scars or signs of red foot, I have not known
Veil was trampled
Sound of lamenting was coming near
Went up to the staircase
Loss of blood for someone
Lots of blood blurred my vision 💔

-

বিকেল সাড়ে চারটে, নন্দিনী অপেক্ষা করে আছে অনন্তের জন্য, ছাদময় পায়চারি করছে আর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছে।
এক ঘন্টা পার হল, ঘড়িতে তখন পৌনে ছয়' টা
বাড়ির নিচ থেকে হঠাৎ একটা সাইকেলের বেল!
নন্দিনী ছাদের পাঁচিলের ধারে গিয়ে দেখলো, কিন্তু আলো আঁধারিতে অত কিছু টের পেলো না
ছুটে গিয়ে নিচে গিয়ে দেখে লাল পাঞ্জাবী সাদা ধুতি পরনে, এক গুচ্ছ গোলাপি গোলাপ সঙ্গে অবশ্য নন্দিনীর পছন্দের জুঁই ফুলও আছে, অনন্ত হাজির।
শাড়ির কুঁচিটা ততক্ষণে এলোমেলো হয়ে গেছে , তবে মুচকি এক হাসি হেসে নন্দিনী বলে, আমার লাইফ এ disciplined টা কিন্তু সবার আগে, থিয়েটার করি তো, এইটা খুব দরকার!

অনন্ত তখন বলে, আকাশের ভাব দেখেছিস?
এই বৃষ্টিস্নাত বিকেলবেলায় জ্ঞান চর্চাটা না হয় সাহিত্য চর্চা আর চায়ের চুমুক দিয়ে শুরু হোক!

সূর্য ডুবতে আর বেশি দেরি নেই, 'শেষের কবিতা' খুলে বসে ওরা আর একে অপরের দিকে চোখ থাকে ওদের , পাশের এক বাড়িতে গানের চর্চায় কোনো এক মহিলা কন্ঠে ভেসে আসে, "ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে?"

-

কোনো এক চেনা গলিতে অচেনা মানুষের ভিড়ে দেখা মেলে এক অচেনা মানুষের,
কিন্তু ফিরে আসে বছর কয়েক আগের সেই চেনা অনুভূতি, চেনা সেই অমলিন স্মৃতি।
সেই স্মৃতিতে ধরে গেছে খানিক মরচে, কিন্তু সেই ফিরে আসা চেনা অনুভূতি কয়েক সেকেন্ডের জন্য হলেও মরচে টুকু সরিয়ে দেয়।
আবার ভিড় ঠেলে, ফেরিওয়ালার হাঁকে এক মুহূর্তের সেই স্মিত হাসি মিলিয়ে যায়।
আরো কেটে যায় কয়েক বছর, এবার হয়তো অন্য কোনো গলি, অন্য ঠিকানায় আবার দেখা মেলে সেই অচেনা মানুষের, সঙ্গে সেই চেনা মানুষেরও কিন্তু অনুভূতির অদল বদলে হৃদয়পুষ্প প্রস্ফুটিত হবার আগেই নুইয়ে পড়ে।

-

সকালের পরিষ্কার আকাশ যখন দেখি নিস্তব্ধ রাতের ঘুম ভাঙার পর, মনে হয় একটা দিন চলে এলো আবার।
মুখে হাসি ফোটে, মনে মনে বলি "Thank you, ঠাকুর"
কিন্তু আবার সেই দিনে প্রতিটা মুহূর্তে যুদ্ধজয়ের কাহিনী কে অস্ত্র করি নতুন লড়াই লড়তে
জীবনে পাওয়া প্রতিটি দিনই তো এক নতুন যুদ্ধের ময়দানে নামা তাই না?
সেই যুদ্ধের পরিণতির না আছে কোনো ঠিকানা আমাদের কাছে, না একই প্রক্রিয়ায় যুদ্ধ লড়ে যেতে হবে কিনা তা আছে জানা।
একটা সময় পর, এই যুদ্ধ জয়ের কাহিনী ও আর অনুপ্রেরণা জোগায় না বলুন?
অন্তত আমার ক্ষেত্রে তো নয়।
তবুও দিন পেরোতে হবে, জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, একবার একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে নিজেই ঠেলে সাহস দিতে হবে, "The show must go on", তুমিই পারবে!

-

Some stuffs are to be rejected
Things which suck the soul
Make trash the purest stuff of soul
That is in so inside
Can't even touch, can't even remember as much
But it wriggles, it destroys a lot, I'm bleeding a lot
But smile is there in the face, steps are there as cadence of life
But no drop exists, not even a single drop of true living exists.
Can't even run because soul knows life has to be carried on, has to go 'before I sleep'.

