শিউরে ওঠা হিমের রোম,একচিলতে রোদের ছটা
ওই শহরের মানুষগুলো ঝকঝকে রঙিন।
শীতের খামে খবর এসেছে অরুণিমার আইবুড়ো ভাত,
নিশিথেরই ঝড়া পাতায় অস্তমিত মোর নাম।
অদ্ভুত কালো সন্ধ্যা নামে গাঙচিলের ডানায়,
তার মনের পাখি বাসা বেঁধেছে অন্য প্রাণে!
সস্তার হোটেলে মেকি খেলায়,মোহ মায়ায় জড়িয়ে ছিলাম,
জেগে উঠতেই স্পষ্ট চাক্ষুষ হই রক্তে মিশে গিয়েছি।
অন্যকেউ বুঝি রাখে খোঁজ কোথায় তোমার মনের ঘরের চাবি?
আজীবন ছায়ার নীচেই ঘর প্রাপ্তির হদিশ মেলেনি।
আমার কলমের কালিতে,ডায়েরিতে,হৃদয়ে প্রিয় তুমি জীবিত আজীবন,
তোমায় সাদা পৃষ্ঠায় ভালোবাসার দাগ দিলেও তুমি বিষবৃক্ষ!
-
ডায়েরির ভাঁজে ভাঁজে লেখা কবিতায় ভাসছে আজ,
তিনশ' পয়ষট্টি দিনের স্থগিত দলিল!
স্বপ্ন ছিল যে ছেলেটা হবে I.P.S অফিসার,
ঘুষেই জলাঞ্জলি,নিয়তির খেলায় কানুর দোকানে বিড়ি ফুঁকায়।
প্রেমিকার দেখা স্বপ্ন সবই অধরা ওই শেষ বৃষ্টি দিনে,
পরিস্থিতির ভিড়ে প্রতিশ্রুতি,খোঁপাতে সাক্ষী থাক দোলনচাঁপা।
গত বছরের ক্যালেন্ডার ফেলে বাইশে নতুন দিন দেখা।
পিঠে বইয়ের বোঝা,পরীক্ষা,শিক্ষকের বেত্রাঘাত-
আগত ইতিহাসের পাতায় টীকাকারে বর্নিত।
দেওয়ালে পিঠ লেগে থাক,গলার কাঁটা বিঁধে থাকুক,
সব আশা চাপা দিয়ে নিঁখুত দেখতে হবে নতুনের স্বপ্ন।।-
ঘড়ির কাঁটায় বারোটা বেজে দশ মিনিট,ফোনের রিংটোন শুনে চমকে উঠলাম।একটা Unknown নাম্বার,তবুও সাত পাঁচ না ভেবে ধরে ফেললাম।আমি এপাশ থেকে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে,শুভ জন্মদিন বুনু!মাতৃজঠরে দশ মাস যুদ্ধের পর পৃথিবীর বুকে যেমন ভূমিষ্ঠ হয়ে জয়ী হয়েছ,তৎপর আসন্ন সমগ্র জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে ওঠো!কে আপনি?আপনার মুখে আমার এই চেনা শব্দগুলো,কি করে সম্ভব?এ তো সেই দু-বছর আগে যে আমার জীবনশূন্য করে চলে গেছে,সে বলতো।ফোনটা কেটে গেল।অঝোরে তার কথা মনে করে কেঁদে ফেললাম।ঘুম থেকে উঠে দেখি সবটাই স্বপ্ন ছিল,সে যে আসবেনা আর ফিরে!যদি স্বপ্নের মতো পাশে এসে বসতো সে!তার দেওয়া ডাকনামে ডাকত।
আলগোছে বলে,"থেকে যাবো পাশে",দাদু তার ভালোবাসাকে আজও একই ভালোবাসে!-
তোমার এতো অপমানে বিষ তুলেছি হাতে,
বিষাক্ত রোগের বাসা বেঁধেছে হৃৎপিন্ডে।
রক্তবমি হচ্ছিল দুই-পাঁচদিন অন্তর!
গরম চায়ে চুমুকেই বিস্কুট ডুবল অতলে,
জ্বলবে না আর আলোর শিখা,
নিত্য তব নামে সন্ধ্যাপ্রদীপ তবুও জ্বালব।
আমার ঘরে অন্ধকারের নিশি কাটবে না;
নতুন নামে নতুন খামে অরুণিমাকে ভালোবেসো!
মন পুড়তে পুড়তে কয়লার ন্যয় লোহা হয়েছি,
পিছু ফিরে চাহিতেই তোমার ডাকনামে ভাসি।
সুখের শয়নে তিলক কপালে উঠিব না জেগে,
ক্লান্তিহীন পথচলা ফিরে পাবে অবশেষে।
অভিযোগ অভিমানের বরফ মুখ থুবড়ে পড়বে!
