দিবানিশি বলো, ভালোবাসি
ভালোবাসা কই? দেখিনা
আমি-
যতটুকু বাসি ততটুকু বলি
এতটুকুও মেকি না!-
সময় নিশ্চিতভাবেই এক অন্ধ যাদুকর। ভেলকিবাজি ছাড়া আর কিচ্ছু চেনেনা। কাউকে চেনেনা।
ঠিক স্বার্থপর মানুষগুলোর মত।-
অসহ্য বলতে কিছুই নেই। সময়ে সবকিছুই সহ্য হয়। এক সময়ের অসহ্য যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা অন্য সময়ে হয় উপভোগ্য।
-
সবাই আমায় ছেড়ে গেছে জেনে
কবিতারাও একলা আমায় ছাড়ি
পথ ধরেছে আপন আপন পথে
একলা আমি দুঃখের কারবারি।
ছন্ন ছাড়া বিবর্ণ মুখ হাসে
মুখ জুড়ে মোর কালোমেঘের ছায়া
মেঘের মেয়ে পাল তুলেছে একা
ভুলে গেছে ভুল মানুষের মায়া।
নদীর জলে উতলে ওঠা ঢেউয়ে
ভাসিয়ে দিয়ে স্বপ্ন নায়ের ভেলা
মন চলেছে উদাস পুরের পানে
সঙ্গে নিয়ে ভীষণ অবহেলা।
অবহেলার সাথে-
খোদার তুষ্টি সদা খোঁজে যেই দিল
সেই দিল কখনো রূঢ় হয়না
মানুষের কল্যাণে কাজ করে যায়
ভালো কাজে কখনো মূঢ় রয়না-
পরের বউয়ের পানে মিটমিটাইয়া না চাইয়্যা
নিজের বউরে ভালো-মন্দ খাওয়ান, ভালো পোষাক পরতে দ্যান, আর দামী মেকাপ কিইন্যা নিজ হাতে সাজান।
অনেকদিন ভাল্লাগবে। চোখ জুড়াইয়া দেখতে পারবেন।-
আমরা জড়িয়ে পড়েছি বহু পাপে
কিছু পাপ লঘু, আর কিছু গুরু
দয়াময় ডেকে বলছেন, শোনো-
যেখানে তোমার শেষ
সেখানেই আমার শুরু।-
ক্ষমা করো মোর আছে যত পাপ
মাফ করে দাও আজি
ভুলত্রুটি ভুলে, নাও কোলে তুলে
যাও হয়ে খুশী রাজি
হাজার রজনী কেটে গেছে ঘোরে
তোমারে ভুলিয়া প্রভু
হাজার মাসের সেরা রাত পেয়ে
ডাকিনি তোমায় তবু
শুনেছি তোমার রহমের ডাক
দেইনি তবুও সাড়া
আজকে আমি ফিরেছি মাবুদ
হয়েছি পাগলপারা।
প্রার্থনা-
হৃদয়ের খোদা তাড়িয়ে আবার কোন খোদা খোঁজো মসজিদে
মিলিবেনা খোদা- যদি না থাকে মানবের প্রেম ওই হৃদে-
মরা তিস্তায় কৈশোর খেলে, হামাগুড়ি দেয় শৈশব
আজি এই ক্ষণে খুঁজি প্রাণে মনে খেলার সাথীরা কই সব
কোথা সেই ঘর যেখানে নিত্য লুডুর আসর জমতো
কোথা সে বন্ধু যার দেখা হলে দুঃখ বেদনা কমতো
বান্নির মেলা সিন্দুরমতি কোথা আজ সেই উৎসব
তিস্তার বুকে নৌকা বাইজে নেই কোলাহল কলরব
ইরি ধান মাড়া হয়ে গেলে সারা সকলে মিলিয়া দলে
সারা দিনভর মেতে রইতাম কানামাছি, ফুটবলে
কোথা সেই দিন আকাশে উঠিলে রংধনু রাঙা রেখা
কত প্রিয় মুখ আজকে শুধুই অতীতের ঘরে লেখা
এভাবেই বুঝি আমিও হারাবো অতীত কালের পেটে
দিনেদিনে শুধু সামনে এগিয়ে ক্ষয় পানে যাই হেঁটে।-