-

স্বার্থ

আমি স্বার্থপর! হ্যাঁ আমি, স্বার্থপর
একজনের নাম বলো যে স্বার্থপর নয়!
নিজের কথা ভেবে নিজের মানুষকে ঠিক রাখা, নিজের ছোট্ট জগতকে ভালোবাসা, হ্যাঁ এটাই স্বার্থপরতা।
স্বার্থ অর্থাৎ নিজেকে জানার অর্থ, তাতে কি আছে দোষ?
অন্যের ক্ষতি তো আর করছেনা যা করে নিজের আখের গোছানোর গল্প শুনি , এটা স্বার্থপরতা নয়, হীনমন্যতা এটা।
স্বার্থপর তো আমরা সবাই তাই না? নিজের কথা ভাবাই স্বার্থপরতা
কেই বা অন্যের কথা ভেবে নিজের মত করে এই পৃথিবী কে গোছানোর মহৎ কাজ করেছে ঈশ্বর ছাড়া?
সবাই আমরা স্বার্থপর আর এতে কোনো অপরাধ নেই, তাই নয় কি?

-

ফাল্গুনের আগুনে বিধ্বস্ত চিন্তা গেছে আজ চলে
মরা পাতাগুলো আজ কার্নিশের কাছে জমে আছে
বৃষ্টি চাই! এক অসময়ের বৃষ্টি!
যা আমার অন্তরের মলিন কোণা অবধি ধুয়ে দেবে শুদ্ধতার অঙ্গন তৈরি হবে মনের গভীর কোণায়
ভালোবাসা আসবে কিনা অজানা,
খালি থাক হৃদয়, অশুদ্ধতার ধুলো জমার থেকে।
সবকিছু শুভ হোক! সবকিছু শুভ হোক!
এই আমার প্রার্থনা।।।

-

স্মরণে থাকুক রামকিঙ্কর বেইজ বা নন্দলাল বোসের সেই পাথুরে শিল্প
বসন্তের কোলে মাথায় খোপায় থাকুক পলাশ বা কাগজ ফুলের মালা, সবাই মিলে একসাথে গেয়ে উঠি চলুন "ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে "

-

আমার শান্তিনিকেতন

স্বপ্নের শহর থুড়ি এটা তো একটা গ্রাম
আমার শান্তির জায়গা, শান্তিনিকেতন।
ছোট্ট একটি গ্রাম কিন্তু বিশ্বের সুন্দর সৃষ্টির ইতিহাস জড়িয়ে আছে, প্রতিটি গাছের পাতার ফাঁকের ঝিলিক দেওয়া রোদে কিংবা রাঙা মাটির ধুলোয়
সে বিশ্বকবিই হোক কিংবা রকমারি রসে ভরা শিল্পের সম্ভার আর শিল্পীদের অমর সৃষ্টির কথা...
সেই নোবেল চুরির ঘর সাক্ষী হল সবথেকে ভাগ্যবান চোরের
ছাতিম গাছটিও মন ভরে ছায়া দিলো মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথকে
সেই গাছের ছায়ায় আজ কত শিক্ষার সম্ভার, কত সাক্ষরতার সাক্ষী
বিকেলের পড়ন্ত রোদে কোপাই নদীর পাড় সাক্ষী রাখে কত গোধূলি আলাপের!
ফুচকা স্টলে এসে হয়তো কত অনুযোগ মিটে গেছে
ঠান্ডা বাতাসে ভেসে আসা কোকিলের মিষ্টি ডাকে, আড় চোখও একদৃষ্টিতে থেমে গেছে
"হাট বসেছে শুক্রবারে " সহজ পাঠের সেই লাইনটি মনে পড়ে যায় সোনাঝুড়ি কিংবা খোয়াই হাটের পসরা দেখে,
সোনালী না হোক চড়া রোদে সাঁওতালি তালে ঘুঙুর দোলে সিক্ত শরীরে আনন্দ মেখে।
বসন্তের বাতাস এসে হাজার হাজার মানুষের কানে উচ্ছ্বাসের বাণী বলে যায়, তৃপ্তির সুধা ঢেলে দেয় চোখে সৃজনী শিল্পগ্রামের শিল্পীদের সৃজনের মাধ্যমে।
আমি সেই শিল্পের অমরত্বের অমৃত পান করতে চাই, চলে যেতে চায় আমার আবেগী মন সেই আখড়ার বাউল ঘর সঙ্গত দিতে কিংবা রবি ঠাকুরের সেই কবিতার ঘরে রাখা কবিতার খাতার শেষ পাতায় কিংবা ঘুঙুরের তালে মাদকতা চায় এই অস্থিরচিত্ত।

-

কাগজের নৌকোর পাপড়ি গুলো,
বর্ষার জলে দুমড়ে - মুচড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে
তবু বর্ষার টুপটাপ শব্দ যখন মাটিতে মিশে
সবুজের সতেজতা আরোও বাড়িয়ে দিয়েছে সোঁদা মাটির গন্ধের ছন্দে
ভেজা চোখেও ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসির স্নিগ্ধতা লেগে থাকে।
কি জানি? ছোট্ট বেলার সেই নৌকো ভাসানোর দিন এখন মনের আঙিনায় সুপ্ত ভাবে থাকলেও, প্রকৃতির এই অদ্ভূত লীলাখেলায় সমস্ত অভিযোগ, অনুযোগ হয়ে
মনের গভীরে 'ছাড়তে না চাওয়ার' এক অনুভূতি রেখে যায়।

-