বাঁচুক স্মৃতির অনুভবেরা....
-
থার্মোমিটারের গায়ে লেখা একশো তিন-
প্যারাসিটামল খেলেও অ্যান্টিবায়োটিক...
সেই অমাবস্যার রাতে চৈতন্য ফেরেনি,
ধর্ষকেরা ঠিক যেন টুঁটি চেপে ধরেছে!
শরীরে নখের দাগ,ঠোঁট দুটো দাঁতে চেপে ধরে।
কোন উন্মাদের ঘোরে নিজেকে নগ্ন দেখে!
বক্ষমাঝে মাথা গোঁজার শান্তি খোঁজে,
বাতাসরে নমে ঘুচাতে চায় অবসাদ।
জেগে দেখা আধপেটা স্বপ্নগুলো আজ ছাই।
বেশ্যাপাড়ার এই প্রিয়তমার খোঁজ রাখেনি কেউ!
স্নো পাউডার আর কি মেখে যেনো ফর্সা হতো,
অক্ষরের গায়ে বিষাক্ত ছোঁয়া,রক্ত ঝড়ে কিনারায়!
-
নতুন বন্ধনের শুরুতে ছিল না অভিযোগ ছিল না বাঁধা,
হঠাৎই সংকেত আসল প্রবল গতিতে ছুটে আসবে ঘূর্ণিঝড়!
ক্ষয়ক্ষতি হবে প্রচুর ধ্বংস হবে বিশালাকারে,
প্রেমিক-প্রেমিকার দেওয়া কথাও চাপা পরবে ধ্বংসের মুখে!
মরবে হয়তো দুজনই কিংবা কোনো একজন,
কতগুলো রাত কাটবে পোষা বালিশে গুমরে কেঁদে-
নিজের চিবুকের কাছেও লাগে ভীষন অচেনা ও একা।
তবু একরাশ আশায় প্রতীক্ষায় করে দিনযাপন...
বিচ্ছেদই যদি হওয়ার ছিল,সুরে সুরে কি বৃথাই মিলন?
-
অসম্ভবের দেশে মনকে বোঝানো বড়ো দায়,
খালি পেটে কি কাব্য রচিত করা যায়?
অদ্ভুত ঘুম নিয়ে রাত জেগে তবু জেগে থাকি,
ভাবনা যাকে নিয়ে হয়তো রয়ে গেছে সে....
বিশাল গহীনে-খুব অতল,ঠিক ভরা যমুনার জল!
তারাদের গভীরে শুকতারার নকশা ফুটে ওঠে,
ঠিক যেমন ইতিহাসের পাতায় শিল্পীদের কারুকার্য
তবু বলি,থেকে গেছো বিশাল গহীনে,
অতঃপর তাই আমি হাত পাতি-
পথের ভিখারী যেমন মানুষরূপী ইশ্বরের কাছে।
জীবনবৃত্তের পরিপাকে দেখা হোক আবার,আর একটি বার!-
হ্যাঁ আমিও ওই গর্ভে থাকা শিশুর মতো যন্ত্রনায় ছটফট করি!
অন্ধকার ভূগর্ভে বিশাল আগুণের গোলা এর থেকে আমি বাঁচতে চাই................-
অন্ধকার ওই ঘরে ভাঙ্গা আয়না হাসছে দেখে আমায়,
রোদ্দুরের আলো মাখব না আর গায়ে পাপ করেছি যে!
দাবানলের আগুনে পুড়িয়ে ফেলা স্বপ্নের ঘরে হাতছানি,
ওরে অভাগা দেখে আয় নেপথ্যে বাজছে সুরেলা বাঁশি।
ভাসিয়ে দিয়ে শূন্যের মাথায় আছরে পড়ি তলাকার মাঠে,
ভোর কুয়াশায় চোখ খুলে দেখি স্তিমিত একরাশ রক্ত ভেজা কাঁদায়।-
দুটো শব্দ যা বেধেঁ রাখে জন্ম-জন্মান্তর ধরে,
চেনা অক্ষরের আড়ালে বেড়ে ওঠা স্নেহ,ভালোবাসা।
শেষ বিকেলে অস্তমিত সূর্যে ধরা দেয় অনুতপ্ত স্মৃতি,
নানা রঙে ক্লান্ত ঘামের গন্ধে সেজে ওঠে কবিতারা!
ছায়া হয়ে থাকুক পাশে-স্নিগ্ধ,শীতল মায়া জড়িয়ে,
হাসি মুখে বইবে অসাড় ব্যথা কত শত ক্ষত।
আঁধার যেমন দূরীভূত হয় চাঁদ,জোনাকির স্ফূর্ত আলোয়,
থেকে যাক এ বন্ধনের টানে মুহূর্তগুলো অক্ষত!-