথা আর পরিস্থিতিটায় একটু পাশে বসে গুছিয়ে দিক সবটা,, কারণ তারও মারাত্মক অসহায় লাগে মাঝেমধ্যে...!
-
প্রচলিতভাবে যারা আম... read more
যতগুলো ঢোক গিলে বয়স গড়ালো এই দেশে
সেইখানে হাত রাখতে মহাকালও ডরায়;
তুমি 'মল্লিকাবনে' আতর ঢেলেছো তবুও,
চেয়ে দেখো কেরোসিনে মায়া এভাবেও পুড়ে পুড়ে যায়...!
এই সয়ে যাওয়া, মেনে যাওয়ার সরলরেখা সোজায়
শিরদাঁড়া এক শিশুনবীতে গঙ্গারক্ত ঢালে;
একুশগ্রামের আত্মা উবে গ্যাছে কবেই
মহামারী আগলে বসে আছি চিরকালে।
এই ব্যস আর'কটা দিন, আমার অবসরের তারিখ গোণা,
রাত্রি নামে কালের নিয়মেই কাফন-দাফনে
আমার নামে 'প্রলয়োল্লাস' এক মস্ত কবরখানা...
চোখের সাদা নদীশব মুছে দিয়ে ধোঁয়াতেই সঁপি জীবন,
ঠোঁট পুড়ুক মনের গহীনে আর কিছুক্ষণ, আর কিছুক্ষণ...!-
সারা দিন দিন রোদে পোড়া চেহারা
জ্বলেপুড়ে খাঁক নয় আর;
এত অনাদরে খসে পরা জ্বরায়
আজ ঝরঝর চূড়ান্ত বালিঝড়।
নিভু মোম আলো ছেড়ে
চোখ গেলো রক্তমশালে,
নির্ভিক আর.জি.কর আনুষঙ্গিক
গলা ছেড়েছে দিকপালে।
এই খুবলে খাওয়া দেহে, পিশাচ উগ্রতা দমনে,
''Justice'' এক ছিনিয়ে নেওয়া বিপ্লব
বুক ঠোকে মানুষের গানে গানে...
শব্দ গ্যাছে বন্ধাত্ত কবরখানা ফুঁড়ে,
সব দিদির কান্না ফুল হয়ে ঝরুক
শান্তি বারির অনাবিল জুড়ে জুড়ে...
#justice for R.G.KAR-
'' স্টাইক্স ও বিস্ময় ''
তুমি ছবিতে দাও ফুল, আমি ফুলেতে আঁকি ছবি,
তুমি ঢিম নিয়ন ঘেরাটোপ, আমি মিছিমিছি এক কবি!
তুমি মা'কে মিস করো রোজ, আমি বাবার হাওয়াতে মিশে থাকি,
তুমি নতুন যত্নে জড়িয়ে কাঁদো, আমি আকাশেতে চেয়ে বেনামে ডাকি।
তোমার গলা ভেঙে যায় কান্নায়, আমি হাসিতে মাখামাখি,
কুয়ো ভরে থাকুক ব্যাথাজলে
আমার খালি গলায় বিলাবল গাওয়া বাকি!
তুমি শূন্য চোখে মা'কে খোঁজো কাজের ফাঁকে ফাঁকে
আমি বাবার কাঁধ ধরে গল্পতে বসি,
সন্ধ্যা নামার পরে, স্টাইক্স নদীদরে
পিংক ফ্লয়েড ও জ্বরযাত্রা অভিলাষী।
তুমি গাঙুর জলে মুখ ডুবিয়ে শ্বাসকে নাও গিলে,
তোমার জন্য দু-হাত ভরে ছেলেমানুষী দিলে
তুমিও কি হাঁটবে এবার শূন্য ব্যাথার মিছিলে?
তুমি ইতিহাস গুলে গুলে স্মৃতিকে ফেলো পিছে
কিছু পাশে থাকা সত্যি কিংবা মিছে,
তবুও তো আমাদের বুক ভরে থেকে যেতে হয়
জীবন যেখানে বাঁকছে
এই তো সামলে নেওয়ার সময়।
আমার অপুরা হারিয়েছে পথের পাঁচলি মাঠে
তুমি এক ঝক্কি নিয়ে হাতড়েছো শুধু গানে
আমার মাথায় নেশার ভুত ধ্বসতারা জানে।
আমি তো গেছি থেকে, রংরুটে কবিতা মেখে মেখে।
প্রশ্ন, এই পৃথিবীর মায়ায় মায়ায় মা-বাবারা আছে,
উত্তর, জীবন-জোয়ার তারার- হারায় সাদায়-কালোয়
ছোঁয়াচে যত দাগজল বাঁচে,
তোমাকেও তাই ধাঁধাভরা কন্ঠে কালশোক পেরিয়ে তবে
গুছিয়ে উঠে এক অবিকল তরুণ বিস্ময় হতে হবে...-
যেদিন অনেকটা দূর যাওয়ার কথা,
অনেককিছুই বলার মতোন
অথচ! অথচ বন্দীদশায় কাটছে ক্ষণ
যায় না মাপা কতটা ভারী
ঠিক একলা থাকার নির্বাচন!
