মিলিয়ে হাত দুইয়ে দুইয়ে চার,
করেছিলাম তোকে আমার,
তবুও তুই আমাকে, ভাবলি পর ।
আমায় আঘাত করে বুকে,
হয়তো তুই আছিস সুখে,
বল না তুই কি পেলি, ভেঙে ঘর ।
আমায় তুই একাকী করে,
গেলি চলে এই দু'চোখে জল ভরে,
আমার হৃদয় জুড়ে ছিলি, শুধু যে তুই ।
চেয়েছিলাম আমি শুধুই তোকে,
কেটেছে কত রাত তোর শোকে,
তাতে যে তোর যায় এসে, না কিছুই ।
কি পেলি বল তুই করে নালিশ,
ভিজছে সেই রোজ দু'জনের বালিশ,
আঁধারে ছেয়েছে জানি, মনের কোণ ।
দিলাম তোর আমি হাত ছেড়ে,
ডাকবো না আর তোকে হাত নেড়ে,
থাক তবে তোর মতো করেই, চায় যদি মন ।
থাক না তুই তোর মতো করেই, চায় যদি মন ।
-
মিলিয়ে হাত দুইয়ে দুইয়ে চার,
করেছিলাম তোকে আমার,
তবুও তুই আমাকে, ভাবলি পর ।
আমায় আঘাত করে বুকে,
হয়তো তুই আছিস সুখে,
বল না তুই কি পেলি, ভেঙে ঘর ।
আমায় তুই একাকী করে,
গেলি চলে এই দু'চোখে জল ভরে,
আমার হৃদয় জুড়ে ছিলি, শুধু যে তুই ।
চেয়েছিলাম আমি শুধুই তোকে,
কেটেছে কত রাত তোর শোকে,
তাতে যে তোর যায় এসে, না কিছুই ।
কি পেলি বল তুই করে নালিশ,
ভিজছে সেই রোজ দু'জনের বালিশ,
আঁধারে ছেয়েছে জানি, মনের কোণ ।
দিলাম তোর আমি হাত ছেড়ে,
ডাকবো না আর তোকে হাত নেড়ে,
থাক তবে তোর মতো করেই, চায় যদি মন ।
থাক না তুই তোর মতো করেই, চায় যদি মন ।
-
মিলিয়ে হাত দুইয়ে দুইয়ে চার,
করেছিলাম তোকে আমার,
তবুও তুই আমাকে, ভাবলি পর ।
আমায় আঘাত করে বুকে,
হয়তো তুই আছিস সুখে,
বল না তুই কি পেলি, ভেঙে ঘর ।
আমায় তুই একাকী করে,
গেলি চলে এই দু'চোখে জল ভরে,
আমার হৃদয় জুড়ে ছিলি, শুধু যে তুই ।
চেয়েছিলাম আমি শুধুই তোকে,
কেটেছে কত রাত তোর শোকে,
তাতে যে তোর যায় এসে, না কিছুই ।
কি পেলি বল তুই করে নালিশ,
ভিজছে সেই রোজ দু'জনের বালিশ,
আঁধারে ছেয়েছে জানি, মনের কোণ ।
দিলাম তোর আমি হাত ছেড়ে,
ডাকবো না আর তোকে হাত নেড়ে,
থাক তবে তোর মতো করেই, চায় যদি মন ।
থাক না তুই তোর মতো করেই, চায় যদি মন ।
-
শহরের কোলাহল আর হাজারো মুখের ভিড়ে,
একলা আমি আপন মনে বসে নদীর তীরে ।
আমার আকাশ কালো করে নেমেছে ঘন রাত্রি,
উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরি, আমি অচেনা পথের যাত্রী ।
চলতে চলতে প্রায়ই হোঁচট খাচ্ছি, টলমল দুটি পা ।
কাঁটা ফুটে রক্ত ঝরছে, ক্রমশ হয়ে যাচ্ছে ঘা ।
পকেটে যতই টাকা থাকুক তবুও পায়না খিদে,
যন্ত্রণায় ফাটছে বুকটা, তীর যে আছে বিঁধে ।
অবলম্বন নেই তো কিছুই, খুঁজে পাইনা বাঁচার মানে ।
তবুও তোকে বাঁচতে হবে, যেন কেউ বলে যায় কানে ।।
-
যেই পাখিটার বুকে তীর বিঁধে আছে,
সে কি করে গাইবে গান ?
যন্ত্রণায় ভরা এই জীবন তাঁকে,
নিয়তি করেছে দান !
-
মেঘেরও যখন কষ্ট হয়, বইতে পারে না ব্যথা আর !
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে, অনবরত অশ্রু তাঁর !!
-
শুনেছিলাম....
রাতের পরে দিন আসে, আর দুঃখের পরে সুখ ।
সুখের দেখা পেলাম না আর, বিধাতা ফেরালো মুখ ।।
-
অবহেলায় বাঁচার জ্বালা, বুঝবে কি করে তারা ?
না চাইতেই সব মুখের সামনে, চিরকাল পেয়ে এসেছে যারা ।।
পায়ে কতটা ফুঁটেছে কাঁটা, ছেলেটা হোঁচট খেয়েছে কত ।
তার মতো এক পা না হেঁটেও, সবাই ভেবে নিলো নিজের মতো ।।
জীবনটা মোটেই সহজ ছিলো না, তাঁকে লড়তে হয়েছে রোজ ।
বুকের ভিতর ছিলো যন্ত্রণা কত, কভু তার কেউই রাখেনি খোঁজ ।।
পেটে ভীষন খিদের জ্বালা নিয়ে, সে শুয়ে পড়তো রোজ না খেয়ে ।
বুঝবে কি করে তাঁর ব্যথাটা, যারা খুব সহজেই গেছে পেয়ে ।।
দু'চোখে স্বপ্ন নিয়ে সে করতো লড়াই, হয়তো একদিন কেটে যাবে কালো রাত ।
পাবে সে খুঁজে নিজের মনের মানুষ, কাছে এসে যে ধরবে তাঁর দুটো হাত ।।
তাঁর সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলোনা, সে পেলোনা কাউকে পাশে ।
রাতে ভেজায় তুলোর বালিশ, কিন্তু সবার সামনে সে হাসে ।।
© Bholanath Addhya-
আমার প্রহর গোনা শেষ হয়েছে,
আমি পাইনি আলোর দেখা ।
ক্ষতগুলো সব জেগে উঠেছে,
রয়ে গেছি আজও সেই একা ।।
ধূপের মতো পুড়ে চলেছি,
শেষ হতে আর কিছুটা বাকি ।
মিছে স্বপ্ন দেখে জীবন কেটেছে,
শেষে নিয়তিও দিলো ফাঁকি ।।
লড়তে লড়তে আজ জীর্ণ শরীর,
প্রতিনিয়ত ব্যথায় ভাঙছে বুক ।
দেহটা আমার প্রাণহীন আজ,
সে যে পেলোনা কখনও সুখ ।।
© Bholanath Addhya-