"ভাঙন "
চারদিন বাদে আবার নিজস্ব গতিতে ফেরার চেষ্টা করলাম । না ফিরে উপায়-ই বা কী ? ভেতরের নিরন্তর ভাঙাগড়াকে বজায় রেখেই নেমে পড়লাম গত এক সপ্তাহ আগে ফিরে পাওয়া অভ্যস্ত রুটিনে । ঘন্টাখানেক আবাসন চত্ত্বরে কখনো হেঁটে কখনো জগিং করে ক্যালরি পোড়ানোর সময় আমফানের ছাপ রেখে যাওয়া খণ্ডচিত্রগুলো যে একটুও দৃষ্টি আকর্ষণ করে নি তা নয় , অজান্তেই গতি শ্লথ হয়েছে , কিন্তু নিজেকে কোনির জায়গায় বসিয়ে অদৃশ্য খিদ্দার গলার আওয়াজ শোনার চেষ্টা করছিলাম .."Fight Koni..."! সত্যি , জীবনে চলার পথে কত ছোট ছোট মুহূর্ত , কত কবিতার লাইন, কত ফিল্মের সংলাপ যে আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে তা হয়ত তাদের সৃষ্টিলগ্নে সৃষ্টিকর্তা নিজেও বুঝতে পারেন না, কিন্তু প্রয়োগ করার সময় আমাদের ধাপে ধাপে মনে হয়... আরে এটা তো আমার জীবনের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে ... এটা তো আমাকে অনুপ্রেরণা দেবার জন্যই কেউ বলে গেছেন, এই কথাগুলো শুধু আমার জন্যই কেউ লিখে গেছেন ....।
জানি , ধ্বসে যাওয়া বাঁধ আবার নতুন করে তৈরি হবে , চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাওয়া ঘরও আবার নতুন রূপে সেজে উঠবে । এমনকি ভেঙে যাওয়া মন , টালমাটাল সম্পর্ক-ও এক সময় ক্ষত শুকিয়ে ফেলে একটা দিশা পাবে । সবই সময়ের লীলা ।
তবুও ভাঙনের আতঙ্ক মনের ভেতরে লেপ্টে থাকে. .. ঘরপোড়া গোরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায় যে !-
কর্মরত এবং স্বনির্ভর ,
বিবাহিতা এবং এক সন্তানের মা
মাটিতে পা রেখে... read more
তবুও বিশ্বাস রেখো ,
এ কালবেলা
কেটে যাবে একদিন ।
( পুরো লেখাটা ক্যাপশনে )-
জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতাকেই ছাপিয়ে গেল কয়েক পলকের মধ্যে.....!!
(পুরো লেখা ক্যাপশনে.. )-
এখন শুধু মন খারাপের পালা , মন কেমনের বিলাসিতা করি না !
