একটা ফাঁকা রেল স্টেশন
একটা ঘুরি তার কাটা
একটা ছেলে সময় খুঁজে ফেরে;
তোমার আমার গল্প যত
লিখতে চেয়েও মন বিবাগী,
একটা মেয়ের কলমে ঘুম করে;
বুকের ভেতর ইতস্তত
বায়না যত ঢাকছে ক্ষত
তোমার চোখে সবই ন্যাকামো।
ভালবাসি বলব ভেবেও
ভুলে গিয়ে পথ হারিয়ে
ইচ্ছে যত গুনছে সুতো,
তোমার মতে সবই বোকামো।-
আমার সাথে হিসেব নিকাষ
লাভ ক্ষতি আর দীর্ঘশ্বাস
গল্পে তোমার ভুলের উপকথা।
আমার ভাষায় রাজকন্যে
কংক্রিট এক অফিস ঘরে
শতজন্ম সাজায় রূপকথা।-
তোমায় দেখবো বলে
শতজন্ম শেষে ফিরে আসি বার বার ,
তোমার দেখবো বলে
মানুষ মুখে তোমায় খুঁজে
ছারখার।
আমার ডিঙি ভাঙা মন
আমার দু চোখে ভাঙ্গন ,
তোমার সাথে আগুন হাতে
বসন্ত এক নামল ছাদে,
তুমি তখন চেনা গন্ধে
ধোঁয়া ওরাও ইতি ছন্দে,
আমায় দেখবে বলে
শতজন্ম শেষে ফিরে এসেছ
তুমিও বার বার।-
আমরা ঠোঁটে ভোরে শব্দ
চেনা গন্ধ,চেনা গলা,চেনা জামার রং
চেনা গান, চেনা গলি, চেনা হাসির রেশ
ইতস্তত, অব্দ।
তোমাকে খুঁজে পাওয়া গেলো না আর।
চাঁদে খুঁজি নিস্পলক স্মৃতির দড়ি;
গাড়ির ভিড়ে রাস্তার মোড়ে ,
ট্রেনের গতিতে ,উড়োজাহাজের ফিরতিতে
তোমাকে খুঁজে পাওয়া গেলো না আর।
আমি হেঁটে যাই,
ছুঁয়ে এক বনপাহারি ঝর্না ,
বুঝে যাই,তুমি আমাতেই ছিলে ,
আজীবন;
আমিও তোমারি,আর কারোর না।
শরীরী অস্তিত্বের দ্বন্দ্ব,
বৃথা মানবজীবন,
বৃথা এক বায়না।
আস্তিনে মোড়া ভালোবাসা তত্ত্বকথা
পৃথিবী জুড়ে সামাজিক স্রোতে ভাষা
আক্ষরিকতার বিরাট অংকের খাতা
তোমার থাক,
ওসব আমার না।
ওসব, আমার না।-
ছেলেটা হঠাৎ করে চলে আসে
একটা জোনাকি ভোর রাতে
জানালা বেয়ে ছুঁয়ে যায়।
ছেলেটা হঠাৎ করে চলে আসে
এক পশলা একাকী বৃষ্টি
চোখের পলকে হারিয়ে যায়।
একদিন ছেলেটা হঠাৎ করেই চলে যাবে
জানালা জোনাকি বৃষ্টি
সব ফেলে রেখে
এখানে পিছুটান রাখা যায়না
এখানে পিছুডাকে কেউ ফেরে না।
-
মেয়েটা ভীষণ বায়না করে,
আজ তোমার সময় চাই,
কাল তুমি কখন ফিরলে?
একটা ফোনও করোনা তুমি,
ভীষণ তুমি জিদ্দি ছেলে।
মেয়েটা ভীষণ বায়না করে,
ভোর রাতে কান্না পেলে
তোমায় যখন জাপ্টে ধরে;
তুমি বুঝি বুঝতে পারো?
সেও জানে বোঝোনা তুমি
তোমার অতো সময় কোথায়!
তবুও
মেয়েটা রোজ বায়না করে ;
ছায়ার মতো ছায়ার সাথে
তোমার কাছেই বায়না করে।-
আমি, দিগন্ত দেখে এক নিমেষে ছুঁয়ে গেলাম হাওয়ার মত;
ঘর পালালে সন্ধ্যা নাম দেরিতে,
ঘুম ভাঙলে ঝাঁপসা কাঁচের তারিখে,
তুমিও আঁকো এলোমেলো জলছবি।
আমি দিগন্ত দেখে এক নিমেষে ছুঁয়ে গেলাম হাওয়ার মত।-
বাক্সবন্দী দুঃখগুলো
ভালো থাকার গল্প বানায় ;
সবুজ হারিয়ে,
নির্বাসিত চারাগাছে
অসুখ বাড়ে শিরদাঁড়ায়।-
চোখটা প্রায় ঘুম কাতুরে,
তোমার ঠান্ডা হাতটা চিবুক ছুঁলো।
আজকাল খুব ঠান্ডা হয় তোমার হাত,
তোমার মনের চেয়েও বেশি বোধহয়;
শুধু চোখ দুটো, ওই চোখ দুটো অন্য কথা বলে,
আমি ঘুমিয়ে যাই
তোমার চোখ দুটো আমাকে এমন শীত রাতেও একা ছাড়েনা,
আমি ঘুমিয়ে যাই
তোমার হাত দুটো আমার শরীর ছুঁয়ে থাকে।-
আমি কোনোদিন বরফ পাহাড়ে সবুজ পর্ণমচি দেখিনি
আমি কোনোদিন শীত পাহাড়ে মেঘে ঢাকা বর্ষা দেখিনি ;
তাই তোমাকে দেখি।-