ভূত চতুর্দশী
"অদৃশ্যের আগমন"👻
- দ্বিতীয় পর্ব
সম্পূর্ণ গল্প রইল ক্যাপশনে 👇-
“ চারাগাছ গুলো আজ বড়ো হয়ে গেছে বুঝলে মৃদুলা,
আমাদের মেয়েটা থাকলেও হয়তো আজ
এদেরই মতো অনেক বড়ো হতো। ”
আঁচল দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে মৃদুলা দেবী বললেন, “প্রতিটি বছর বর্ণালীর জন্মদিবসে তুমি এভাবে আমায় ওর কবরের পাশে নিয়ে আসো, মা হয়ে কি এসব কথা শুনে থাকতে পারি! কষ্ট পেওনা, নয়তো আমাদের মেয়েটাও কষ্ট পাবে। প্রার্থনা করো সে যেখানেই আছে যেনো ভালো থাকে, ঈশ্বর যেনো তাকে ভালো রাখেন।”
ফুলের তোড়াটা মেয়ের কবরের পাশে রেখে কাঁদতে লাগলেন অভিরূপ বাবু ও মৃদুলা দেবী।
সত্যিই তো সন্তানহারা কোন্ মা - বাবা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে!
-
লক্ষ্য যদি পূরণ হতো কালচিত্রের মোহে,
উড়িয়ে দিতাম স্বপ্ন চিঠি আকাশ ছোঁয়া পানে।-
যদি তুমি অশ্রু ঝরাও,
ক্লান্ত হবে তারা -
নিভৃতে কাঁদে যখন এ ভুবন,
যেন ফিরিয়ে দেয় সব সাড়া।-
যেনো মিলিয়ে গেছে ওটা।
সে তারা ম্যাজিক জানত,
ফিরিয়ে দিত শিশুর মুখে গালভরা হাসি।
সে তারা ছিল গভীর মনোযোগী,
সকলের হাসি-কান্নার কারণও ছিল সে তারাটি।-
আসবো আবার তোমার দ্বারে,
খেয়াল রেখো তুমি আমার।
সোহাগ দিও উজাড় করে
লইব আমি প্রাণ ভরে।
আজ তবে আসি হে,
ভালো থেকো তুমি -
ভালো থাকুক এ ভুবন, এই সংসার।
আজ সবই যেনো অন্ধকার...!-