জমানো কিছু চোখের জলে
দেখি, ভিজে গেছে,
ভীষণ অবহেলায়.
সে,কার ,নিজস্বী...!
অপেক্ষার মুহূর্ত ছোঁয়া..
দিনগুলো, জানত
মাঝরাতে, না-বলা কথার..শিহরণ!
...ঠিক, কাকে বলে...!
এখন, বাসস্টপে...ভিড়,
এমনকি, স্বপ্নের ছদ্মবেশে,
আশেপাশে তার,শুধুই..কথা...!
ক্লান্তিকর অভ্যাসে,
...শুভ সকাল!..বলা!
আমার কিছু নির্জনতা...দরকার ছিল..
ধূলোর মধ্যে...
আলোর গভীরে..
নিঃশব্দের, ভেতর,
...আমাকেই !...ফিরে পাবার জন্য...
-
মনের কোণে মেলানকলি ,যদি,চুপচাপ
ঝরে পড়ে...
দেখি, কলেজ স্ট্রিটে,রাস্তার
বাঁকের মুখ,অথবা লালদিঘি..
আন্তরিকভাবে,তোমাকেই খোঁজে!..
মনে হয়..
নন্দনে,এখন চলছে ,বিষাদ.উৎসব!
সামান্যতার ভেতরে,
আরো বেশি কিছু!
ছায়াছবির মত জীবন্ত আগ্রহ নিয়ে
জীবন খানিকটা, এগোয়...
বাকিটুকু, না-বলা কথার
তেতো কষ্ট..
মুহূর্তগুলোও অচেনা গলির মতো।
অন্ধকারের গন্ধ, বুকের মধ্যে
চেপে ধরে..
আবছায়ার বিস্বাদ,নিতে নিতে
তোমাকে ভাবার বেখেয়াল মনে
দিনগুলো সব গুমোট...
তুমি নেই!..তাই..তো
চুলে, বিনুনির মসৃণ বাঁকও,
অসহ্য লাগে..
চোখে, কাজলও রাখি না, এখন!
তবু,তোমার মায়ায় আজো
বন্ধ চোখও, মুগ্ধ!..
.....মুগ্ধ, নিঃসঙ্গ এই.একাকীত্ব...
চৈতালী ধর
-
তুই ছুঁয়ে বসে আছিস..
বিশুদ্ধ বিষাদ...বাকিটা
অপার্থিব ভঙ্গির, নিশ্চুপ কিছু শব্দের কাছাকাছি...
তোর মগ্নতা...
প্রাক্তন অবসাদের স্মৃতি নিয়ে, বিহ্বল!
স্থির ছবির ...কোন চরিত্র, তুই!
হয়ত,না-চেনা ছোট গল্পের
শেষ না-হওয়া অস্বস্তি, যেন!
অথবা, বিমূর্ত স্বপ্নগুলোর
বারবার আসা-যাওয়া...!
যেখানে, আকাশ ছোঁয়া নক্ষত্রের দূরত্ব
তুচ্ছ করা...কোন টুকরো ভালোবাসার স্পন্দন,
খুঁজে ফিরিস....একা একা....
-
নিশ্চুপ থাকার মুহুর্ত,..
না-বলা কথার, কষ্ট, সান্ত্বনার মতো, চোখের কোণে,
বুকের ভেতরে কোথাও,হোমের আগুন!
জ্বালে...
সহজে,বলা গেল না,যখন,..কিছুই..
তীব্রতর হল, বলতে না পারার, মসৃণ হাহাকার..
আর,নান্দনিক!..হল বিরহ!
হিসেব করে...রেখেছি, ছেঁড়া-মনে..
যত্নে , বরফের ঘরে...
আমার বিবাগী উদাসীন আবেগ..
এক শেষ না-হওয়া অসম্পূর্ণ ছোটগল্প,
....যাকে, শোনার জন্য, কেউ ছিল না,
নীরব এই থেকে যাওয়া..
অন্যমনের গল্পকথা...হয়ত বদলে গিয়ে..
ভেতর কণিকায়...কবিতা!..তারই নাম।
মনের বাসায়..
সারা ক্যানভাসের বিষয়বস্তু, তখন, ভালোবাসা..
....সময়ের অসামান্য নখের দর্পণে..চেয়ে..
আমি মুগ্ধ থাকি,দারুণ !এই বৈভবের ক্ষণ
হাতের তালুতে, নিয়ে..
....যদি, ভালোবাসা এসে কবিতায়
অভিমানের পাশে বসে..
....আমার চুপ করে থাকার..শূণ্যতা..
....সহজভাবে ভাঙে...
.
চৈতালী ধর
-
রোমে-রোমে উষ্ণতা.. ছিল।
যেন,উলের মতো,তার ওম...
তবু,ভুল কাঁটায়, সম্পর্ক বুনেছিলাম..
কাঁটা তো, কাঁটাই,হয়...!
সেখানেই ,হয়ত, যত অবসাদ,
ছিদ্র দিয়ে,শীত ঢোকে....
ভেতরে, জড়ানো, নিছক
কিছু মায়ার...অবশিষ্ট।
যত্ন করে, সাজানো অভ্যাস।
তবু,একাকীত্বের সহবাস
রোজ সন্ধ্যায়,নিয়মিত!
খুব ভিড়ে, নির্জন অরণ্যের ডাক!
