আজ মিশে যাক নীল রঙে লাল,
তোমার স্বল্প বেগুনি, আমার ওজন স্পর্শ করুক স্তরে স্তরে!
এবার আসুক শীতের সকাল,
বারবার - শ্রাবণ এল যে পথে, অন্তরে অন্তরে!
© দেবদূত 🖋️

-

ছোট্টো উপন্যাস আমাদের,
নদী আর মাঝি....
মিলনের মাঝে ভেসে - কাঠের নৌকা!
সবুজ না শুকনো! দখিনা অন্ধ..
ঝরে যায় নিষ্প্রাণ পাতাদের চোখ!
যখন প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকে,
হারিয়েও ভেসে ওঠে লাশ, পাহাড়ি নদীর বাঁকে!
হঠাৎ নিঝুম রাত্রির নিস্তব্ধতা,
ছুঁয়ে দিলে কেঁপে ওঠে নদী,
দুলে ওঠে কাঠের নৌকা।।— % &

-

সতেরো কি আঠেরো....
সমতল জীবনে, উঁচু-নিচু- নতুন স্বাদ!
স্বপ্ন ভর্তি শীতকাল,
এক চোখ আলো নিয়ে অন্ধের মত অনুভূতি!
অন্ধকারে চোখ লাগে না, তার ভেজা মাটির ঘ্রাণ আসে।
প্রকৃতি নিশ্চুপ হলে, পাহাড়ের স্পন্দন শুনতে পাই....
সেখানে মেঘ বৃষ্টি, সব ব্যক্তিগত।
ভেজা তারে সুর বাঁধতে, তর্জনী মধ্যমা কেঁপে ওঠে বারবার!
বাউল একতারার নিবিড় আলাপ, গেরস্থ জীবনে ধীরে ধীরে ফকিরি সঞ্চার....— % &

-

পুরোটা ঝাপসা , স্পষ্ট কপাল চিরে ওঠা লাল বিস্ময় ❗
শত বন্ধনী মুঠো চেপে বলে, পূর্ণচ্ছেদে থেমে যেতে হয়॥— % &

-

-"ছোট্টু বাবুর গ্লাসটা তোল.."
নিচু হতেই পেপারে ঢাকা মুখের সিগারেটের ছাই ওর কাঁধে..আহ্ঃ....
অতর্কিতে গ্লাসটা ভাঙলো....
পরপর দু-থাপ্পরের শব্দ....

-

# বিদ্রোহী মারা গেছে #

যদি আসা যায়, এসো কালি ভরা অস্ত্রে..
নগ্নতা ভিন্ন ভিন্ন, শুধু নয় বিবস্ত্রে ।
বদল নয় বদলা চাই, স্বাধীনতা নয় রক্ত!
এদেরও মানুষ বলবে কবি? নাকি পুরোপুরি বিভক্ত!
তরুণ ও নিচ্ছে অভিযোজন, কাঠগড়ায় রেখে সমাজ....
জাগ্রত, তবে অন্য পথে- দ্বন্দ্বে পাঁচালী, নামাজ।
টান যদি শুধু নাড়িতেই থাকে! তবে ছিন্ন হয়েও কেন?
শুনেছো তো সেই দুই থেকে শুরু, তবে-এত ভেদাভেদ কেন?
যা হতে গরম হয়েছিল খুন, যে খাতে কলম বিদ্রোহে..
সে তরুণ আজ নেশাতুর হয়ে, ভাঙছে কপাট রাত্তিরে!
স্বাধীন সবুজ শস্য পেতে- লড়াইয়ে যে তিরঙ্গা..
কুসুম দুটি আজও সেই ঘাসে, শুধু পাল্টে গেছে সংজ্ঞা!
বাজি রাখা কিছু পায়রার মত, উড়ছে মানুষ পাল্টি খাচ্ছে!
আংশিক সে স্বাধীনতা, ভর্তুকিতেই আমোদ পাচ্ছে।
বিদ্রোহ কি নেই? আছে- শুধু উদ্দেশ্য বদলে গেছে....
তাই বন্ধ করো উদযাপন, সে বিদ্রোহী মারা গেছে....

-

IIII

-

কিছু ঘুড়ি কেটে গেল, কিছু সুতোর টানে!
কত ভুল আরো বাকি,বাঁচে যারা মাঞ্জা গুনে।
কত গাছ বেড়ে ওঠে, আগাছার আড়ালে....
কিবা আসে যায় তার, গোটা কয় হারালে।
স্বয়ং শতসম, ভাবে যে উন্নত শির!
পাবে কি জীবচক্রে- তকমাটা স্বভোজীর ?
কিছু প্রাণ আজ‌ও উবে গেল, উদ্বায়ীর মত, উদ্বায়ী কারণ।
কিছু ঘুমিয়ে ছিল, কিছু এখনো....
বাকিটা সৃষ্টি হাতে, যোগ আর বিয়োজন..।।

-

এক পেট খিদে, মুখের বিরতি সংক্রমণ.…
থমকে গেছে শহর, হাঁড়িতে জমছে ধুলো..
বাবু - আমার কোলের ছেলেটা অত্তো বোঝেনা..
ওর মায়ের বুকে, রোজ হামা দেয়..
আজ তিন চার দিন কিচ্ছু পায়নি,
ফের কেঁদে কেঁদে শুলো।
ওই শুনতে পাচ্ছো চিৎকার,ছোটো দোকানির বাড়িতে!
লোনের টাকা বাড়ছে সুদে,এদিকে বেরোজগার পরিবার।
অনুদান! থাক বোলোনা দাদা, জানো না তুমি কি তার মানে....
কেউ তো শুধু তুলতে ছবি, দরদী মাসির- মায়ের সাজ!
বাবু- আমরা সব‌ই বুঝি, কোনটা চাল আর কে চালবাজ....
সময় খারাপ সবার হলেও, সুবিধা এখনো বিভাজনে!
আচ্ছা কি হবে বলতে পারেন এসবে..
গৃহবন্দি সমাজ, বাঁচার ইচ্ছে প্রবল,
বাইরে দেখেন মৃত্যু ভয়,ভেতরে যে দুর্ভিক্ষের ছোবল!
আদৌ কি ভয় অনুজীবে, নাকি সমাজ শ্রেষ্ঠ মানবে?
উন্নত জীবের বিকৃত রুচি, বিকৃত তার দৃষ্টি....
আরে তুমি কিসের শ্রেষ্ঠ, কিসের গর্ব তোমার !
যার নিঃশ্বাসে আজো বিষের দূষণ,
খুবলে খাওয়া ধ্বংসাত্মক সৃষ্টি!
দেশের দোষে দশের বিচার, যেথা বিচারপতি ই দোষী....
বলি, অনুজীব কি দেশ বোঝে ভাই!
শুনেছি তো সে চোখ বুজে খায়,
ধ্বংস চেয়েছো, চেয়েছো মারণ..
সৃজনশীল হে উন্নত- সৃষ্টি তো সে তোমারই কারন!
আজকে কেন চিন্তা মিছে! উল্লাস করো জগৎবাসী॥

-

এক বাক্স অনুভূতি ঘেঁটে রোজ, ইতিহাস পাওয়ার রেওয়াজ....
যে অনুরাগে তুমি বৃষ্টি মাখো, ওড়ে নি তার অভিমানে আজো- কাগজের উড়োজাহাজ........

-