তেমন তেমন রাতে যখন ঝড় নামে ধাপে ধাপে। আমি অনুভবে পাই তারে। মেয়ে মানুষের আকাঙ্খার আছে রূপ দুই, সে কথা জানিস কি তুই? কাল বৈশাখীর রাতে দোসর কে নিয়ে সাথে রাত জেগে আবেগ ঢেলে সোহাগ করে সব ভুলে। মনের মধ্যে যে সোহাগ, তার জন্য যায় জীবন যাক! ভালবাসার একই সুর, সমর্পণে ভাসে দুকূল ।
প্রতিবিম্ব হয়ে জেগে থাকে একজোড়া তৃষাতুর চোখের চাওয়া। পাতার কোনায় কোনায় পাওয়া যায় পুরনো হাতের ছোঁয়া। সময় হারিয়ে সময় ভাসে, হলুদ রঙের জমা পরে। মনের মধ্যে নদী বাঁকে, দুকূল ভাসে হঠাৎ করে।
দীর্ঘ সূর্যাস্তের সোনালী আলোর মতোই দূর্লভ। ক্ষনিকের এক শিহরণ দেওয়া অনুভূতি। কিন্তু সে শুধুই অনুভূতি। ভালো লাগা মুহূর্তের বাইরেও আছে আরও অনেক পথ। সেসব কথা কেই বা চায় মনে রাখতে? বাক্সবন্ধী হয়ে থাক সে সব স্মৃতি। আমি সূর্যোদয়ের ভাস্কর্য দেখতে ব্যস্ত ও অভ্যস্ত।
অনেক দিন পর শব্দেরা ফিরে এলো যখন বৃষ্টি ঘণঘোর। আঙুলে আঙ্গুল ঠেকিয়ে লেখা গুলো রঙ ধরেছে আবীরের। উষ্ণতার ছোঁয়ায় বুঝলাম এটাই তবে মাদকতা বসন্তের। বাতাসে বিদ্রোহ ঋতুবদলের আর মনের মধ্যে দগদগে জ্বলছে হারিয়ে যাওয়া কৃষ্ণচূড়ার রাঙা স্মৃতির, তবু পলাশের মতোই বেহায়া এই মন। উপচে পরা আবেগকে ভাসতে দেয় শব্দের ডিঙি নৌকোয়।
ঘরে ফেরার পথটা দূর আকাশের সীমানায় মেঘেদের দেশ হক বা মেটে রাস্তায় এঁকে বেকে চলা কু ঝিকঝিক রেল গাড়িটা। আমার জন্য ঘরে ফেরার পথ মানেই চা বাগানের পাশে পাশে থাকা রাস্তা আর কড়া চায়ের গন্ধ নাকে লাগা। ছোট বেলার স্মৃতির নদীতে পাই দেখা দাড়িয়ে আছে বাবা ধরে ট্রেনের দরজা। এ পথে আছে এক মন ভালো লাগা হওয়া, যতবার ফিরেছি ঠোঁটের কোণে ছুড়ে দিয়েছে এক মুঠো নিষ্পাপ হাসি। শোনো পথ তোমার আমার সম্পর্কের নেই কোনো গল্পঃ গাঁথা। আমরা বড় হলেও আমাদের বয়স বারে না।
গ্রামগঞ্জ বন পাহাড়, এটেল মাটি পুকুর পার। সবুজ ক্ষেত অবুঝ মন, বন্যাগ্রস্ত বনাঞ্চল, সব পেরিয়ে মেটে ঘর ঘরের মধ্যে অন্ধকার। মেটে পথের অন্য পারে প্রগতি ছোটে সাদা রেল গাড়িতে। সমাজ হাটে উলংগ হয়ে দেশ ছুটেছে বুলেট ট্রেনে।