ভালোবাসা সমুদ্রের স্রোতের মত
কখন যে প্রবল ভাবে আবেগের সৈকতে আছড়ে পড়ে
আত্ম সংযমের খেয়াকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যাবে
তা কেউ জানে না।
যেমন সমদ্রের জলের কোন রং হয়না
কখনো তা স্বচ্ছ , কখনো বা নীল , কখনও বা দুধের মত সাদা
ভালোবাসার অভিব্যক্তিও কখনো প্রণয় , কখনো অভিমান -
কখনও বা শিশুসুলভ খুনসুটির রঙে পরিস্ফুট হয়ে সামনে আসে
ঠিক যেমন সমুদ্রের বারির একমাত্র পরিচয় তার নোনতা স্বাদ
প্রকৃত ভালোবাসার একমাত্র ধারক ও বাহক হল
নিঃস্বার্থ ত্যাগ এবং বলিদান, যা ব্যাতিত সম্পর্কটা আকর্ষণ বা ভালো লাগা হয়ে থাকে, ভালোবাসা হয়ে উঠতে পারে না।-
Mentor
Writer
Singer
Instagram: debtanubanerjee
Facebook: Dr-Debtanu Banerjee(Dr D T B) read more
তোমার স্পর্শ যেন মেঘ ভেজা বৃষ্টি,
অপরূপ ঈশ্বর তোমার এই সৃষ্টি,
গোধূলি বেলায় মনে পড়ে সেই মুখটা,
প্রথম দেখায় সেই মন জুড়ানো সুখটা।
ডুবে যাওয়া সূর্যের লাল আভা মাঝে,
খুঁজে পাই তোমাকে যে প্রণয়ের সাজে,
মায়াময় পৃথিবী দেখি কত দৃশ্য,
তোমায় ছাড়া এই রাজাও যে নিঃস্ব।।-
যতদূর যাই শুধু কথা মনে পড়ে,
ছোট্ট একটা পরী বসে আছে ঘরে,
বাড়ি ফিরলেই ছুটে আসে রাঙ্গা পায়ে,
তোমার গন্ধ আজও লেগে আছে গায়ে।।
অভিমান করোনা গো ,অপারগ আমি,
কখনো বা বন্ধু,কখনো বা স্বামী,
নানা রূপে ঘোরাফেরা করি আমি প্রায়,
তোমার গন্ধ আজও লেগে আছে গায়ে।।
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা এসেছে যে দ্বারে,
কোন অজুহাতে আজ ফেরাবে গো তারে,
সাগর মাঝারে তরী পাল তুলে ধায়,
তোমার গন্ধ আজও লেগে আছে গায়ে।।
হয় যত ভুল ত্রুটি সবই করি ক্ষমা,
তুমি সেই অপরুপা ,তুমি মনোরমা,
দিশাহীন আকাশে যে পাখি উড়ে যায়,
তোমার গন্ধ আজও লেগে আছে গায়ে।।
-
আমার আশার আলোকের উৎস হে তুমি, রাতের রজনীগন্ধা
পূবের আকাশের ভাস্কর তুমি, শ্রাবণের ভেজা সন্ধ্যা।
তুমি অনন্যা, তুমি অপরূপা,সর্ব গুণের পুঞ্জ,
তোমার সৌরভে মাতিয়ে তুলেছ আমার জীবন কুঞ্জ।।
কত ঝড় এল, কত দিন গেল,হাত ছাড়লে না আজও -
পাতকে পুণ্যে, ভূতলে শূন্যে,করে গেলে সব কাজও।
ওহে মনোরমা, ওহে প্রিয়তমা,কখনো পারোনি বুঝতে,
চাঁদের আলোয় তারার প্রদীপে ঘুরেছি তোমাকে খুঁজতে।
কত কাঁটা ফুটে, কত ক্ষত পেয়ে,পেয়েছি তোমার দেখা,
সে লহু দেখে কি তাড়িয়ে দেবে গো!
