সভ্যতার পথ মাপি সুশোভন ঋজুতায়,
স্বপ্ন-বাঁকের মোহ সেথা ঘৃণ্য পঙ্কিলতা!
দুরূহ দৈবী পরশ কি তবে ছকভাঙা অপবিত্রতা?
হেসে ওঠে সৌর-কনকপ্রভা,
প্রেম ঢালে বীরভাবে বিস্তীর্ণ চরাচর জুড়ে,
বৈশাখ-দগ্ধ ঘাসের বুকে রৌদ্ররমণে মত্ত জাতক,
প্রস্ফুটনে দীপ্ত করে ধবল-কুসুম-শাবক!
এলো বুঝি ওই কাঙ্ক্ষিত সান্ধ্য বাতাসের শৃঙ্গার!
প্রণয়লিপ্ত তৃণভূমি আজ নবযৌবন-প্রভাস...-
- মেয়েটা কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলতো।
- ছেলেটা অপেক্ষা করতো...কালের পরে কাল কেটে যায়, থিতু হওয়ার অপেক্ষায়।
-আর কটাই তো দিন!
- এদিকে অপেক্ষমাণ আত্মাকে মহাকাল মিলিয়ে দেয় মহাজীবনের স্থিতি-তে...অপেক্ষা-রা বিলীয়মান হয় ঘাসে-পাতায়-সন্ধ্যায় দুলতে থাকা ফুলের সুবাসে।
- ওদিকে মেয়েটা জীবনের উপান্তে এসেও অপেক্ষায় থাকে এমন কারও...
যে তার জন্য অনন্ত অপেক্ষায় মূর্ত হয়ে থাকবে...সহস্র বছর ধরে!-
আমি কাশ্মীর ফাইলস খুলবো!
তুমি খুলবে সাচার কমিশনের রিপোর্ট!
তারপর আমি সবরমতী এক্সপ্রেস দাঁড় করাবো!
তুমি চাইবে গোধরা-র বদলা...
ক্ষীপ্রতায় আমি তোমার হিজাব খুলে নেবো...
তুমি হিংস্রতায় ভাঙবে আমার আরাধ্যা মাতৃমূর্তি!
তারপর শীর্ণ পকেটের দুই বিপ্লবী ওয়ালেট উপুড় করে কিনবো ভোজ্য তেল,জ্বালানীর গ্যাস!
প্রিয়জন যখন হাসপাতালে বেড না পেয়ে আস্তাকুড়ের পাশে শুয়ে শেষ খাবি-টা খাবে?
সেদিনও দেখবে কুম্ভমেলা আর তবলিঘ জামায়াত পরস্পরের প্রতি কাদা ছুঁড়ছে...
সব ফাইলস-ই খোলা থাকবে। ঠিক যেমনটি থাকে কোনও লাভজনক বিপনী...-
মুন্ডমালায় কুঞ্জ সাজাও?
কুন্ডে রুধির ফোটে!
লোপাট দেহের বাঁচার খবর,
কবর ফুঁড়ে ওঠে!
ভায়ের খুনে খেলাও হোলি,
বোন-কে জ্বালাও মাঠে...
বিঁধলে জীবন বেয়োনেটে,
বিকোবে প্রেমিক হাটে?
-
সেই মেয়েটির কাছে,
মায়াময় শিউলি জমা ছিলো!
সযত্নে রাখা ছিলো ভাঁটফুলের ঘ্রাণ...
বন্ধক দেওয়া ছিলো দড়াটানা মোড়ের বসন্ত রোদ...
সাজানো ছিলো চিরবিনিদ্র প্রেম...
গল্প রাখা ছিলো অসফল চন্দ্রগ্রহণের...
সেই মেয়েটির কাছে কবি-ই জমা ছিলো...
আর সে-ই ছিলো রবিরেণুলিপ্ত বিমূর্ত এক জীবনব্যাপী কবিতা...
বেহেশতি যাপনের স্বপ্নের মতো!-
বাস্তবের মরুতটে কি ভীষণ অবাস্তব তুমি!
মেঘের ধাঁধা খুললে তোমার আঁচলেই কৈবল্য!
ঈড়ায়-পিঙ্গলায় বহমান অলীক তুমি...
কল্পিত গল্পকথায় তুমিই প্রেম...জানো তো?
কেন বসন্ত-ও চলে যায়?
তবু বাসন্তীয়া ফেরে না...
এদিকে পলাশ পচে লাশের গন্ধ ওঠে!-
উপজ্ঞা ভোলানো উপজীব্যের ফোবিয়া!
আমরণ বেঁচে থাকার বিবর্ণ স্ক্রিপটিং...
আমি আছি ধর্মে-বর্মে-অর্থে...সুকর্মে নেই!
আমার ভীত-ভাগীরথী নিভৃতেই বয়ে চলে...
তোমার কপোতাক্ষের অন্ত্রে...নীরব অঙ্গীকারে।
মহামারীর তোয়াক্কা বরিষণ করে না...
মেহফিলে পলাশ আসবে,শিমূল আসবে...
ভাসবে সুগন্ধী গুলাল-লহরী...
তুমি আসছো তো কল্পিত বৈকুন্ঠে?
অভেদ্য কুয়াশার আল্পনায় এঁকো নাহলে,
আবারও আমার আকাশ জুড়ে দুর্লঙ্ঘ্য মনকেমন...
-
স্বীয় মস্তকে দাও হে পরিয়ে,
নব-চেতনার খুলি।
বৃন্দাবনের বাঁশি-সুরে মেতে,
ঈদ মোবারক বলি...
শান্তির ধারা অঝোরে নামুক,
ঘৃণা-দ্বেষ যাক ভেসে!
আমিনুল চেনে শঙ্খের ধ্বনি,
প্রতি মাগরিব শেষে...-
হলদে-গোলাপী প্রজাপ্রতির ডানা,
রোদে ধোয়া দূর্বা-গালিচায় আমার উছলে পড়া রুধির-আল্পনা...
ব্যাকগ্রাউন্ডে শুনতে পাও প্রজাপিতা রাষ্ট্রনায়কের প্রলাপ?
কাঠবিড়ালীর পৃষ্ঠে যেমন সাদার অপলাপ?
পরিশেষে আসো তুমি মিহি জরির ঘাগরায় রূপকথা।
পাথর আমার বুকে তখন অবোধ ফিলিস্তিনি শৈশবের ব্যথা...
আলতো করে চোখ ঢাকো তার, ডাকতে ক্ষ্যাপা যারে।
জানো তো, এমন মৃত্যু তোমার প্রেমিকেরই হতে পারে...-