সব দূরত্ব হাতের মুঠোয় না,
যাবতীয় বলতে চাওয়া আকাশসমও নয়
অথচ উড়েছে ধোঁয়ায় পোড়া ছাই
পুড়ে যাওয়া হাওয়ায় হারিয়ে ফেলার সমন্বয়।
যখন অনেকটা পথ চলার কথা
আঙুলগুলো ফসকে গেলে আচমকাই
সব চিৎকার হঠকারী হোক, নৌকোডুবি দিলে সায়
সব অভিযান তীরে ঠেকার পরেও
সহনশীলৃমৃত্যু সব মৃত্যু যেন আমারই হয়...!-
পাঞ্চজন্য বেজেছিল, যুদ্ধে নয় প্রেমে,
দরুণ এ শঙ্খনাদ আকাশ যাচ্ছে থেমে!
এসো বন্ধু হও বন্ধুতায়, চোখ বুজে ভরসায়,
দুটি চারাগাছ ফুল গেছে রেখে পুরাতন বর্ষায়।
আলো জ্বলে দূর পাহাড়ে, কাঠগোলা বাড়িতে,
হাত ধরে কেটে গেছে দিন বিপরীতে সারিতে।
আজ অচেনাই তরতর তীরে
ঠেলে মানুষ হাজারের ভীড়ে
জল বদলে যায় আগুনে, চোখের লেলিহানে,
ভালোবাসা ভীরু আছে এখনো সুহানের আজানে।
কুহুতান ভেসে আসে, কথাদিন বসে পাশাপাশি,
বদলে ফেলে ছায়া, তবু হায় ভালোবাসি!-
অনুপান সাজিয়ে বসেছি, মদ্যপানের আসরে মাথা থেকে বেরিয়ে যায় সত্যি-মিথ্যে, দ্রব-ভ্রম, জরা-স্বত্ত-লাজ, তোষণ- নিষ্ক্রমণ! যাহা চিৎকার তাহা মুখের ওপর তিমির লাবণ্য হয়ে আলোড়ন ফেলে না কখনোই, কয়েকটা বছরের কান্না ঝরে ঝরে পরে লুটিয়ে। গা বমি দেয়, চোখ স্বভাবতই ঝাপসা। ভিতরকার অমৃতমায়া মুছে যায় আরেকটু। কাকে কি দিয়ে বোঝানোর ছেলেখেলায় পর্দায় আড়াল হয়ে যায় মানুষের মুখ, আমার দু'হাতের শোক মুঠো করে ধরে নিষ্কাম প্রণয়কে! যাবতীয় ঘৃণা রংরুটে ছুটতে থাকতে আমার জিতে নেওয়ার ঈর্ষার অবিকল। বিকৃত বুকে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায় বালখিল্য, শান্তি, অনুশাসন, অবগুণ্ঠন । কিছু অনিয়ম মাথা চারা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে শেষমেশ খান্ত হয়ে যায়। যে জীবন জড়িয়ে রাখা গৃহের গৃহত্যাগের পর দুঃখের মরানদী পাড়িয়ে চাঁদগানে পর কৃষকের মৃদুজমির আলে এসে দাঁড়িয়ে নতুন সূর্য দেখে, বিপ্লব শেষে মুখ মোছে, জল খায় সে হেরে যায় একথা ঠিক, সে মরে না অতঃপরও...
-
যা কিছু মনে হয় ধুয়েমুছে গেলো
আদৌও কি তার ছাপ শেষমেশ,
যতখানি ভুল দোষ ছিলো বেসামাল বাহুবল বাহানাতে
মুছে কি যায় কখনো সেই পরিপাটি বেশ?
নাকি আরও দায়বদ্ধতার দায়ে ভীরু শোকে
একা ব্যাথা পেয়ে কেঁদে ওঠে মন,
তুমি সেদিনে চৌচির মাথা নিয়ে এসেছিলে তবু
বৃষ্টি ঝরালে বহুদিন বহুমাস বহু বহুক্ষণ...-
ভাবছি যদি ডুব দিয়ে, পারস্য দেশের মেঘ ছিনিয়ে আনি,
আঁকবো তবে এলাচ বনে 'মায়াজীবন' অনেক অনেকখানি...-