করে দেবে আমায় একা?
তাও যদি কর, শুনে রেখো তবে,ফিরে আবার আমি আসব,
যতদিন এই সংসার আছে - তোমাকেই ভালবাসব।
সূর্য কিরণে, ফুলের রেণুতে,তোমায় রাঙিয়ে তুলব,
তোমাতেই যে অস্তিত্ব আমার,তোমাকে কেমন ভুলব?
তবুও যদি না চেন মোরে,কর শুধু অবিচার,
আকাশের পাখি, রাতের জোনাকি -
হয়ে করব অভিসার।
নানা রূপে এসে, নানা বেশ ধরে
জায়গা খুঁজব তোমার মনে,
অগ্নির তেজে, শীতল আমেজে -
দেখি গলবে তা কতক্ষণে?-
জীবনে সম্পর্ক গুলি হল আমের মত,
কাচা অবস্থায় টক হলেও
যত পাকবে তত মিষ্টি হয়ে উঠবে।
আর রাগ অভিমান হল কলার মত
খুব কাঁচা অবস্থায় হজম করা শক্ত
একটু পাকতে না পাকতেই খেয়ে ফেললে -
মিষ্টি ও নরম, হজম করতে সরল,
বেশি দেরি হয়ে গেলে আবার পচে যেতে পারে,
তাই বেশিদিন চাপা অভিমান পুষে না রাখাই শ্রেয়।-
আমরা আয়না দেখতে পছন্দ করি কেন যান?
কারণ সে আমাদের তাই দেখায়
যেটা আমরা বাইরে সকলকে দেখাতে চাই।
যদি সেই আয়না কোনদিন
আমাদের মনোভাব, আমাদের চরিত্র
ফুটিয়ে তোলে সবার চোখের সামনে
সেই দর্পণ ই হয়ে উঠবে আমাদের চক্ষুশূল।-
হালকা রোদের ঝলকা যেন তোমার মুখের হাসি
দেখতে যে তা সত্যি আমি খুবই ভালবাসি।
যতই দেখি, নানা রূপে, তোমায় নতুন বেশে,
জানিনা এ কেমন লাগে তোমার কাছে এসে।
মনের যত গ্লানি থাকে দিনের শেষে জমা,
উজাড় করে দি গো তোমায়, চাই না তবু ক্ষমা।
নিজ গুণে, হাসি মুখে, মিটিয়ে নাও শেষে,
জানিনা এ কেমন লাগে তোমার কাছে এসে।
অনেক সাধই, অধরা যে,রইল তোমার আজও,
করতে তো হয়, ভালো না লাগার অনেক কাজও,
মিষ্টি মুখে, গোমরা ছায়া ছেয়ে যে যায় ক্লেশে -
মনটা ব্যাকুল হয়ে পড়ে তোমার কাছে এসে।
জীবনের এই কঠিন পথে, আমার সাথে চলে,
কি বা পেলে সুখ গো তুমি, দাও গো আমায় বলে।
নানা অভিমান, কিছু অভিসার, কিছু বা স্মৃতির রেশে -
মনটা কেমন জুড়িয়ে যায়, তোমার কাছে এসে।
মনের ভিতর চাপা কত সখ যে দিলে বলি,
হাসি মুখে বললে শুধু, চল না পথ চলি,
কত ঝঞ্ঝা, কত বন্যা, কত যুদ্ধ শেষে
মনটা আমার শান্তি পেল, তোমার কাছে এসে।
কান্না হাসির মঞ্জরীতে আশার কিশলয় -
ফুটিয়ে শেখালে তুমি, জীবন কেমন হয়,
ওগো, দামোদরের ওপার থেকে,আসলে কেন ভেসে?
