বন্ধু তোমায় দিলুম না আজ ছুটি
মন খারাপের কাব্য লিখছি তাই ৷
ভুলতে চাওয়া দিনের কবর খুঁড়তে আজ
চাই, শুধু তোমাকেই চাই ৷৷-
- "আরে পাগলা! মায়ের আবার 'স্পেশাল' দিন হয় নাকি? রোজই তো Mother's Day!"
- "হ্যাঁ রে, হয়। যখন সকালে উঠে ঘুম ঘুম চোখে দেখি- মা স্নান করে, নতুন শাড়ি পরে, কপালে এক চিলতে সিঁদুর লাগিয়ে, বাড়ির রবি ঠাকুরের ফটোফ্রেম টাতে রজনী ফুলের মালা দিয়ে হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসে "মহারাজ একি সাজে এলে হৃদয়পুর মাঝে.."।
সেদিন কি আর শুধু রোজকার মত 'মায়ের দিন' রইল? 'মহারাজ'-এর দিনের সাথে মিলে মিশে একাকার হল না কি!!"
-
নির্জন রাত, কানে হেডফোন, একলা ছাদ, মেঘের সারি;
এলোমেলো হওয়া, ঘুম ঘুম চোখ, মিটি মিটি তারা, চাঁদের বাড়ি।-
"কী রে, আর কত পড়বি একা একা! চল নীচে, ক্যান্টিন থেকে একটা চা খেয়ে আসি।"
আচমকা ডাক শুনে পেছন ফিরে দেখি রক্তিম।
"আরে, তেমন কিছু পড়ছি না রে! কিন্তু, এতো রাত্রি তে আবার চা খেতে নামবি!"
"চল্ চল্, বেশি হ্যাজাস্ না। বেরো জলদি।"
মুখটা ঘুরিয়ে বিছানা থেকে নামতে গিয়ে দরজার লক্ টার দিকে চোখ পড়তেই বুকের ভেতরটা মনে হল মোচড় দিয়ে উঠল।
দরজাটা..দরজাটা ভেতর থেকে লক করা! আর ওদিকে রক্তিমের দিকে তাকিয়ে দেখি ব্যাটা নির্লজ্জের মতো দাঁত বের করে হাসছে। কিন্তু..ওর ক্যানাইনগুলো কেমন যেন একটু বেশি বড় আর সূচালো লাগছে না!!...
-
//মুক্তি //
মনে-প্রাণে লালিত স্বপ্নগুলো ওদেরও সত্যি হয়নি;
যখন ভেবেছিল ওরা, মুক্ত প্রকৃতির কোলে,
খেলবে, ছুটবে আর মনের আনন্দে লাফালাফি করবে।
নিষ্ঠুর তুমি কি সেদিন 'জানোয়ার' বলে ওদের খাঁচায় বন্দি করোনি?
তোমার শিশুরা যখন ওদেরকে খাঁচার উল্টোদিকে দেখে
এক টুকরো খাবার ছুঁড়ে হাসিতে আর হাততালিতে লুটোপুটি খেত,
আর তুমি বড় বিজ্ঞের মত ইংরেজিতে ওদের নাম আউড়ে যেতে।
তখন কি দেখেছিলে রক্তের ধারা ওই অবলা জীবগুলোর কান্নায় ফাটা চোখে!
আজ কি প্রকৃতিই খেলা ঘুরিয়েছে? নাকি এর পেছনেও তোমারই লোভ?
নারকীয় যন্ত্রণা ভোগ করছো তাই ওই 'জানোয়ার' গুলোর মত।
বন্দিদশা আর বিষম ক্ষুধার জ্বালা সয়ে যাওয়ার পরেও
থাকবে কি বেঁচে, তুমি আর তোমার তীব্র ক্ষোভ?
-
মাঝে মাঝে সম্পর্কগুলো এতটুকুই ভালো-
একটু দেখা, একটু কথা আর একটু বেশি বার্তা-প্রেরণ।
নিবিড় নিকষ কালো স্বার্থপর সমাজের বুক চিরে
একটু ভালোবাসা আর অসীম আবেগের এক ফুলকি আলো।।-
এখন গরীব আছি, তাই 'Chicken Biryani' খাই..
যখন বড়লোক হবো তখন 'deliciously cooked flavorful saffron rice loaded with spicy marinated chicken and caramelised onions' খাবো!!-
ছায়া করে রাখতে চাইনা তোকে
মোর জীবনের আলো যে তুই,
জীবনের যতো জটিল আঁধার রাতে
রাঙিয়ে দিবি মোর আদরের ভুঁই।-
যতবারই ভাবতে থাকি নতুন কোনো গান
মনে শুধু আসে তোমারই সুর - তান।
এ যেনো গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজাই সার;
তোমার কথাতেই বিলীন হই বার বার।।
-
অন্য দিনগুলোর তুলনায় একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা হল আজ। বাইরে বেশ ভিড় ও জমেছে। তারের বেড়ার ওপারে একটা বাচ্চা মায়ের হাত ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। Monocular vision এর জন্য depth টা বোঝা যায় না। তাই কতটা দূরে রয়েছে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। রোজকার মত তারের বাক্সের ভেতরে একটা হাত ঢুকছে আর একজন কে তুলে নিচ্ছে। যে যায় সে তো আর ফেরে না।
"ম্যাডাম, কত লাগবে??"
"মা, আজ তো পিসিমণিরা এসেছে। একটু তো বেশি ই লাগবে", বলল ছেলেটি।
"কত করে দিচ্ছো আজ?" ম্যাডাম জিজ্ঞেস করলো।
হঠাৎ যমদূতের হাতটি তারের জাল এর এপারে এলো। ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ কে টেক্কা দিতে পারলো না গোঁঙানিটা। কারণ গলাটা বজ্রমুষ্টিতে আবদ্ধ যে। বাইরে বেরোলো স্থূলকায় চেহারাটা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। লাল তাজা রক্তটা ফিনকি দিয়ে সাদা পালক গুলো ভিজিয়ে দিলো।-