চারপাশটা এখন ভীষণ সত্যি হলেও ভীষণ আবছা হয়ে আছে । ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত । বড্ড চেনা রাস্তাটাও কুয়াশার চাদরে মোড়া এখন , পরিষ্কার কিছুই দেখা যাচ্ছে না । কোথাও যেন রাস্তাটা ভাঙাচোরা ছিল , কোথাও বা বাঁক । কিন্তু এখন যতদূর চোখ যায় সবই অস্পষ্ট ! এই অস্পষ্টতার মাঝে পথ চলতে চলতেও কিছু ঘটনা কিছু মুহূর্ত যেন সারাজীবনের জন্য ভীষণ স্পষ্ট হয়ে মনের মাঝে গেঁথে থাকবে । পরিযায়ীদের অনন্ত পথ হাঁটার দৃশ্য , যেমন অন্তহীন কাহিনীর মত দুর্ঘটনায় তাদের অন্তহীন মৃত্যুর ঘটনা , মহারাষ্ট্রের রেললাইনের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুটিকতক রুটি , কোনো এক পরিযায়ীর চলন্ত ট্রলি ব্যাগের উপর ঘুমন্ত শিশু , বন্ধু ইয়াকুবের কোলে মাথা রেখে প্রিয় বন্ধু অমৃতের পরম নিশ্চিন্তের চিরঘুম ... এরকম কিছু দৃশ্য কিন্তু মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয় । আচ্ছা , এসব কি শুধু একেকটা মুহূর্ত ? নাকি আমাদের চুয়াত্তর বছরের স্বাধীন দেশের চূড়ান্ত ব্যর্থতার ছবি ?-
কত আর ফিল্ম দেখে কিংবা গল্পের বই পড়ে নিজেকে আটকে রাখা যায় ? দুঃশ্চিন্তাগুলো ধীরে ধীরে কখন যে এসে মনটাকে ভারাক্রান্ত করে তোলে নিজেই টের পাই না । নাইনথ ফ্লোরের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখতে পাওয়া আবাসনের একাকী মাঠ আর জনশূন্য সুইমিং পুল কিংবা বেডরুমের জানালা দিয়ে একফালি সবুজ দেখা , মাঝে মাঝে ভেসে আসা মালগাড়ির হুইসেল আর সপ্তাহান্তে মেয়েকে নিয়ে আবাসন চত্ত্বরে মুখে মাস্ক পড়া অবস্থায় দু'চক্কর কাটা ... এটাই এখন বহির্বিশ্ব আমার । এটাই পৃথিবী আমার ।
কেউ কোনোদিন ভাবিই নি , বাতাসে সতেজ অক্সিজেনের যোগান অব্যাহত থাকা সত্বেও আমাদের জীবন থেকে ধীরে ধীরে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাবে , কোকিলের গান এত প্রাণহীন লাগবে , বাতাসের দোলা মনে নতুন কোন ঢেউ তুলবে না ! খুব প্রাণভরে মাটির সোঁদা গন্ধ নিতে চাইছি, অথচ মাটি যেন দূরে দূরে সরে যাচ্ছে ...!
পৃথিবী কি অভিমানে আজ মুখ ফিরিয়ে রেখেছে ? নাকি এতবছর ধরে করে আসা অত্যাচারের প্রতিশোধ নিচ্ছে পৃথিবী ?-
কথারা ভিড় করে
নীরব আলফাজে ,
একাকী প্রেমিকা গুমরে মরে
অভিমানী রাতের আঁধারে ।
মেয়েটির অন্ধকার ভীতির কথা
অজানা ছিল না প্রিয় পুরুষের ,
তবুও আজ দূরত্ব যেন
অগণিত আলোকবর্ষের !
ফল্গুধারা বয়ে চলে দু'চোখে
অভিমানী ঠোঁট তবুও কুলুপ এঁটে ,
ভিড় করা নীরব শব্দগুচ্ছ
আজ শুধু দূরত্বই মাপতে জানে !-
নিজের মত করেই ;
মানুষ বেঁচে থাকে
অভিযোজনের নিয়মেই ...
(পুরো লেখা ক্যাপশনে )-
অচেনা মানুষটা একদিন
হয়ে যায় সবচেয়ে চেনা ,
ধীরে ধীরে হৃদয় ছুঁয়ে
বেঁধে নেয় মনে আস্তানা ।
ভালোলাগার মুহূর্তে
ভালোবাসাবাসিতে
ছোট ছোট ইচ্ছেতে
এক ছটাক স্বপ্নে
সবটাতে শুধু সে ।
প্রাণখোলা হাসিতে
আনমনা সুরেতে
অভিমানী দু'চোখে
মন কষাকষিতে
প্রতি মুহূর্তেই সে ।
একদিন সেই চিরচেনা প্রিয়জন
কেমন যেন হয়ে যায় অন্যজন ,
মুহূর্তগুলিকে সব থমকে দিয়ে
হারিয়ে যায় আবার অচেনার ভিড়ে !-
there will be lots of changes ,
for sure ,
but people will gradually adapt with the changes since 'Change is the law of life' as said by JF Kennedy !-