আসলে বলেই প্রাণ জুড়ালো, তোমার কাছে এসে।।-
যখন ভুরি ভুরি লিখতে গিয়ে
ফুরাত কলমের কালি
তখন ভাবিনি তো দেখে কভু
সবই চোখের বালি।
কচি মনে, রঙিন স্বপনে
নবীন আশার পাল তুলে,
কল্পনার জাহাজে চড়ে
সকল চিন্তা ভুলে,
পাড়ি দিতাম যখন
অজানার সন্ধানে,
দেখিনি তো ভেবে কখনো
কালির কত দাম!
আসল গল্প লিখতে গেলে
লাগে চোখের জল,রক্ত ও ঘাম,
পিছিয়ে পড়তে ভয় পাই না
শত হারেও নেই কো লাজ,
হাজার ক্ষতের পরেও
দেখবে পরনে সেই যুদ্ধের সাজ -
রক্ত দিয়ে তিলক করে,
জয়ের হাসির গাইব গান,
গল্প গুলো রয়েই যাবে,
নাই বা থাকুক দেহে প্রাণ।-
হার স্বীকার করলে কেউ হেরে যায়না
হেরে যায়, সেই হারকে মেনে নিলে
হার থেকে শিক্ষা নিলে
ও মনে জেতার সংকল্প থাকলে
সেই হার পরাজিতের গলায় ফিরে আসে
জয়মাল্য রূপে।।
পৃথিবীতে কেউ বেদনা দিলে
কারোর কাছে সমবেদনা ভিক্ষা কর না
বরং মনকে আরো শক্ত
ও ইচ্ছাশক্তিকে আরো দৃঢ় কর।
যখন খরস্রোতা নদী পাষাণের বুক চিরে
জলপ্রবাহ হয়ে ধেয়ে আসতে পারে ধরিত্রীর বুকে
যখন এক মহাকায় জাহাজকে
মাঝসমুদ্রে হয়রান করতে পারে এক ঝটিকা
তখন কোন পর্বত বা ইস্পাতকেই
এতটা অজেয় ভেবো না,
যাতে নিজের আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায়।
মনে রাখতে হবে, ঝড়কে থামানো সম্ভব নয়
এক ঘূর্ণাবর্তের কেবল মাত্র
দিশা পরিবর্তন করা সম্ভব
নিজের ঊর্যাকে এমন দিকে প্রবাহিত কর
যাতে সেই বায়ু সকলকে স্নিগ্ধতা প্রদান করে
আর সেই জলপ্রপাতে স্নান করে
সবাই নিজের মনকে বিশুদ্ধ করতে পারে।
-
আমার স্বপ্নে দেখা তারা তুমি
সব আঁধারের মাঝে ।
তুমি লুকিয়ে ছিল কোন অজানা
মরীচিকার খাঁজে?
কত গ্রীষ্ম গেল, বর্ষা গেল, গেল কত শীত
দেখা তোমার পাওয়া ছিল স্বপ্নের অতীত ।
কত যুদ্ধ গেল, যুগ পেরাল, দেখলাম কত দৃশ্য
তবু তুমি ছাড়া,সেই হয়ে রইলাম আমি নিঃস্ব ।
কোন লহমায় তীর চালালে, কোন অজানা উদ্যানে
তার আঘাতেই , উঠলাম বেঁচে, আবার মনে প্রাণে।
ভস্মে ঢাকা , রক্তে ভেজা, এই দেহটাই তবে
পছন্দ হল তোমার শেষে, আসলে নীরবে -
জাদুর ছোঁয়ায় কোন মায়াতে সারালে সব ক্ষত
শুধুই অবাক হই গো আমি, তোমায় দেখি যত।
মন থেকে শিশু, তবুও জননী, এমনই তোমার মায়া
স্নিগ্ধ হাসিতে ভরে যায় মন, স্পর্শে জুড়ায় কায়া।
অনেক দুঃখ, অনেক অশ্রু, করছো আলিঙ্গন,
সব জ্বালা মেটাব আমি, এটাই আমার পণ।
যতই যুদ্ধ, যতই ঝঞ্ঝা, আসুক এ জীবনে
তুমি শুধু তুমি, বিরাজ করবে আমার মনে।।-