চারপাশে বহুল জনস্রোত, ঘূর্ণায়মান যেন কোনো নির্জীব অন্ধকার।
ভেসে আসে অব্যবহৃত কিছু কান্নাগোলের শব্দ।
এ ওর দেহ পিষে কেবলই এগিয়ে যাওয়ার অদম্য প্রয়াস।
দুধের শিশুর আর্তনাদ,
হ্যাঁ কানে আসে,
তবে লালসা ক্যামেরাবন্দী সহানুভূতির।
প্রমান রাখাটা বড্ড যে জরুরি।
তখনও হৈ চৈ পড়ে মনুষ্যত্ব বিকিয়ে দরদ কেনার।
পরিচয়টা হারিয়ে ফেলার আগেই,
ভেসে আসে দানবরুপী মানুষগুলোর আবছা মুখ।
-
অবেলায় ধরা পড়া ভালোবাসা, সময় অতি অল্প।
নতুন হলেও পুরনোর ধাঁচে শুরু অন্য গল্প।
জানি আবারও হবে নীলচে আকাশে কালোর ঘনঘটা,
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হাতটা হারিয়ে চলবে একলা পথে হাঁটা।
দিন দিন বৃদ্ধি কেবল মনের ছোঁয়াচে রোগ ,
ভাবনা আঁকি মনের পাতায়,
বেহায়া অভ্যাসগুলোর বড় পুরনো এই ঝোঁক।
পাতি কিছু ভালোলাগার আটকে থাকা দাগ,
সুখগুলো নিয়ে গেলেও, মনখারাপে আমারই ভাগ।।
-
কিছু সংলাপ সেদিন শেষের আগেই ভাষা হারিয়েছিলো,
ভাবনারা মাথা তুলে দাঁড়ানোর আগেই লুটিয়ে পড়েছিলো পায়ে।
অনেক না পাওয়া আকাঙ্খা তাই আজও কফিনবন্দী,
ধুলো জমা স্বপ্নগুলো শক্তিহীন, দুর্বলতার চাপে।
গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা নেহাতই নাটকের বাড়াবাড়ি।
তবু শেষ নেই দাবেদারির,
চোখ, দাঁত বের করে তেড়ে আসে সেই না বলা কথাগুলো।
ধুয়ে মুছে যায় আলতোভাবে লেপটে থাকা বেঁচে থাকারা।
আর লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে নিজেই নিজের পরিচয় দিই
যান্ত্রিক মেমেন্টো।-
তাড়িত আবেগ
ভালোথাকার বিকল্প!
ইচ্ছেরা তখন অসহায়,
আশারা পূর্ণতা পায়
কল্পনায়।-
বিবর্ণ সব ইচ্ছেগুলো,
দাবি জানায় আনন্দমের।
হয়ত এবার আসবে আলো,
হবে অন্ধকারের হেরফের।-
তবু বিদ্বেষ,
মনুষ্যত্বরা পাতায়।
দৃষ্টিরাও মিথ্যুক আজ
সরলতারা কোথায়?
-
পাশাপাশি বসে থাকা কিছুটা সময়,
চোখে, মুখে ধূসর ধুলোর আযাচিত ছাপ।
ট্রেনের হুইসেল ছাড়িয়ে যায় স্বীয় হৃদস্পন্দন,
চুড়ান্ত ব্যস্ততা ঠেলে একা আমরা আমাদের শহরে।
হাজারো ভীড়ের মাঝে সেই ভ্রুক্ষেপহীন পলক।।
ভার্চুয়ালের শহর ছেড়ে, কলেবর জুড়ে কেবল ভালোবাসার দাগ।
সহস্র শব্দেরা নিয়েছে মিয়েন্ডারের রুপ।
না জানানো কথারা উঁকি দেয় ঠোঁটের কোণায়!
ওরা লিখে দিতে চায় তার বুকে আমার প্রতীকী,
তবু হায়, নির্বোধ মন রেখে যায় কেবলই ভালোবাসার টিপসই।
-
হয়তো পুজোর হপ্তা আগে,
সবাই মিলে বিকেলজুড়ে,
হল্লা করে বাড়িশুদ্ধ!
Guardian ক্যাশ হাতে,চেঁচিয়ে দোকান মাথায় করে,
মনের মতন পোষাক পেতে।
-