..দেখি ! সব স্পর্শই...কী
ছুঁতে.পারে?...., এই মন!...
কত মিথ্যে নিজস্বীর মুখোমুখি
এ ভুলের ধারাবাহিকতা...!
অনুভূতির ক্ষত, চুঁয়ে চুঁয়ে
গোপনে রক্তে,কীভাবে যেন
নোনা স্বাদ মিশে যায়,
চোখের জলের মতো...
স্বপ্নে,দেখি,...
কিছু পাগলঝোরা প্রশ্নচিহ্ন
আমাকে, খুঁজছে,
আর আমি...যেন,
বোবার মতো....!-
এমন মেঘলা শোকে,
আমার হল না..বলা!, সে-কথা..
ছায়ার মত ঘনিয়ে আসা
বিষাদের কানায় কানায় তোলপাড়
স্বপ্ন-কল্প-বাস্তবের দোটানা,
দিশেহারা..অনুভব,ছন্নছাড়া
ওড়নার লাজ লজ্জ্বা, বিকল!
এখন তুমি ছাড়া,কলেজ স্ট্রিট..,
এবং, বুকের ভেতর..
সবই জল,থইথই!
আমার হল না.. বলা..
তবে,মিথ্যেই,! আকাশ...
সাজিয়েছে,এমন বিরহ-উৎসব!
আমার হল না..বলা..
সেই গোপন প্রেমের, অন্তরাল ছুঁয়েছে,
নিষেধ না মানা!..এক দিগন্ত
শুধু ঘনঘোর!..মন-খারাপ!..
আমার হল না বলা, সে কথা!
এ মেঘলা শোকের..
ঠিক যথাযথ বিহ্বলতার গভীরে
এক আদুরে,আঁধো-আলোর
বিমূর্ত ছবিতে বসে, থাকি...
মুঠোভর্তি অভিমান,নিয়ে..
...যেখানে,তোমার সাদা পাঞ্জাবী
আমার চোখের জলে ভিজে গেলে
এ শোকের বিরহ হয়তো, তখনই
মধুর হয়!..তোমার কন্থলগ্না...কোন,মুহূর্তে...
-
মন কেমনের অভিসারবেলায়...
বোধহয় চাইনি,।...তোমায়!
তবু,মনে, নীপবনের আলোছায়া!
বিরহব্যথার গায়ে,তোমার দাগ!
তোমাকে চাইনি আমি,
সহজ পরিভাষার..অক্ষরে!
কিছু শব্দের হৃদয় থেকে,
খুঁজি,ফিরে ফিরে ডাকার!তীব্রতা!
নির্ঘুম রাতে,নক্ষত্র যেভাবে অন্ধকার ছুঁয়ে থাকে,
যেভাবে,চাঁদের আলোর লজ্জ্বা,
মেঘ তার বুকে ঢেকে রাখে,
ঠিক তেমন,কোন বিমূর্ত-মুহূর্ত,
তোমাকে ফেরানোর ডাক..
আমার হাতের মুঠোয়। তখন সময়..
বন্দি,....স্তব্ধতায়....!
কিছু নষ্ট হবার মতো বাস্তবতা, ভেঙে!
হয়ত,পরাবাস্তবতার গোধূলির মায়ায়
তোমার ফিরে আসা!.কবিতায়, বারবার।
যখন-তখন,মন ভীষণ!.
আদর-প্রলাপে, ভিজেছে কতরাত,অঝোরে..
বিপরীত,!তবু দেখা,না-দেখার
সীমান্তের একটু কাছ ঘেঁষে,
তোমার,
আমার কাছে...
অমোঘ ! এই ফিরে ফিরে আসা...
চৈতালী ধর
-
এইটুকু পাবারই তো,কথা ছিল।..হয়তো..!
রোদ, বাদল হাওয়ার মতো-বৃষ্টি,মেঘ ও বিদ্যুৎ...
লুকিয়ে রাখা কিছু মর্মবেদনা!..পাশে এসে,বসে,
কিছু নীরবতা....অবকাশের মেঘলা ছুটিতে...
গায়ে মাখা বৃষ্টির মত,
তাদের কাছে,..এটুকু পাওয়া..ক্রমশ..
আমাকে ঋণী করে তোলে,....এ মুহূর্তের
বিষাদ ছেঁড়া আলো...কী দিয়ে যায়!
সে কী..অন্য এক আমির
টুকরো চেতনার মোহ!..?
বাতাস তার দীর্ঘশ্বাসের ভার বয়ে চলে....
পাওয়া, পেয়ে হারানোর লুকোচুরি খেলে,সময়..
দিগন্তে,..বিকেল যখন পড়ন্ত..
শব্দহীন!এতো আঘাত..সারাবেলা..!
কই, এখনো !..হৃদয়,তো দীর্ণ হল না..আজো..!
তবু,..কৃতজ্ঞতায় নতজানু রাতের আকাশের কাছে,
আরো কিছু দুরন্ত,চেয়ে বসি...
আমার বিচ্ছিন্নতা, আমাকে পাখির ডানায়,ডানায়
তখন...,
গভীর শূণ্যতার,মধ্যিখানে,
সাত-সতেরোবার..ঘূর্ণিমায়ায়,
লক্ষ -তরঙ্গে, নির্মাণ খেলায় মুগ্ধ করে রাখে...
চৈতালী ধর
-