যে সব মানুষ হার মানে না,
খুব সহজে বা শেষ না দেখে..
সেই সব মানুষেরও মনোবল লাগে,
প্রশংসার বেশে বা স্নেহের পরশে!!-
📌সরল ভাষায় ভাবনার বহিঃপ্রকাশ করতে ... read more
//আমার দারিদ্রতা//
স্বপ্নগুলো পাহাড়সম তবু দেখতে ছাড়িনা রোজ..
পরিস্থিতি হোক যতই প্রতিকূলে, তাকে বাঁচিয়ে রেখে ঠিক নেই খোঁজ;
স্বপ্নর জন্যই বেঁচে থাকি আমরা, স্বপ্নই আমাদের সত্ত্বা..
দারিদ্রতার কামড় সয়েও, স্বপ্ন নিয়েই আমরা গর্বিতা;
লাঞ্ছনা-অপমান সহ্য করেও অর্থর অভাবে মানিনা হার..
আবার; হেরে গিয়েও পুনরায় ফিরে আসি ঠিক জীবনের থেকে ছিনিয়ে নিতে উপহার,
কর্মর উপরই বিশ্বাস আমাদের, কর্মই আমাদের হাতিয়ার..
কর্মর দ্বারাই জবাব দেব একদিন ঠিক, স্বপ্নকে জিতে নেবো পুনর্বার;
কষ্ট, ক্ষুধা, অভাব, ঘৃনা এসবের এখন হয়ে গেছে অভ্যাস..
ভালোবাসার অভাবেও বেঁচে থাকি আমরা মেনে নিয়ে জীবনের সব পরিহাস,
পরিস্থিতিও একদিন হবে অনুকূল, চেষ্টার কাছেও সে মানবে হার..
কিছু অন্যায় পাবে তার সূক্ষ্ম জবাব, এখন এই অপেক্ষায় আছি আবার;
বাস্তবের যাঁতাকলে হই পিষ্ঠ, তবুও বারবার ফিরি রোজ..
'ফিনিক্স'-এর স্বত্ত্বা ধারণ করি আমরা তার দেই না তো কাউকে খোঁজ,
দরিদ্র আমরা সূচকের হিসাবে, মনেতে দেই না তার স্থান..
বিভেদের এই চক্রবূহ্য ভেঙে তাই সকল মানুষকেই আগে দেই সম্মান,
হার শব্দটাকে জয় করে যেইদিন হবো নিজেই নিজের পরিত্রাতা..
কষ্টগুলোও সেইদিন পাবে শান্তি, মাথানত করবে সেইদিন আমার দারিদ্রতা !!-
প্রকৃত মানুষ আজ..
চালের বস্তায় কাঁকরের সমান,
মানুষের দুঃখ-আবেগ তাই..
বৈঠকের মাঝে চলে দরদাম;
বিশ্বাস এই শতকে এসে..
বিলুপ্তির পথে দিয়েছে পাড়ি,
দিনান্তে কথা বলো তুমি..
আয়নার সাথে করোনা আড়ি!!-
ক্ষতগুলো লোকানো থাকে..
মুখোশের আড়ালে;
সব মুখোশ ভয়ানক নয়..
কিছু ক্ষত ঢাকতেও লাগে!!-
//আমার ডায়েরি//
স্থিমিত দুপুর, বড়ই একান্তে..কাটেনা সময় যখন,
হঠাৎ করেই মাথায় খেলে..শৈশবের বাক্সটি খুলি এখন;
বড়ই শান্ত, যেনো অবসন্ন..আমার স্মৃতির দায়িত্বে সে,
ধুলায়িত বর্ণ, অবহেলিত প্রায়..তবুও অভিযোগহীণ যে;
ঢাকনা খুলতেই শৈশবের দিন..আবছা করে আঁকে স্মৃতি,
অমনি আমার হৃদয়ের কঠোরে..মেয়েবেলার মূহুর্তরা দেয় উঁকি;
এর মধ্যেই এক, অতিপ্রিয় সে..খাতা-বইয়ের থেকে আলাদা,
আমার কথা শুনতো একান্তে..ভরতাম তার পাতার পর পাতা;
মনের কথার ওজন সয়েও..সে ভাবেনি কখনো আমায় বোঝা,
রাগে-অভিমানে ছিরেছি কত..তার অলিখিত যত পৃষ্ঠা;
বড় হয়ে এখন বুঝি দিনশেষে..যখন বোঝার মানুষের বড়ই অভাব,
আমার ডায়েরিটি কেনো এতো প্রিয়..সে চলে গিয়েও মনে তার রেখে গেছে প্রভাব!!-
স্বপ্ন
অভি ছোটবেলা থেকেই দেখেছে.. তার বাবা বহুবার চেষ্টা করেও পাম্প কেনার জন্য জমানো টাকা খরচ হয়ে গেছে; ফলে খরার সময় মহাজনদের দ্বার ঘুরেও পাম্প না জোগাড় হওয়ায় ফসল উৎপাদনও করতে পারেননি। চোখের জল আর আশার দ্বারা পেট ভরেছে তখন তাদের!
ফাটল ধরা মাঠে অঝোর ধারায় জলবর্ষণ হচ্ছে, ম্রিয়মাণ অঙ্কুরিত বীজগুলো যেনো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। ঐ তো.. ঐ আকাশে ড্রোন মেশিনের মত তার বানানো রেইন মেশিন দিয়েই তো জলবর্ষণ হচ্ছে!
-"স্যার..দরজা খুলে দিয়েছি ভিতরে আসুন, ভিজে যাচ্ছেন তো.."
আজ চোদ্দো বছর পর সেই অর্থর অভাবেই তার হাভার্ড ইউনিভার্সিটির থেকে পড়াশুনা করে 'রেইন মেশিন' বানানোর স্বপ্নটা সেই কল্পনাই রয়ে গেলো !!
-
কেনো সবকিছুই বিয়োগের খাতায় জুড়তে থাকে আমার..
কখনো রঙীন, কখনো মলিন; কেবল স্মৃতির শুধুই বাড়ে ভার,
গোছাতে গেলেও হয়না গোছানো, এ যে সাপ-মইয়ের মেলা..
শুধু কর্মতেই কি প্রাপ্তি ঘটে নাকি সত্যিই অদৃষ্টের খেলা??-
আজকে যাদের কোলাকুলি,
কালকে তারাই বিরোধী;
তুমি-আমি সবই জানি, তাও..
দিনশেষে অন্ধ সাজি!!-
-"হ্যাপি ওমেন্স ডে ঠাম্মি!"
বাইরের জগতে আলো বিতরণ করতে করতে, তার নিজের বাড়িতে প্রদীপের নিচের মত যে অন্ধকার রয়ে গিয়েছিলো হয়তো সেই আক্ষেপ তার আজ মিটলো!
(সম্পূর্ণ প্রবন্ধ ক্যাপশনের অন্তর্গত)-